ভারতীয় নৌসেনার বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য।
কর্নাটকের কারওয়ার বন্দরে বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্যের প্রয়োজনীয় মেরামতি ও আধুনিকীকরণের কাজ শেষের মুখে। দু’বার অগ্নিকাণ্ডের পরেও রণতরীর কর্মক্ষমতা এতটুকু কমেনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, বিক্রমাদিত্য আগামী ৩০ জানুয়ারি আবার সমুদ্রে ভাসতে পারে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই শুরু হবে ‘সি ট্রায়াল পর্ব’।
ভারতীয় নৌসেনার আরেক বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তেরও চূড়ান্ত ‘সি ট্রায়াল’ চলছে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বলয়ে বিক্রমাদিত্য এবং বিক্রান্তের উপস্থিতি চিনের মোকাবিলায় ভারতের অবস্থান বেশ মজবুত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় নৌসেনার আরেক বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তেরও চূড়ান্ত ‘সি ট্রায়াল’ চলছে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বলয়ে বিক্রমাদিত্য এবং বিক্রান্তের উপস্থিতি চিনের মোকাবিলায় ভারতের অবস্থান বেশ মজবুত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারত ২০১৪-র জানুয়ারি মাসে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে রাশিয়ার থেকে বিমানবাহী রণতরীটি কিনেছিল। ২০১৮ সালে এতে বসানো হয় ‘মেরিন হাইড্রলিক সিস্টেম’। এর ফলে এই রণতরীতে সহজেই যুদ্ধবিমান ওঠানামা করতে পারে। আইএনএস বিক্রমাদ ২৮৪ মিটার লম্বা এবং ৬০ মিটার চওড়া। ওজন ৪০ হাজার টনের এই রণতরী ২০ তলা বাড়ির সমান উঁচু। এর ডেকে ৩০টি যুদ্ধবিমান এবং ৬টি হেলিকপ্টার রাখার সুব্যবস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
জ্যোতির্লিঙ্গ যাত্রাপথে, পর্ব-২: বারাণসীকুলপতি বিশ্বনাথ
বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-৩: বাইরে ঘর, ঘরের মধ্যে ঘর
এখন বিক্রমাদিত্যে ব্যবহার করা হয় রুশ যুদ্ধবিমান মিগ-২৯। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিমানবাহী রণতরীটির জন্য আরও উচ্চ প্রযুক্তির নৌ-যুদ্ধবিমান কিনতেও সক্রিয় হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমেরিকায় তৈরি এফ-১৮ বা ফরাসি রাফাল-এম কেনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন:
চিনা অস্ত্রবোঝাই ড্রোন উড়ে এল পাকিস্তান থেকে, পঞ্জাবের গুরদাসপুরে উদ্ধার করল বিএসএফ
হোমিওপ্যাথি: আপনি কি নাক ডাকার সমস্যায় জেরবার? রেহাই পেতে এই বিষয়গুলি অবশ্যই জেনে রাখুন
উল্লেখ্য, গত বছর জুলাই মাসে কারওয়ার বন্দর থেকে সমুদ্রযাত্রার সময় আইএনএস বিক্রমাদিত্যে আগুন লেগেছিল। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় এক নৌসেনা অফিসারের। এর পরেই শুরু হয় বিক্রমাদিত্যের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও আধুনিকীকরণের কাজকর্ম। ২০১৯ সালের এপ্রিলে একবার অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছিল আইএনএস বিক্রমাদিত্য। সেবার কারওয়ার বন্দরে ঢোকার মুখে আগুন লেগে যায়। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নৌসেনার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ডিএস চৌহানের।