শনিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

সদ্যোজাতের মা হল ১৩ বছরের এক কিশোরী। মধ্য কলকাতার একটি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার মা হয়েছে ওই কিশোরী। হাসপাতালের পক্ষ থেকে, ওই নাবালিকার মা হওয়ার খবরটি থানায় জানান হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত সদ্যোজাতদের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে শিশুটিকে রাখা হয়েছে। কিশোরী সুস্থ রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরী গত নভেম্বরে ১৩ বছরে পা দিয়েছে। ওর বাবা-মা দিল্লিতে থাকেন। দিল্লিতে পরিচারিকার কাজ করেন মা। আর বাবা দোকানে কাজ করেন দিল্লির একটি গ্রিলের দোকানে। দিল্লিতে নাবালিকা বাবা-মায়ের কাছেই থাকত। সে কলকাতায় আসে পুজোর সময়। এখানে আসার পরে ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। শুরু হয় পেটে ব্যথা। এর পরে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে জানা যায় ও অন্তঃসত্ত্বা।
আরও পড়ুন:

প্রবল তুষারঝড়ে কাশ্মীরে মৃত্যু বাঁকুড়ার জওয়ানের, শহিদকে শেষবারের মতো দেখতে অপেক্ষায় গোটা গ্রাম

শনিবার ভোর থেকেই সাঁতরাগাছি সেতুর এক দিক সম্পূর্ণ বন্ধ, রাতে বন্ধ থাকবে দু’দিকই, বিকল্প পথ কী কী?

গত বৃহস্পতিবার নাবালিকার প্রসববেদনা শুরু হলে তাকে মধ্য কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কিশোরী পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়। শিশুটির ওজন বেশ কম হওয়ায় তাকে ‘নিকু’তে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের সুপার জয়ব্রতী মুখোপাধ্যায়ের কথায়, নাবালিকাকে তাঁর দিদিমা ও মাসি বৃহস্পতিবার হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতে খোঁজখবর করি। জানার চেষ্টা করা হয়, কী ভাবে এমনটা হল? তবে সেই মুহূর্তে কিশোরীর প্রাণ বাঁচানোকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর পর থানায় নাবালিকা মায়ের বিষয়টি জানানো হয়।’’
আরও পড়ুন:

পুকুরে ‘মাছের গুঁতো’য় অচৈতন্য যুবক, হাসপাতালে ভর্তি আশঙ্কাজনক অবস্থায়

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১০: কান্না-হাসির দোল দোলানো ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ [২০/০২/১৯৫৩]

এ প্রসঙ্গে কিশোরীর দিদা জানান, নাবালকা দিল্লিতে থাকত। ও যখন কলকাতায় এল, তখন কিছুই জানতে পারিনি। এর পরে ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে জানা যায় কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি জানার পর আমরা ভয়ে এবং লজ্জা অভিযোগ করতে পারিনি। আমরা নাবালিকার কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ও বলে, এক জন পরিচিত আসতেন, তিনি ভয় দেখিয়ে জোর করে কিছু করেছেন।

Skip to content