ছবি প্রতীকী
ভারতে বিপুল পরিমাণ বিক্রি হওয়া জনপ্রিয় সংস্থার স্যানিটারি ন্যাপকিনগুলিতে পাওয়া গিয়েছে একাধিক বিপজ্জনক কেমিক্যাল। এর সঙ্গে দীর্ঘ সময় সংস্পর্শ ঘটে নারী শরীরের অন্যতম সংবেদনশীল অঙ্গের। সম্প্রতি দিল্লির একদল গবেষক এমনটাই দাবি করেছেন। তাঁদের কথায়, এই স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের ফলে ভয়ানক রোগ বাসা বাধাতে পারে মহিলাদের শরীরে। হতে পারে হৃদযন্ত্রের কঠিন অসুখ, ডায়বেটিস, এমনকী ক্যানসারের মতো মারণ রোগও। সাধারণত পরিবেশ নিয়ে কাজ করে থাকে বেসরকারি সংস্থা টক্সিক লিঙ্ক।
সম্প্রতি ‘মেন্সট্রুয়াল ওয়েস্ট ২০২২’ শিরোনামে একটি সমীক্ষাপত্র প্রকাশ করেছে তারা। সংস্থাটি বাজার চলতি ১০টি ব্র্যান্ডের স্যানিটার ন্যাপকিন নিয়ে কাজ করে। এর মধ্যে চারটি ‘অরগ্যানিক’ এবং ছ’টি ‘ইনঅরগ্যানিক’ ছিল। সবকটিতেই বিপুল পরিমাণ বিপজ্জনক কেমিক্যালের উপস্থিতি পেয়েছেন গবেষকরা। বিজ্ঞানীদের দাবি, স্যানিটারি প্যাডে এমন কিছু কেমিক্যাল রয়েছে যার ফলে হৃদযন্ত্রের অসুখ হতে পারে, ভবিষ্যতে সন্তান উৎপাদনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। হতে পারে ডায়াবেটিসও। এমনকি, ঝুঁকিবহুল কেমিক্যালের সংস্পর্শ আসা মা জন্মগত ত্রুটি থাকা সন্তান প্রসব করতে পারেন। এমনকী ক্যানসারের মতো মারণ অসুখ হতে পারে।
আরও পড়ুন:
বিয়ের মরসুমে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া? পেট ভালো রাখতে রোজ পাতে থাকুক এই খাবারগুলি
ইংলিশ টিংলিশ: Appropriate Prepositions কাকে বলে জানো কি?
টক্সিক লিঙ্কের অন্যতম গবেষক ড. অমিত বলেন, “সাধারণত যে স্যানিটারি ন্যাপকিনগুলি ভারতের মহিলারা ব্যবহার করে থাকেন, তাতে অসংখ্য ক্ষতিকারক রাসয়নিক খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি খুবই অবাক করার মতো ঘটনা। আমরা কার্সিনোজেন পেয়েছি স্যানিটারি প্যাডে, যা প্রজননের জন্য বিষের সমান। ঋতুস্রাবের বিঘ্ন ঘটাতে পারে এমন পদার্থ পেয়েছি। এছাড়াও অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে এমন একাধিক বিষাক্ত রাসায়নিক মিলেছে জনপ্রিয় এই সব স্যানিটারি প্যাডগুলিতে।”
এক টিকিটেই কলকাতার ২১টি দর্শনীয় স্থানে প্রবেশাধিকার! বেড়ানোর মরসুমে শীতের শহরে পর্যটনমন্ত্রীর উপহার
বছর শেষে স্মার্টফোন কেনার পরিকল্পনা করছেন? আমাজন দিচ্ছে আকর্ষণীয় অফার, জেনে নিন খুঁটিনাটি
গবেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ভয়ের কথা হল সাধরণ ত্বকের তুলনায় যৌনাঙ্গ অনেক বেশি সংবেদনশীল। তাছাড়া তা ত্বকের চেয়ে অনেক বেশি হারে রাসায়নিক শোষণ করে থাকে। ফলে মহিলারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন একথা বলাই যেতে পারে। এখন দেখার গবেষকদের বিস্ফোরক দাবির পর কী ব্যবস্থা নেয় সরকার ও স্যানিটারি ন্যাপকিনের সংস্থাগুলি।