ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে রাত ১০টাতেও হাজার হাজার মানুষের ভিড়। ভেসে আসছে কান্নার আওয়াজ। বিরামহীন ছোটাছুটি করছে অ্যাম্বুল্যান্স। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার গুলিস্তান সিদ্দিকবাজার এলাকায় বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা কোথায় থামবে সেই আলোচনা চলছে সর্বত্র।r
সরকারি সূত্রের জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাঁরা চিকিৎসাধীন। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার নাজমুল হকের কথায়, আহতদের শরীরে স্প্লিন্টারের ক্ষত রয়েছে।
আরও পড়ুন:
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫৪: ঠাকুরবাড়িতে দোলে আসত নাচিয়ে, নাচের তালে তালে হত আবিরের আলপনা
অজানার সন্ধানে: রং যেন মোর মর্মে লাগে, আমার সকল কর্মে লাগে…
এদিকে এখনও বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে। জঙ্গি হামলার সম্ভাবনার কথা যেমন উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না, তেমনই সিদ্দিকবাজারের ৭তলা বাড়িটির নীচের দোকানে নিষিদ্ধ বিস্ফোরক রাখার সম্ভাবনাকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের গিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)-এর কমিশনার খোন্দকার গোলাম ফারুক। পরে তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ‘‘সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণ নাশকতা না কি দুর্ঘটনা, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৯: আগে তো প্রাণে বাঁচি, তার পরে না হয় বিমার নিয়ম কানুনের কথা ভাবা যাবে
দেদার খানাপিনা হয়ে গিয়েছে? বদহজম এড়াতে সঙ্গে রাখুন এই বিশেষ পানীয়
বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ গুলিস্তানে ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন’ (বিআরটিসি)-এর বাস কাউন্টারের পাশে সিদ্দিকবাজারের একটির ৭তলা বাড়ির নীচের তলার একটি দোকানে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে অভিঘাতে বহুতলটির একাংশ প্রায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার পাশের ৫ তলা বাড়িটিও।