সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


অবশেষে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যার অপরাধীরা মুক্তি পাচ্ছেন। শুক্রবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশে অপরাধীরা মুক্তি পাচ্ছেন। এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মোট ছ’জনকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই ছ’জন হলেন—নলিনী শ্রীহরণ, রবিচন্দ্রন, শান্থন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমার। এর আগে চলতি বছরের মে মাসে আর এক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পেরারিভালনকে সুপ্রিম কোর্ট মুক্তি দিয়েছিল। রাজীব হত্যা মামলায় এই ছ’জনও যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত। এঁরা ২৩ বছর বা তার বেশি সময় জেলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। শুক্রবার মুক্তির রায় শুনে নলিনী জানান, ‘‘আমি জঙ্গি নই।’’
তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবদুরে ১৯৯১-এর ২১ মে এক নির্বাচনী জনসভায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ হয়। সেই ঘটনায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যু হয়। এই মামলায় আদালত সাত জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। এর পর তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেন। পরে ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দেয়।
আরও পড়ুন:

এখনও জ্ঞান ফেরেনি, ফের জ্বর ঐন্দ্রিলার, সংক্রমণের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা

নাট্যকার গিরিশচন্দ্রের সন্ধানে, পর্ব -২৩: প্রায় সাত মাস ধরে ‘ম্যাকবেথ’ নাটকের রিহার্সাল চলেছিল

উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুর তৎকালীন এডিএমকে মন্ত্রিসভা ২০১৮ সালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের সময়ের আগে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত পাঠানো হয় তামিলনাড়ুর তৎকালীন রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে। রাজ্যপাল আবার তা বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু রাজ্যপালের অনুমোদন না পাওয়ায় পেরারিভালন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে পেরারিভালন মুক্তি পান। এর পর নলিনী এবং রবিচন্দ্রন মাদ্রাজ হাই কোর্টে মুক্তির আবেদন করেন। মাদ্রাজ হাই কোর্ট এ বিষয়ে তাঁদের সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের কথা বলে।

Skip to content