ছবি প্রতীকী
এই রোগের মূলে কী ভাইরাসের ভূমিকা থাকে
‘কক্সসাকি এ-১৬’ দ্বারা এই রোগ হয়। তবে অন্যান্য এন্টেরো ভাইরাস দ্বারাও এই রোগ হতে পারে। এই রোগের উপসর্গের সঙ্গে একই ধরনের অন্য রোগের অনেক মিল থাকে বলে অনেকেই এটাকে চিকেন পক্স, হারপিস বা স্কেবিস বলেও ভুল করে চিহ্নিত করেন।
ইনকিউবিশন পরিয়ড
৪ থেকে ৬ দিন, অর্থাৎ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার চার থেকে ছয় দিনের মাথায় উপসর্গগুলি প্রকাশ পায়।
রোগের প্রাথমিক উপসর্গ
প্রথমেই জ্বর হয়। জ্বর হওয়ার ১ বা ২ দিন পরে র্যা শ বেরতে শুরু করে। মুখ বা গালের সামনে ব্যথা-সহ দানাদার ঘা বা ক্ষত তৈরি হয়। জিভ, মাড়ি এবং গালের ভিতর বেদনাদায়ক ফোসকা দেখা যায়। হাতের তালু এবং উল্টো পিঠে, তলপেটে, কখনও কখনও একইরকম ফুসকুড়ি দেখা যায়। ঘা বা ক্ষতের জন্য মুখে অসহ্য জ্বালা, পোড়া, দাঁত ও মাড়ি ফুলে যাওয়া বা ঠোঁট ও নাকের আশেপাশে র্যা শ হয়েও ফুলে যেতে পারে। হাতের পাতা ও পায়ের উপরেও দানাদার ফুসকুড়ি দেখা যায়। ছোট শিশু ও সদ্য হাঁটতে শেখা শিশুদের মধ্যে অস্থিরতা, ক্ষুধামন্দা দেখা যায়। মুখের ভেতর জ্বালা-যন্ত্রণার জন্য অনেকেই খেতে চায় না বা পারে না। এই ভাইরাসটি মস্তিষ্কে মেনিনজাইটিস বা এনকেফেলাইটিসের মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এই দানাদার ফুসকুড়িগুলি শরীরের অন্যান্য জায়গায় হলেও মুখে, হাতে ও পায়ে প্রায় সব সময়ই দেখা যায় বলে এই রোগের নাম ‘হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ’ বা এইচএফএমডি।
ছোটদের যত্নে: বাজির আগুন থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখুন খুদেদের, কী কী নিয়ম মানতেই হবে জেনে নিন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
ত্বকের পরিচর্যায়: শীতে কি আপনার ত্বক শুকিয়ে যায়? মেনে চলুন ত্বক বিশেষজ্ঞের এই পরামর্শগুলি
কখন এই রোগ হয়
গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরৎকালে সাধারণত এই রোগ হয়। তবে গ্রীষ্মকালে এর প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
কীভাবে এই রোগ ছড়ায়
মুখের লালা, হাঁচি, কাশি ও মল-এর মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। ফোসকা থেকে যে তরল নির্গত হয়, তা থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে। বড়দের মধ্যে প্রায়শই এই রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় বলে তাঁদের মধ্যে এই রোগ কম দেখা যায়।
কখন এই রোগ ছড়ায়
সংক্রমণের পরে এক সপ্তাহ অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে। তারপর আস্তে আস্তে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে যায়।
অযোধ্যা: প্রাচীন ভারতীয় ধর্ম-সংস্কৃতি সমন্বয়ের প্রাণকেন্দ্র/১
চিতল মাছের তো খেয়েছেন, এবার চিংড়ির মুইঠ্যার স্বাদ নিন, রইল সহজ রেসিপি
চিকিৎসা পদ্ধতি
এই রোগের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই রোগ এমনিতেই সেরে যায়।
উপসর্গ অনুযায়ী— জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল সিরাপ বা ট্যাবলেট শিশুদের ওজন অনুযায়ী দিতে হবে। প্যারাসিটামল শুধু জ্বরই কমায় না —ক্ষতের জন্য যে ব্যথা হয়, তাও কমায়। প্যারাসিটামল প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১৫ মিলিগ্রাম করে দিতে হবে। দিনে তিন-চার বার ব্যথার জন্য এবং জ্বর থাকলেও এই ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। প্যারাসিটামল বারবার খাওয়ালেও কোনও ক্ষতি হয় না।
চুলকানির জন্য অ্যান্টি-হিস্টামিন ট্যাবলেট ও ছোট বাচ্চাদের জন্য সিরাপ দিতে হবে। ফুসকুড়ির জায়গায় ক্যালামিন লোশন লাগানো যেতে পারে। মুখের ভিতরের ক্ষতের জন্য ওরাল জেল যেমন ওরাসোর মাউথ আলসার জেল, ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন দেওয়া যায়। জলশূন্যতা প্রতিরোধের জন্য বেশি করে তরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। মশলাদার খাবার কখনওই দেওয়া উচিত নয়।
আক্রান্ত শিশুর পরিচর্যা
১. আক্রান্ত শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রামে রাখতে হবে।
২. পরিমিত সুষম খাবার দিতে হবে।
৩. আক্রান্ত শিশুর পক্ষে লবণাক্ত খাবার বেশি উপকারী।
৪. ঠান্ডা নারকেলের জল মুখের ভিতরের জ্বালা কমায়।
৫. যেকোনও ঠান্ডা স্যুপ দেওয়া যেতে পারে।
৬. খাবার পরে শিশুকে ভালো করে কুলকুচি করাতে হবে।
৭. ঠান্ডা আদা-চা খাওয়ানো ভালো।
৮. শিশুকে যষ্টিমধু খাওয়ানো যেতে পারে। এতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অ্যান্টিভাইরাস গুণ থাকে।
৯. আক্রান্ত শিশুকে ঠান্ডা লবণাক্ত জলে স্নান করানো ভালো।
১০. তুলসীপাতার রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
১১. মাল্টিভিটামিন দিতেই হবে। কোনও অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই।
বারবার ব্রা কিনতে গিয়ে থমকে যান? তাহলে জেনে নিন সঠিক অন্তর্বাস বেছে নেওয়ার সহজ উপায়
মেকআপেও সমান ভাবে ফুটে উঠুক সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্ব
প্রতিরোধ কীভাবে
১.নিয়মিত শিশুর যারা পরিচর্যা করবেন তাঁদের হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে।
২. শিশুর হাত নিয়মিত সাবান দিয়ে ধোয়াতে হবে।
৩. খেলনাগুলো জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৪. আক্রান্ত শিশুর খেলনা অন্য শিশুকে দেওয়া যাবে না।
৫. আক্রান্ত শিশুর কাছ থেকে অন্য শিশুদের দূরে রাখতে হবে।
৬. আপাতত কিছু দিনের জন্য স্কুলে পাঠানো যাবে না।
৭. বাবা-মাকে আক্রান্ত শিশুর জন্য যথেষ্ট সময় দিতে হবে।
কখন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন
১. যদি আক্রান্ত শিশুর বয়স ৬ মাসের কম হয়।
২. মুখ বা গলা ব্যাথার কারণে খেতে না পারে।
৩. দশ দিন পরেও যদি রোগের উন্নতি না ঘটে তখন ডাক্তার দেখাতেই হবে।
যোগাযোগ: ৯৮৩০২৯৪৯৩২