বুধবার ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪


দিল্লি, পঞ্জাব-সহ উত্তর পশ্চিম ভারতের বড় অংশ হাড়হিম করা শৈত্যপ্রবাহের জেরে কাঁপছে। উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য সোমবার সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আকাশ ঘন কুয়াশাছন্ন থাকায় ওই সব রাজ্যের দৃশ্যমানতা অনেকটা কমে শূন্যে পৌঁছেছে!
রবিবার রাজধানী দিল্লির সর্বনিম্ন পারদ ১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। হাওয়া দফতরের রেকর্ড বলছে, গত দু’বছরে বছরের শুরুতে এতটা পারদপতন দেখা যায়নি। দিল্লি, পঞ্জাবের পাশাপাশি মধ্য এবং পূর্ব ভারতের একাংশ শীতে কাবু। কুয়াশার জেরে কমে গিয়েছে দৃশ্যমানতাও। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের কাছাকাছি ছিল।
আরও পড়ুন:

কলকাতায় ঠান্ডা সামান্য কমলেও পারদ এখনও স্বাভাবিকের চেয়ে নীচেই, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কী?

আগামী সপ্তাহে রাজ্যের ডিএ মামলা উঠবে শীর্ষ আদালতে, পরবর্তী শুনানি হতে পারে ১৬ জানুয়ারি

ঘন কুয়াশার জেরে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচলে। সোমবার দিল্লির দৃশ্যমানতা কমে দাঁড়ায় ২০০ মিটারে। দুর্ঘটনা এড়াতে বেশ ধীর গতিতে চলছে যান চলাচল। দিল্লির বিমানবন্দরে কুয়াশা বেশি থাকায় ৪০টি বিমানের চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়। যদিও, সেই সব বিমান সামান্য দেরিতে গন্তব্যস্থলে পৌঁছেছে। অতিরিক্ত কম দৃশ্যমানতার জন্য ট্রেন চলাচলও বিঘ্ন হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, গন্তব্যস্থলে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে অনেকটা দেরিতে ২৯টি ট্রেন ধুকেছে। কোথাও কোথাও প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢুকেছে দু’ঘণ্টা দেরিতে।

আরও পড়ুন:

দিনের কোন সময়ে ওজন মাপবেন? সপ্তাহের কোন দিনে মাপলে ঠিকঠাক ওজন জানা যাবে?

হোমিওপ্যাথি: কনজাংটিভাইটিসের ভয়? মিথ ভুলে এই সব সতর্কতা মেনে চলুন

হাওয়া অফিস এও জানায়, রাজধানীর কিছু এলাকা এবং পঞ্জাবের ভাটিন্ডায় রবিবার রাতে দৃশ্যমানতা শূন্য ছিল। ঘন কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের অনেকাংশ। আবহবিদদের ধারণা, শৈত্যপ্রবাহের এই পরিস্থিতি জারি থাকবে দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়েও। আরও কিছুদিন এই পরিস্থিতি চলবে। তবে মৌসম ভবন এও জানিয়েছে, পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জন্য হাড়হিম করা ঠান্ডা থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে।

Skip to content