সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


নাট্যকার অমল রায়।

না, ইনি তেমন বিখ্যাত কেউ নন। যেটুকু পরিচিতি ছিল জীবিতাবস্থায়, মৃত্যুর কয়েক বছর পরে তা অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে প্রাকৃতিক নিয়মেই। কিন্তু আমার হৃদয়ে তাঁর জন্য শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার আসনটি চিরকালের জন্য পাতা রয়েছে, থাকবেও। শুধু নাটকের মানুষ বলে নয়, একজন সৎ, নির্ভীক, আপষহীন মানুষ বলেই অমল রায় আমাদের মতো কিছু মানুষের হৃদয়ে এবং মননে আজও বেঁচে আছেন।

৭০ দশকের সেই উত্তাল সময়ের ফসল, প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তনী, পরবর্তীকালে রাজনৈতিক বন্দি আমাদের সবার প্রিয় অমলদা। দ্রুত লিখতে পারতেন নাটক। মাত্র এক বেলার মধ্যে নতুন নাটক লিখে ছোট ছোট অসংখ্য গ্রুপকে দিয়েছেন কোনও পারিশ্রমিকের প্রত্যাশা না করেই। তারা সেটি মঞ্চস্থ করেছে একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতার আসরে। কত নাটক লিখেছেন সারা জীবনে, উনি নিজেও তা জানতেন না। ক্ষুরধার লেখনি, চূড়ান্ত নাটকীয়তা, সামাজিক ভন্ডামির মুখে সজোরে লাথি কষানো থাকতো তার অধিকাংশ লেখাতেই।

অমল রায়ের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় আটের দশকের গোড়ায়। তখন আমি সদ্য ডাক্তারি পাশ করেছি আর জি কর মেডিকেল কলেজ থেকে। বাড়ি থেকেই যাতায়াত করে ইন্টার্নশিপ করছি। আড়িয়াদহে অমলদার পুরনো বাড়ির সামনের মোড়ে একটি চায়ের দোকানে প্রতি রবিবার উনি সদলবলে চা এবং বিড়ি সহযোগে আড্ডার আসর বসাতেন। আসলে উনি বসাতেন না, ওঁকে ঘিরে নাটকের লোকজন এবং তার গুণগ্রাহীরাই আসরটা বসাতেন। অপরিসর জায়গায় ভাঙাচোরা একটি বেঞ্চ এবং সংলগ্ন রাস্তার মোড়ের সেই আড্ডায় কত পাণ্ডিত্যপূর্ণ আলোচনাই না হতো! তর্ক বিতর্কও কম হতো না। সেই রকম একটি রবিবাসরীয় দ্বিপ্রাহরিক আড্ডায় অমলদার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ঘটে সম্ভবত কেষ্ট ওরফে কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে। ওর ট্যালেন্ট নাট্য সংস্থায় এর আগে আমরা অমলদার লেখা ‘রাজা ক্যানিয়ুট’ নাটকটি করেছি উদয়পুর সংগঠনীর নাট মঞ্চে। নাট্য প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অমলদাকে চাক্ষুষ দেখেও ফেলেছি। কিন্তু পরিচয় এই প্রথমবার। সেদিনের পরিচয়ে কী কথা হয়েছিল, আজ আর মনে নেই। তবে এটা মনে আছে অত লোকের ভিড়ে অমলদার আমার দিকে আলাদা করে অ্যাটেনশন দেওয়ার কোনও সুযোগ ছিল না।
অমলদার সঙ্গে সম্পর্কটা দৃঢ় হতে শুরু করে ১৯৮৭-র শেষ থেকে, যখন আমি ঠাকুরপুকুর ক্যানসার হাসপাতাল ছেড়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করি এবং সপ্তাহের প্রতি শনিবার আড়িয়াদহ মাতৃমঙ্গল প্রতিষ্ঠানে আউটডোর করা শুরু করি। অমলদার শনি-রবিবার অফিস ছুটি থাকতো। হাসপাতাল আউটডোর শেষ করে দুপুর একটা নাগাদ সাইকেল চালিয়ে অমলদার ভাড়া বাড়িতে হাজির হতাম আমি। দেখা হতো অমলদার বাবা প্রাক্তন স্বাধীনতা সংগ্রামী দীর্ঘদেহী সৌম্য দর্শন বৃদ্ধের সঙ্গে। আমাকে দেখেই হাঁক-ডাক শুরু করতেন, ‘তপন কোথায় তুই? অমিতাভ এসেছে।’ অমলদার আরেকটি নাম ছিল তপন। বৃদ্ধ আমাকে স্নেহ করতেন, আমিও তাকে শ্রদ্ধা করতাম। টুকরো টুকরো কথাবার্তা হতো আমাদের। বৌদি চা দিয়ে যেতেন। সেই চা বিস্কুট খেতে খেতে দোতলার একটি ছোট্ট ঘরে তক্তপোষ এবং নড়বড়ে চেয়ারে বসে শুরু হতো আমাদের দ্বিপ্রাহরিক সাপ্তাহিক আড্ডা। অধিকাংশ সময় অমলদাই বলতেন, আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনে যেতাম। আমিও তখন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক নানা প্রবন্ধ লিখছি। অমলদাকে সেগুলো বলতাম, দুই একটি পড়েও শোনাতাম। এর মধ্যে হঠাৎ করে ‘দেশ’ পত্রিকায় সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের সানুগ্রহে কভার স্টোরি লেখার ডাক পেলাম। শিরোনাম ছিল: ডাক্তারিতে পিছিয়ে পড়ছে বাঙালি। লেখাটি প্রকাশ হওয়ার পর অমলদা যে কি খুশি হয়েছিলেন, কি ভাষায় যে প্রশংসা করেছিলেন, তা বলার নয়!

