শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


সালটা ২০১৭। ঐন্দ্রিলার প্রথম ধারাবাহিক ‘ঝুমুর’-এর সেটেই প্রথম দেখা তাঁদের। তবে সেই প্রথম দেখাতেই যে তাঁরা পরস্পরকে মন দেওয়া নেওয়া করে ফেলেছিলেন তা কিন্তু নয়। ‘প্রথম দেখায় প্রেম’-এ মোটেও বিশ্বাসী ছিলেন না ঐন্দ্রিলা। তা হলে কী ভাবে শুরু হল এই রূপকথা? শুটিং থেকে ছুটি পেলেই বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মিলে আড্ডা দিতেন ঐন্দ্রিলা। থাকতেন সব্যসাচীও। তার পর ধীরে ধীরে ফোনে শুরু কথাবার্তা। সেখানে থেকে এগোয় তাঁদের মধ্যেকার সম্পর্ক। তার পর ৫ বছর নানা চড়াই-উৎরাই। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না। অবশেষ হাত ছাড়লেন ঐন্দ্রিলা। থেকে গেল তাঁদের রূপকথার আখ্যান।
টানা ১৯ দিনের লড়াই শেষ। রবিবার বেলা ১২.৫৯ নাগাদ না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। এখন তিনি চিরঘুমে। তবে মৃত্যুর সঙ্গে প্রতিটি মুহূর্তে লড়াই করে গিয়েছেন ২৪ বছরের এই মেয়ে। আর সমস্ত লড়াইয়ে পরিবারের সঙ্গে ছিলেন যে মানুষটি, তিনি হলে‌ন অভিনেত্রীর একান্ত বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী। তবে প্রিয়জনকে হারিয়েছেন সব্যসাচী। বহু মানুষের তাই উৎকণ্ঠা, অভিনেতা সব্যসাচী কেমন আছেন? সেই খোঁজ পাওয়া গেল সব্যসাচীর খুব কাছের বন্ধু সৌরভ দাসের কাছ থেকে।
আরও পড়ুন:

দীর্ঘ লড়াইয়ের সমাপ্তি, প্রয়াত ঐন্দ্রিলা, ২৪ বছর বয়সেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ অভিনেত্রীর

অভিনেত্রী ও সঞ্চালক তবস্‌সুম প্রয়াত, হৃদ্‌রোগই মৃত্যু তাঁর

সৌরভের কথায়, ‘‘সব্য ভেঙে পড়েছে। আর ও এই পরিস্থিতিতে কেমনই বা থাকবে। ঐন্দ্রিলার পরিবারও ভেঙে পড়েছে। তবে সব্যকে বলেছি, এক ফোঁটা চোখের জল না ফেলতে। আজ ঐন্দ্রিলার পরিবারের পাশে ওকে থাকতে হবে। সব্য ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আর কখনও লিখবে না। কারণ, সব্য মিষ্টির কথাতেই লিখতে শুরু করে। সবার সঙ্গে ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর ভাগ করে নিচ্ছিল। যদি কেউ আশা করেন, ফেসবুকে ও পোস্ট দেবে, তা আর সম্ভব হবে না।’’
আরও পড়ুন:

দশভুজাঃ দেবীপক্ষের প্রাককালে তিনিই তো দুর্গা…

ফল কালারের রূপ-মাধুরী, পর্ব-৬: গাড়ির সান রুফ খুলে চালিয়ে দিলাম ‘সুহানা সফর হ্যায় ইয়ে মৌসম হাসি, হামে ডর হ্যায় কে…’

ফেসবুকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। লিখেছেন কেবল দু’টি বাক্য, ‘‘ভালো থেকো ঐন্দ্রিলা। তোমার ইচ্ছাশক্তি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকুক।’’ এই দুই বাক্যের মাধ্যমেই প্রসেনজিৎ বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন তরুণ অভিনেত্রীর মৃত্যু তাঁকে কতটা ব্যথিত করেছে।

Skip to content