মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

বাড়ির খুদে সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমাদের ভীষণ সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সব সময়ই মাথায় রাখতে হবে তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় কোন কী কী কথা বলবেন, আর কী কী বলবেন না। কারণ, ছোটদের মনস্তত্ত্বও বেশ জটিল। তাই আপনার অসতর্ক হয়ে বলে ফেলা কোনও কথা কিন্তু ওদের মনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি হয়তো ভাবছেন, ওদের সঙ্গে ঠিক আচরণই করছেন। কিন্তু নিজের অজান্তে হয়তো অনবধানতাবশত এমন কিছু ওকে বললেন, যার ফলে খুদের মনে গভীর ক্ষত তৈরি হল।
 

কী কী আচরণ একদমই করবেন না?

 

কখনও তুলনা করবেন না

খুদের কোনও দিদি, ভাই, বোন বা বন্ধুর সঙ্গে কখনও ওর তুলনা করবেন না। এতে সন্তানের আত্মসম্মানে আঘাত লাগতে পারে। আপনার সন্তান যেমন, সেই নিজস্বতাকে স্বীকৃতি দিন। ওকে সে ভাবেই এগিয়ে যেতে দিন।

আরও পড়ুন:

বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-১: নারী কি আলাদা? তাঁরা পুরুষদের সঙ্গে বসতে ভয় পান? তাহলে কি এত আয়োজন শুধু তাঁদের ভয় দেখাতে…

দশভুজা: ‘ওগো তুমি যে আমার…’— আজও তাঁর জায়গা কেউ নিতে পারেনি/২

 

ভুল করলে না বোকে বুঝিয়ে বলুন

বাচ্চাকে যদি কোনও কাজ ভুল করে ফেলে তাকে সেটা বুঝিয়ে বলুন। খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চার মধ্যে যেন ভুলের জন্য অপরাধবোধ না জমে। আসলে অপরাধবোধ বাচ্চার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব গড়ে তুলতে পারে।

বিয়ের মরসুমে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া? পেট ভালো রাখতে রোজ পাতে থাকুক এই খাবারগুলি

ঘরের ভিতরের বাতাস দূষিত হয়ে যাচ্ছে? দূষণের মাত্রা কমাতে কী করবেন?

 

খুদের কথাও মন দিয়ে শুনুন

কেবলই যন্ত্রের মতো বাচ্চার স্কুলের পড়াশোনা বা খাওয়াদাওয়ার খেয়াল রাখছেন? ওদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানো না? এমনকি, ওর সঙ্গে মন খুলে কথা বলারও সময় নেই? বাচ্চার প্রতি কঠোর হতে গিয়ে নিজের অনুভূতিগুলি ওর থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে কিন্তু ভবিষ্যতে অনুভূতিশূন্যতার সমস্যায় ভুগবে বাচ্চা। সন্তান মনের কথা বলতে চাইলে তাকে থামিয়ে দেবে না। ওকে বলতে দিন। তা না হলে ওদের মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।


Skip to content