এর আগে আমি গোটা তিনেক নাটক লিখেছি, ছোট পূর্ণাঙ্গ নাটক। আমার তৎকালীন নাট্যদল থিয়েটার কোরামের হয়ে সেগুলো মাঝে মাঝে অভিনীত হতো। ‘বড়বাবুর বাঘ শিকার’ নাটকটি অমলদাকে শুনিয়েছিলাম, বাহবাও পেয়েছিলাম। এভাবেই চলছিল। অমলদার সাপ্তাহিক সান্নিধ্য না পেলে মনে হতো, কিছু যেন একটা মিস করছি। বন্ধ হয়ে যাওয়া দিলীপবাবুর ‘অভিনয়’ পত্রিকা অমলদা আবার চালু করলেন বছরে একটি করে শারদীয়া সংখ্যা প্রকাশের মাধ্যমে। এক শনিবারের আড্ডায় আমাকে বললেন, ‘আপনি মহাশ্বেতা দেবীর যে কোনও একটি গল্পের শ্রুতি নাট্যরূপ করে আমাকে দিন। অভিনয় পত্রিকায় শ্রুতি নাট্য ক্রোড়পত্র করছি।’ শুনে আমি বললাম, ‘অমলদা আমি তো কোনওদিন শ্রুতি নাটক লিখিনি। আমি কি পারবো? তা ছাড়া মহাশ্বেতা দেবীর গল্প তো সেভাবে পড়িওনি আমি!’ একথা শুনে অমলদা আমার হাতে একটি বই তুলে দেন। বইটি ছিল ‘মহাশ্বেতা দেবীর শ্রেষ্ঠ গল্প’। পরবর্তীকালে সেটি পড়ে আমি ‘বাঁয়েন’ গল্পটির শ্রুতি নাট্যরূপ করি এবং অমলদা সেটি অভিনয় পত্রিকায় প্রকাশ করেন। এ ভাবেই অমলদার হাত ধরে শ্রুতি নাট্য জগতে প্রবেশ করি আমি।
আরও পড়ুন:

ডাক্তারের ডায়েরি, পর্ব-৪২: সিনেমায় মৃত্যু দৃশ্য নিয়ে মৃণাল সেনের সাক্ষাৎকার

গল্প: পরশ

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১০: কান্না-হাসির দোল দোলানো ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ [২০/০২/১৯৫৩]

ফল কালারের রূপ-মাধুরী, পর্ব-৬: গাড়ির সান রুফ খুলে চালিয়ে দিলাম ‘সুহানা সফর হ্যায় ইয়ে মৌসম হাসি, হামে ডর হ্যায় কে…’

