রবিবার ১০ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

স্ট্রোক হওয়া মানেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার প্রয়োজন। যদি খুব তাড়াতাড়ি রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে অনেকটাই কমে মৃত্যুর আশঙ্কা। চিকিৎসায় সামান্য দেরি হলেই ঘটতে পারে বিপদ। কিন্তু কখনও কখনও একটু আগে থেকে সতর্ক হওয়া গেলে বড় বিপদ এড়িয়ে যাওয়া যায়। স্ট্রোক নানা ধরনের হয়। কিন্তু সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রে ইস্কিমিক স্ট্রোক দেখতে পাওয়া যায়।
মূলত এই ধরনের স্ট্রোক মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে যাওয়ার কারণেই হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে প্রধান উপসর্গ হল হাত ও পা দুর্বল এবং শিথিল হয়ে যাওয়া। স্ট্রোকের অন্যান্য উপসর্গও হঠাৎ দেখা দেয়। কিন্তু এই উপসর্গটি দেখা দেয় বাকি সব লক্ষণ জানান দেওয়ার আগেই। তখন হাত-পা নাড়াতে সমস্যা হয়। প্যারালিসিসের শুরু হয় এ সময় থেকে। কোনও কাজ করতে গেলেই হাত-পা বাধা তৈরি করতে পারে।
আরও পড়ুন:

ডায়েট ফটাফট: তরতাজা থাকতে নিয়মিত প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খান? বড়সড় বিপদ এড়াতে এই সব নিয়ম মেনে চলছেন তো?

রোমহর্ষক ঘটনার সাক্ষী! জঙ্গল সাফারিতে গিয়ে পর্যটকের গাড়িতে ঢুকল চিতা! দেখুন সেই গায়ে কাঁটা দেওয়া ভিডিয়ো

আমরা জানি, আমাদের সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের সঙ্কেতই আসে মস্তিষ্ক থেকে। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমতে শুরু করলে তা পেশিতেও প্রভাব ফেলে। পেশি শক্ত হয়ে যেতে শুরু করে। তাই হাত-পা নাড়াতেও তখন সমস্যা হয়।
এ ছাড়াও স্ট্রোকের অন্য কোনও লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হতে হবে। কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
আচমকা শরীরের ভারসাম্য বিগড়ে যেতে পারে।
হঠাৎ এক চোখে বা দুই চোখেই দৃষ্টি চলে যেতে পারে।
মুখের এক দিক বেঁকে যেতে পারে।
কথা বলতে গিয়ে কথা জড়িয়ে যাওয়া।
হাতে ব্যথা হওয়া।
আরও পড়ুন:

শীতের আমেজে লোভনীয় কিছু খাওয়ার ইচ্ছা? রেস্তরাঁর মতো ঝটপট বানিয়ে ফেলুন সুখা মরিচ মাটন

ভারতীয় সাহিত্যের এই সাধক যখনই কলম ধরেছেন বাংলাভাষা ততই পদ্ধতিগতভাবে এগিয়েছে/২

চিকিৎসকদের মতে, এই সব লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী ভাল হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে। স্ট্রোক হওয়ার পরবর্তি ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় রোগী সঠিক চিকিৎসা পেলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। তাই সময় একেবারেই নষ্ট না করে দ্রুত চিকিৎসা করা উচিত।

Skip to content