ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
রামায়ণ
রামায়ণে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্র দেখতে পাওয়া যায়; যথা—মহাবন, তপোবন ও শ্রীবন। তপোবনে পশুরা থাকতো নিশ্চিন্তে, মানুষ এবং পশুর সহবস্থান লক্ষ্য করা যায়। এখানে পশুদের উপর না হয় কোন অত্যাচার, না হয় পশুশিকার। তপোবনের ঋষিপুত্র ও ঋষিকন্যাদের সঙ্গে ছোট ছোট পশুরা খেলা করতো, এই ভালোবাসার ফলে হিংস্র পশুরা তাদের হিংসা ভুলে, লোকালয়ের মধ্যে পরম নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াতো। এই তপোবনের ধারণা থেকেই, বর্তমান দিনে অভয়ারণ্য, জাতীয় উদ্যান ও বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের জন্ম হয় বলে মনে করা হয়।
হরিয়ানার পানিপথ থেকে গুজরাতের পোরবন্দর পর্যন্ত ১৪০০ কিমি ‘গ্রিনওয়াল’ তৈরি করবে ভারত
যত মত, তত পথ, পর্ব-৪: শ্রীরামকৃষ্ণের কথা রবীন্দ্রনাথের গান
অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-৫: সফল হোগি তেরি আরাধনা
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৫: টনিক খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো?
মহাভারত
পরিবেশ চিন্তা ও পরিবেশ চেতনা মহাভারতের বিভিন্ন ছত্রে সুন্দরভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। উদ্ভিদের প্রাণ, বৃক্ষরোপণের পুণ্যনতা ও উপকারিতা, জলাশয় খনন, নগরায়ন, অরণ্য উচ্ছেদ ও ভৌম জলের সন্ধান ইত্যাদি বিভিন্ন পরিবেশ সম্পর্কিত খুটিনাটি তথ্য পাওয়া যায় মহাভারতে। মহাবীর ভীষ্ম যখন শরশয্যায় ও অতি তৃষ্ণার্ত, তখন মহাধনুর্ধর অর্জুন তখন তীর গেঁথে মাটি থেকে ভৌমজল বার করেন ও সেই জল পিতামহ ভীষ্মের মুখে দেন ও তাঁর তৃষ্ণা নিবারণ করেন। ভূতত্ত্ববিদ্যা এবং পরিবেশের উপর প্রখর জ্ঞান না থাকলে, মাটির তলায় যে ভৌম জল পাওয়া যায়, তার সন্ধান তিনি পেতেন না।
ব্যাসদেব বর্ণিত এক শ্লোক হল—
‘বক্রোপোৎ পলানালেন যথোধবং জল মাদদেৎ।
তথা পবনসংযুক্ত: পৈদি পিবতি পদপ:।’
এর অর্থ— উদ্ভিদ মূলদ্বারা যে জল শোষণ করে, অগ্নি ও বায়ু সেই জল জীর্ণ করে থাকে। এই জল পরিপাক হওয়াতেই ঐ সকল স্থাবর পদার্থ লাবণ্যবিশিষ্ট ও পরিবর্তিত হয়। উপরোক্ত বক্তব্যের মধ্যে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষের ইঙ্গিত আছে বলে মনে হয়, যা অনেক পূর্বেই আমাদের মহাপুরুষেরা বলে গিয়েছেন মহাভারতে।