এরপর অমলদা ১৯৮৯ সালে আমার চারটি শ্রুতি নাটক (ট্রিটমেন্ট, ইন্দু বাবুর কপাল, তৃতীয় পক্ষ এবং সাঁঝবেলাতে) প্রকাশ করেন অভিনয় পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যায়। এবং সেগুলোরই অফ প্রিন্ট নিয়ে ‘একগুচ্ছ শ্রুতি নাটক’ নামে আমার প্রথম নাটকের বই প্রকাশিত হয় ১৯৯০ সালে অমলদারই উদ্যোগে। ঘটা করে সেটির উদ্বোধন হয় ত্রিপুরা হিতসাধনী মঞ্চে সাহিত্যিক দুলেন্দ্র ভৌমিক, আবৃত্তিকার নীলাদ্রিশেখর বসু, নাট্য ব্যক্তিত্ব দিলীপ মিত্র-সহ বহু গুণী লোকের উপস্থিতিতে। একটি বিতর্ক সভাও হয় সেখানে, যার বিষয় ছিল ‘শ্রুতি নাটক কি আদৌ নাটক!’ এরপর অমলদার উৎসাহেই দে’জ পাবলিশিং থেকে জনস্বাস্থ্য পুস্তকের পাশাপাশি একে একে ‘এক ডজন শ্রুতি নাটক’, ‘হাফ ডজন শ্রুতি নাটক’, ‘শ্রুতি নাটক চিত্র নাটক’, ‘আরও এক ডজন শ্রুতি নাটক’ –মোট চারটি শ্রুতি নাটকের বই প্রকাশিত হয়েছে। আর এগুলোর প্রত্যেকটিরই জন্ম যন্ত্রণার সঙ্গে অমলদার নিরলস যোগাযোগ ছিল। একমাত্র অমলদাই জানতেন, কোন নাটক কোন প্রেক্ষিতে, কোন ঘটনার প্রতিঘাতে লিখেছিলাম আমি।

পেশার বাইরে আমার ভালোবাসার জগৎ হল নাটক, সে কথা আমি আগেও বলেছি। আমি অভিনেতা ছিলাম, এখনও আছি। কিন্তু আমাকে নাট্যকার (শ্রুতি ও মঞ্চ) বানিয়েছেন একজনই, যার নাম অমল রায়। শ্রুতি নাট্যকার হিসেবে যেটুকু জনপ্রিয়তা পেয়েছি, আজও পাচ্ছি– সবটাই ওঁনার জন্যই। উনি ‘হাফ ডজন শ্রুতি নাটক’ বইটিতে আমার ১৮টি নাটক, যা তখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো নিয়ে একটি অসাধারণ সমালোচনামূলক দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখেছিলেন। যেটি পড়ে আমি আনন্দের আতিশয্যে ভেসে গিয়েছিলাম এবং নিজেকে নাট্যকার হিসেবে নতুন ভাবে আবিষ্কার করেছিলাম। একটু উদ্ধৃতি দিচ্ছি।
‘শ্রুতি নাটকের জগতে অমিতাভর জনপ্রিয়তা একাঙ্ক নাট্যকার রাধারমন ঘোষের জনপ্রিয়তার সমগোত্রীয় বলে অন্তত আমার মনে হয়। এই অধমের মতে ক্যানসার নিয়ে লেখা অমিতাভর ‘রিক্তাকে নিয়ে চিঠি’ সাম্প্রতিককালের শ্রেষ্ঠ শ্রুতি নাটক।’

কি অসাধারণ কমপ্লিমেন্ট ভাবা যায়! অমলদাকে অনেকবারই জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করেছে, সত্যিই কি এত প্রশংসার যোগ্য আমি! কত কথাই তো মনে পড়ে। ওঁর উদ্যোগেই তো প্রতিবছর কলকাতা বইমেলায় গিল্ড অডিটোরিয়ামে দে’জ পাবলিশিং থেকে আমার লেখা বইয়ের প্রকাশ অনুষ্ঠান হতো, বহু গুণীজনের সানুগ্রহ উপস্থিতিতে। নিবেদনে নাম থাকত অভিনয় পত্রিকার। ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত অমলদা তার ব্যারিটোন ভয়েস নিয়ে এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করতেন এবং বাছা বাছা সু-বিশেষণে আমাকে ভূষিত করতেন। সেই কম্বুকণ্ঠের ধার যখন কমে এল, অমলদা তখন আর বইমেলার অনুষ্ঠানে আসতে চাইতেন না, এলেও মাইকের সামনে দাঁড়াতেন না। বুঝতে পারতাম, এই কালান্তক অসুখটি মানুষটিকে ধীরে ধীরে কমজোরি করে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন:

কাজের চাপে হাঁসফাঁস অবস্থা? কী করে পরিস্থিতি সামলাবেন? জেনে নিন কিছু সহজ উপায়

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ২২: সত্যের শৃঙ্খলে বন্দি রাজা দশরথ

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৪০: রবীন্দ্রনাথকে দারোয়ান ভেবে দৌড়ে পালিয়েছিল চোর

