ছবি প্রতীকী
হালের গবেষণা বলছে, মানসিক অবসাদ কাটাতে পিয়ানোর মতো যন্ত্রসঙ্গীতের সুর বিশেষ ভাবে কার্যকর। লন্ডনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক করিন পেট্রিনি বলেন, “যন্ত্রসঙ্গীত শোনা বা বাজানোর সময় অদ্ভুত ভাবেই মনমেজাজ ভালো হয়ে যায়। তবে গবেষণা করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যন্ত্রসঙ্গীত শোনার চেয়ে শেখার গুরুত্বই বেশি।”
যন্ত্রসঙ্গীত শেখার ক্ষেত্রে আঙুল এবং মস্তিষ্ক দুই-ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে পিয়ানো শেখার ক্ষেত্রে। আঙুলের সঙ্গে মাথার মেলবন্ধন না হলে কোনও যন্ত্রসঙ্গীতই শেখা সম্ভব নয়। তাল এবং ছন্দের জন্য মস্তিষ্কে আলাদা দু’ভাগ প্রকোষ্ঠ থাকে। সেই ভাবেই দু’টি হাত কাজ করে। শেখার একদম প্রথম দিকে আঙুল সড়গড় করানোর জন্য ২০ মিনিট ধরে এক-একটি পর্ব চলতে থাকে।
আরও পড়ুন:
হেলদি ডায়েট: হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন? কী ভাবে নেবেন যত্ন? হাড় মজবুত রাখতে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় এই সব বদল আনুন
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১৫: যখন ‘ওরা থাকে ওধারে’
দ্বিতীয় ভাগে ৪০ মিনিট ধরে চলে মাথার এবং হাতের একই সঙ্গে অনুশীলন করতে হয়। এই হাত এবং মাথা যখন একসঙ্গে ‘সিঙ্ক’ করতে শুরু করে, তখনই মস্তিষ্কের নেতিবাচক চিন্তাভাবনার উপর তার প্রভাব পড়ে। মাথার মধ্যে সর্বক্ষণ চলতে থাকা ভালো-মন্দের দ্বন্দ্বে জয়ী হয় ইতিবাচক মনোভাব। পাশাপাশি, বাড়তে থাকে ‘হ্যাপি হরমোন’ সেরেটোনিনের প্রভাবও।