মিশেল প্লাতিনিকে বলা হতো শিল্পী ফুটবলার। ছবি: সংগৃহীত।
জন্মেছিলেন ২১ জুন ১৯৫২-তে। ফ্রান্সের জোয়ূফ শহরে। বাবা আলদো প্লাতিনি এবং মা আন্না প্লাতিনি। বিশ্ব ফুটবলের এক প্রথম সারির ফুটবলার। মিশেল প্লাতিনিকে বলা হতো শিল্পী ফুটবলার। ফ্রান্সের সর্বকালের একজন সেরা ফুটবলার।
এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, ব্রাজিল, পর্তুগাল, আর্জেন্টিনা, পশ্চিম জার্মানির মতো প্রথম সারির ফুটবল দেশের তুলনায় কিছুটা মাঝারি গোছের দলই ছিল ফ্রান্স। একমাত্র জাঁ ফঁতে ফ্রান্সকে বিশ্ব ফুটবলে একটা জায়গা করে দিয়েছিলেন প্লাতিনির আগে। সর্বোচ্চ ১৩ গোলের রেকর্ড করেছিলেন তিনি।
১৯৮৪ সালে ইউরো কাপ জেতানোর মূল নায়ক ছিলেন প্লাতিনি। তারও আগে ১৯৭৮ সালে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে বুলগেরিয়াকে ৩-১ গোলে হারায় ফ্রান্স। এই ম্যাচে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে এক দুর্দান্ত শটে দুরন্ত গোল করে সবার নজর কাড়েন মিশেল প্লাতিনি।
১৯৮৪ সালে ইউরো কাপ জেতানোর মূল নায়ক ছিলেন প্লাতিনি। তারও আগে ১৯৭৮ সালে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে বুলগেরিয়াকে ৩-১ গোলে হারায় ফ্রান্স। এই ম্যাচে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে এক দুর্দান্ত শটে দুরন্ত গোল করে সবার নজর কাড়েন মিশেল প্লাতিনি।
আরও পড়ুন:
বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল: পর্ব-৬: খলনায়ক থেকে নায়ক
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫৩: রবীন্দ্রনাথের পোশাকআশাক
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৪৪: সুন্দরবনের সুন্দর কাঁকড়া
তাঁর ফুটবলে অভিষেক বাবা আলদোর হাত ধরে। প্রথমে ন্যান্সি ক্লাবের হয়ে খেলতে শুরু করেন। ১৯৭২ সালে বিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে প্রথম জয়সূচক গোলটি করেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ অবধি ন্যান্সি ক্লাবের হয়ে মোট ১৮১টি ম্যাচে ৯৮টি গোল করেছিলেন।
প্লাতিনি নিজেই বলতেন, ১৯৮২-র বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ম্যাচটি তাঁর জীবনের সেরা ম্যাচ। সে বছর পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে ৩-৩ ড্র করার পর ট্রাইবেকারে ফ্রান্স হেরে গেলেও ফ্রান্সের পক্ষে চমৎকার দৃষ্টিনন্দন গোল করেছিলেন প্লাতিনি
প্লাতিনি নিজেই বলতেন, ১৯৮২-র বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ম্যাচটি তাঁর জীবনের সেরা ম্যাচ। সে বছর পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে ৩-৩ ড্র করার পর ট্রাইবেকারে ফ্রান্স হেরে গেলেও ফ্রান্সের পক্ষে চমৎকার দৃষ্টিনন্দন গোল করেছিলেন প্লাতিনি
আরও পড়ুন:
রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৮: যেখানে বাঘের ভয় সন্ধে ঠিক সেখানেই হয়, আমারও ঠিক তাই হল
প্রসঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান: বাড়তি রক্তচাপ চিন্তা বাড়াচ্ছে? উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী করবেন, কী করবেন না
হাত বাড়ালেই বনৌষধি, হাঁপানির সমস্যা থেকে ক্যানসার সব রোগের দাওয়াই হলুদ
১৯৮৬ সালেও ফ্রান্সের ক্যাপ্টেন ছিলেন প্লাতিনি। কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র হওয়ার পর ট্রাইবেকারে ফ্রান্স জিতে যায়। এখানেও ফ্রান্সের পক্ষে প্লাতিনির প্রথম গোলটি স্মরণীয় হয়ে আছে। একা নিজের চেষ্টায় দলকে তিনি সেমিফাইনাল অবধি উঠিয়ে পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে ২-০য় হেরে যান।
আরও পড়ুন:
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৯: দাঁতে পোকা! সত্যি, নাকি নিছক ধোঁকা?
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২৫: আঁধার ভূবনে আবার কে তুমি জ্বেলেছ ‘সাঁঝের প্রদীপ’ খানি
স্বাদে-আহ্লাদে: চিকেন প্রিয়? তাহলে এমন হায়দরাবাদি চিকেনে জমিয়ে দিন দুপুর
না। সোনার বুট, রুপোর বুট, ব্রোঞ্জের বুটের কোনওটাই জোটেনি এই বিশ্বকাপারু ফুটবলারের। কিন্তু ২০১৪ সালে গার্ডিয়ান পত্রিকার বিচারে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা ১০ জনের মধ্যে একজন হয়ে প্লাতিনি চিরউজ্জ্বল আছেন এবং থাকবেন।
*বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল (Football – Top players first goals): শমীন্দ্র ভৌমিক (Samindra Bhowmick), শিল্পী ও ছড়াকার।