বুধবার ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪


ছবি সংগৃহীত

ভোরবেলার আতঙ্কের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের তীব্র ঝাঁকুনি। তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে তুরস্ক আরও একবার কেঁপে উঠল। দিশেহারা তুরস্কের প্রশাসন ভেবে কূল পাচ্ছে না উদ্ধারকাজ কোথা থেকে শুরু করবে, আর কোথায় গিয়ে শেষ হবে।

এ বারও তুরস্কের দক্ষিণ প্রান্তে কম্পন অনুভূত হয়েছে। তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশের এলবিট জেলা ছিল দ্বিতীয় ভূমিকম্পের উৎসস্থল। ভূমিকম্প হয় স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৪ মিনিটে। তীব্র ঝাঁকুনি অনুভূত হয় সিরিয়ার দামাস্কাস ও লাতাকিয়াতেও।
সোমবার ভারতীয় সময় ৪টে নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর কিছু ক্ষণ আগেই তুরস্ক প্রশাসন জানায়, প্রথম বারের কম্পনে মৃতের সংখ্যা ২৬১৯ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৬৫১ জনের। আর সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯৬৮ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর দ্বিতীয় বারের তীব্র ঝাঁকুনিতে নতুন করে কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা তুরস্ক প্রশাসন এখনও জানায়নি।
আরও পড়ুন:

বিশালাকার ঢেউ আছড়ে পড়ল প্রমোদতরীতে, মুহূর্তে ভাসিয়ে নিয়ে গেল খেলনার মতো, দেখুন সেই ভিডিয়ো

সমান তালে দু’হাতেই লিখতে পারেন ১১ রকম ভঙ্গিতে! আবার উল্টো দিকেও লেখেন কিশোরী, দেখুন সেই ভিডিয়ো

ইস্তানবুলের কান্দিল্লি মানমন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৫। প্রথম বার কম্পনটির মাত্রা ছিল ৭.৮। তুরস্ক এমন ভয়াবহ ভূকম্প ১৯৩৯ সালের পর থেকে দেখেনি। ইউএসজিএস জানিয়েছে, সে বারও তুরস্কে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৮। এরজিনকান প্রদেশে ভূমিকম্পে সে বার ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তুরস্কে ৭ কম্পাঙ্কের ভূকম্প গত ২৫ বছরে ৭ বার অনুভূত হয়েছে।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২৩: মোর সাধের বাসরে ঘটল ‘গৃহ প্রবেশ’

সোনার বাংলার চিঠিপর্ব-৯: অমর একুশে গ্রন্থমেলা: বাংলাভাষী লেখকদের আবেগ ও স্বপ্নের বইমেলা

ভূমিকম্পের জেরে তুরস্ক এবং সিরিয়াতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার ভোরে প্রথম বার কম্পনের ১১ থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের একাধিক অংশ দ্বিতীয় বার কেঁপে ওঠে। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-র মতে, এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭। তুরস্ক-সিরিয়ায় হওয়া এটি তৃতীয় তীব্র ঝাঁকুনি।

কম্পনের জেরে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। একাধিক দেশ সিরিয়া এবং তুরস্ককে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। ভারতও উদ্ধারকারী এবং চিকিৎসকদের দল পাঠাচ্ছে। সাহায্য পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনও।

Skip to content