লেভ ইয়াসিন।
১৯২৯ সালের ২২ অক্টোবর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মস্কো শহরের এক শ্রমিক পরিবারে লেভ ইভানোভিচ ইয়াসিনের জন্ম।
মাত্র ১২ বছর বয়সে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে কারখানায় কাজ করতে হয়। সেখান থেকে মস্কোর সামরিক কারখানা। কাজের অবসরে বিকেলবেলায় ফুটবল মাঠে তাঁর নিখুঁত গোলপিকিং দেখে তৎকালীন বিখ্যাত সোভিয়েত গোলপিকার আলেক্সি টাইগার খোমিচ তাঁর মধ্যে এক বিরাট সম্ভাবনা দেখে তাঁকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন।
মাত্র ১২ বছর বয়সে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে কারখানায় কাজ করতে হয়। সেখান থেকে মস্কোর সামরিক কারখানা। কাজের অবসরে বিকেলবেলায় ফুটবল মাঠে তাঁর নিখুঁত গোলপিকিং দেখে তৎকালীন বিখ্যাত সোভিয়েত গোলপিকার আলেক্সি টাইগার খোমিচ তাঁর মধ্যে এক বিরাট সম্ভাবনা দেখে তাঁকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন।
১৯৫০ সালে মস্কোর যুব দলে সুযোগ পান ডায়নামো দলের আমন্ত্রণে। অভিষেক ম্যাচে একজন গোলকিপার হয়েও তিনি তাঁর জীবনে প্রথম গোলটি করেছিলেন।
ফুটবল খেলা তো বটেই, তিনি হকি খেলাতেও গোলকিপারের ভূমিকা পালন করেছেন। বহু কৃতিত্বের অধিকারী। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে আয়োজিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন লেভ ইয়াসিন। সালটা ১৯৫৬।
ফুটবল খেলা তো বটেই, তিনি হকি খেলাতেও গোলকিপারের ভূমিকা পালন করেছেন। বহু কৃতিত্বের অধিকারী। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে আয়োজিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন লেভ ইয়াসিন। সালটা ১৯৫৬।
আরও পড়ুন:
বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল: পর্ব-১০: রেমন্ড কোপা এক কিংবদন্তি ফুটবল বাদশা
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫৬: কবির ভালোবাসার পশুপাখি
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭: ওখানে কে?
তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষে মোট চারবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন। দলের নেতৃত্বও দিয়েছেন। তাঁর অধিনায়কত্বে সোভিয়ের দেশ ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল অবদি উত্তীর্ণ হয়েছিল। অতঃপর ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে চতুর্থ স্থান অধিকার করে সোভিয়েত ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন:
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১৩: সারাদিন যত পারেন জল খান! এতে শরীরের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না তো? কী করে বুঝবেন?
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৪: পঞ্চমকে সিনেমা হলে বসিয়েই বেরিয়ে যান রীতা
রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-১১: কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দু’ একটি ছবি তুলতে না তুলতেই হাত অসাড় হয়ে যাচ্ছিল
তাঁর গোলকিপারের জীবনে সবচেয়ে বড় আলোচিত বিষয় এই যে, বিশ্বকাপের ১২টি খেলার মধ্যে চারবার কোনও গোল তাঁকে স্পর্শ করেনি। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক ও গুরুত্বপূর্ণ খেলায় সর্বমোট ১৫১টি পেনাল্টি রক্ষা করেছেন। এই রেকর্ড চিরকালীন। এই জন্যই তাঁকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গোলকিপার বলা হয়।
আরও পড়ুন:
হেলদি ডায়েট: দাঁতকে অবহেলা নয়, শিশুর দাঁতের যত্ন নিন গোড়া থেকেই, সতর্ক হন এই সব খাবারে
অবাধ অ্যান্টিবায়োটিক ডেকে আনছে বড় বিপদ, সতর্ক হন এখনই
দশভুজা: সেই ষোলো মিনিটের দূরত্ব কোনওদিন পূরণ হয়নি
জীবনে বহু সম্মানের সম্মানিত হয়েছেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘অর্ডার অফ লেনিন’, ১৯৯৮ সালে ফিফা নির্বাচিত বিংশ শতকের বিশ্ব দলের সদস্য। অতীতে ১৯৬৩ সালে গোলরক্ষক হিসেবে ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার ইত্যাদি।
১৯৯০ সালের ২০ মার্চ মস্কো শহরে এই আন্তর্জাতিক গোলকিপার প্রয়াত হন।
১৯৯০ সালের ২০ মার্চ মস্কো শহরে এই আন্তর্জাতিক গোলকিপার প্রয়াত হন।
* বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল (Football – Top players first goals): শমীন্দ্র ভৌমিক (Samindra Bhowmick), শিল্পী ও ছড়াকার।