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-১০: চিতল মাছের মুইঠ্যা! একটি আবেগ

অমলদাই তো আমাকে কত শ্রুতি নাট্য প্রতিযোগিতায় বিচারক করে নিয়ে গিয়েছেন। আমাকে সম্মানিত করেছেন বারবার, সুউচ্চ কণ্ঠে আমার নাটক নিয়ে আলোচনা করেছেন, দেখতে এসেছেন আমার পরিচালিত ডাক্তারবাবুদের অভিনীত নাটক কামারহাটির নজরুল মঞ্চে। বারবার দেখেছেন, হেসেছেন, ভালোলাগার আতিশয্যে ভরিয়ে দিয়েছেন আমাদের মন প্রাণ। আদ্যোপান্ত রাজনীতির মানুষ ছিলেন যিনি, তিনি এই অরাজনীতিক নাট্যকর্মীকে কি করে এত ভালোবাসতেন কে জানে! আর আমিই বা কি করে এই মানুষটির অনুরোধে-আদেশে প্রায় চল্লিশটি নাটক সেই সময় লিখে ফেলেছিলাম! আসলে আমাদের মতো নাট্যমোদীদের কাছে উনি ছিলেন হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা, যাঁর এক ডাকেই কলকাতা এবং আশপাশের বহু জেলার নাট্যকর্মীরা হাজির হতেন। সবারই মুশকিল আসান ছিলেন উনি। কতজনকে যে নাট্যকার বানিয়েছেন, নাটক ছাপার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, অভিনয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন, তা অমলদা নিজেও জানতেন না। আমাদের এই শিল্প-সংস্কৃতির জগতে চারপাশে যখন শুধুই ধান্দাবাজদের ভিড়, অমলদা সেখানে ছিলেন ১০০ ভাগ ব্যতিক্রমী একজন মানুষ। কোনও প্রত্যাশা ছিল না নিজের জন্য। প্রাণাধিক ভালোবাসতেন এই নাট্য মাধ্যমটিকে।

অমলদার মৃত্যুর পর একটা কথা আমার বারবার মনে হয়েছে, এই মানুষটি তো আমাকে ভালোবেসে এত কিছু করেছেন আমার জন্য, কিন্তু আমি কি করেছি তার জন্য! ওঁর রোগটা যে ক্যানসার, সেটা আমিই প্রথম ডায়াগনিসিস করেছিলাম। ঠিক জায়গায় চিকিৎসার জন্যও পাঠিয়েছিলাম। ব্যাস, ওই পর্যন্তই। তারপর দীর্ঘদিন আর সেভাবে যোগাযোগ ছিল না আমাদের। তবে নববর্ষ বা বিজয়াতে এসএমএস বিনিময় হতো। একটি মেসেজ একবার আমাকে খুব নাড়া দিয়েছিল। অমলদা লিখেছিলেন, ‘একজন প্রায় মৃত মানুষের শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। বেঁচে থাকলে পরেরবার আবার শুভেচ্ছা পাঠাবো।’ আমি সঙ্গে সঙ্গে ফোন করেছিলাম। কিছুক্ষণ কথা হয়েছিল দুজনে। মৃত্যুর বছর দেড়েক আগে অমলদার সঙ্গে সেটাই আমার শেষ কথা। অসুখে বড্ড ভয় ছিল, এই বোহেমিয়ান বিপ্লবী মানুষটির। ক্যানসার নিয়ে একটি জনস্বাস্থ্য মূলক বই এবং এ পর্যন্ত চারটি নাটক লিখেছি আমি। প্রতিটিই অমলদার পড়া। ক্যানসার নিয়ে অল্প বিস্তর জানতেনও। সেই রোগটিই যে ছোবল মারবে ওঁকে, তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। রোগটা নিয়ে যে ওঁকে উল্টোপাল্টা বোঝাবো বা আশ্বাস দেব, সেই সুযোগও ছিল না। নিজেকে তাই এই ব্যাপারে গুটিয়ে রেখেছিলাম আমি, পাছে রোগের প্রসঙ্গ আসে, আর আমাকেও বলতে হয় আর বোধহয় কিছু করার নেই। অমলদা কি আমার এই মনোভাব বুঝেই আমাকেও খুব বেশি বিব্রত করতে চাননি তার অসুখ নিয়ে! কে জানে! দাদার সঙ্গে দেখা হলে এই মোক্ষম প্রশ্নটাই এবার করব ভাবছি! দেখা হবে কি!

Skip to content