ছবি প্রতীকী
অনেক শিশুদের মধ্যেও খুব অল্প বয়স থেকেই অকারণে রাগ করার প্রবণতা দেখা যায়। সঠিক পথে আনার জন্য অভিভাবকরা অনেক সময়ই বাচ্চাদের বকাবকি করে থাকেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্তানদের রাগ বা জেদকে বশে আনতে গেলে চিৎকার করে বা বকাঝকা না করে আগে বুঝতে হবে, শিশুটির সমস্যার উৎস কী। কারণ, প্রতিটি বাচ্চার মনস্তত্ত্ব আলাদা। তাদের প্রাথমিক চাহিদাও ভিন্ন ভিন্ন। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে খুঁজে বার করুন, কেন তারা রেগে যাচ্ছে। মনোবিদদের মতে, সাধারণত দুটি কারণে বাচ্চাদের মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে।
কী কী কারণে ছোটদের মেজাজ বিগড়ে যায়?
অপূর্ণ ইচ্ছে বয়স অল্প হলেও খুদেদেরও মনে তাদের মতো করে নানা রকম ইচ্ছে তৈরি হতেই থাকে। সেই ইচ্ছে পূরণ না হলেই তাদের মেজাজ বিগড়ে যায়, তাদের রাগ হয়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে এই অপূর্ণ ইচ্ছে থেকেই রাগের জন্ম হতে পারে। কিন্তু অভিভাবকরা যদি এই বিষয়টিকে এড়িয়ে যান, সে ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়তে পারে।
ইংলিশ টিংলিশ: সহজে শিখে নাও Adjective-এর Degree Change কাকে বলে
শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ২৮: অযোধ্যাবাসীরাও কি সঙ্গী বনযাত্রায়?
অভিভাবকদের কী করণীয়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, অল্প বয়সে এই সমস্যা কম-বেশি সব বাচ্চাদের মধ্যেই দেখা যায়। কিন্তু বড়রা যদি হাল না ধরেন, তা হলে এই ছোট ছোট সমস্যা থেকেই পরবর্তী কালে জটিল মানসিক রোগ দেখা দিতে পারে। তাই সন্তানের সব কথা মেনে না নিলেও তাদের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।
‘সুশান্তকে গলায় কেউ দড়ি পেঁচিয়ে ধরেছিল, তার থেকেই ওই দাগ হয়েছে’! দাবি হাসপাতালের সেই মর্গকর্মীর
ছোটদের যত্নে: শিশুকে টনসিলের সমস্যা থেকে দূরে রাখতে চান? মেনে চলুন শিশু বিশেষজ্ঞের এই সব টিপস
বোঝার অক্ষমতা
অল্প বয়সে ঠিক বা ভুল বিচার করার ক্ষমতা থাকে না। অভিভাবকদের কোনও বিষয়ে ‘না’ বলার পিছনে কী প্রকার কারণ থাকতে পারে, তা বোঝার মতো বয়স না হলে খিটিমিটি লেগেই থাকে। ‘মা-বাবা তাদের কথা বুঝতে চাইছে না’—এই অভিযোগ সব সময়েই শিশুদের মনে চলতে থাকে। অনেক সময়ই ধৈর্যের অভাবে বড়রাও ছোটদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ফেলেন। যার ফলে তাদের মনে অনেক বেশি আঘাত লাগে যায়।