শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

এক থেকে দু’ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের কান্নার কারণ—
 

অসুখ-বিসুখ ছাড়া শিশু যে সব কারণে কাঁদতে পারে

খিদে পাওয়া।
জোর করে বেশি খাওয়ানোর ভয়।
অতিরিক্ত পিপাসা পাওয়া।
পেটে হাওয়া জমে যাওয়া, ঠান্ডা লাগা, তাপ প্রবাহে শরীর গরম হয়ে যাওয়া।
চুলকানি।
সান্ধ্যাকালীন পেট ব্যথা।
প্রস্রাবে জামাকাপড়/ ন্যাপকিন ভিজে যাওয়া।
উচ্চ শব্দ।
গরুর দুধে অ্যালার্জি।
দাঁত ওঠার সময়।
মায়ের বুকের দুধে মুখে ঠেকালেই রুষ্ট হয়ে যাওয়া।
প্রস্রাব করতে গিয়ে কান্না।
অভ্যাবশত কোনও কারণ ছাড়াই।
একাকীত্ব।
জোর করে খাওয়াতে চাইলে।
কোনও ওষুধ হঠাৎ বন্ধ করলে।
কোনও কারণ ছাড়াই।

 

বিশেষ কোনও রোগ বা পরিস্থিতির জন্য

রোগ জীবাণু সংক্রমণ।
মাথাব্যথা।
কানে ব্যথা।
টাইট হার্নিয়া
অণ্ডকোষ মুছড়ে যাওয়া। (টর্শন অফ টেস্টিকল)
পৌষ্টিকতন্ত্রের চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া।
বড় কোনও রোগ।
বধিরত্ব।

আরও পড়ুন:

ছোটদের যত্নে: কোন সময় গর্ভধারণ করলে সুসন্তান লাভ সম্ভব? নব দম্পতির মা হওয়ার আগের প্রস্তুতির পরামর্শে ডাক্তারবাবু

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ২০: আকস্মিক অভিঘাত-আনন্দের পাত্রে বিষাদবিষ

হোমিওপ্যাথি: আঁচিল নিয়ে অস্বস্তি? চিন্তা নেই, হোমিওপ্যাথিতে রয়েছে সহজ সমাধান

ত্বকের পরিচর্যায়: শীতে কি আপনার ত্বক শুকিয়ে যায়? মেনে চলুন ত্বক বিশেষজ্ঞের এই পরামর্শগুলি

 

তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সের শিশুদের কান্নার কারণ

নিরাপত্তাহীনতা।
অভ্যাসগত।
খিদে পাওয়া।
জল পিপাসা পাওয়া।
বয়ঃসন্ধিক্ষণ।
যেকোনও সংক্রমণ-অসুস্থতা
শারীরিক

 

কান্না থামানোর ঘরোয়া উপায়

শিশুদের যে সমস্ত কান্নার কারণ অনুধাবন করে বাড়িতে সুস্থ করা সম্ভব।

ছোট শিশুদের কান্নার প্রধান কারণ হল খিদে পাওয়া। একজন বুদ্ধিমতী মা জানেন বা বোঝেন শিশুর কোন কান্নাটা খিদের জন্য এবং তিনি সেভাবে দুধ খাইয়ে শিশুর কান্না থামাতে পারেন।

কোনও কোনও শিশু আবার কান্না করে মা বাড়িতে খাবার তৈরি করছে সেটা দেখেই। কারণ, তার ভয় মা জোর করে বেশি খাইয়ে দেবে। সুতরাং প্রত্যেক মায়ের উচিত শিশু যতটা খেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে ততটাই খাওয়ানো। যেসব শিশু বাটি চামচ দিয়ে নিজেরা খেতে পারে তাদেরকে সেভাবেই খেতে দেওয়া উচিত। তাতে শিশু প্রয়োজনমতো খাবে এবং অতিরিক্ত খাবার হবে না। অতিরিক্ত খাবারের ভিতিও চলে যাবে।

শিশুদের জল পিপাসা পেলেও কান্না করতে পারে। গুঁড়ো দুধ এবং জলের অনুপাতিকভাবে মেশানো না হলেও অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ করার ফলেও শিশুর জল পিপাসা লাগতে পারে। এর ফলে শিশু কান্না করতে পারে। সুতরাং পাউডার দুধ তৈরি করার সময় এ দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখলে এসব এড়ানো যায়। সাধারণত এক আউন্স জলে এক চামচ বা পাঁচগ্রাম পাউডার মিল্ক মিশানো বিধেয়।

শিশু প্রস্রাব করে ন্যাপকিন ভিজিয়ে ফেলে সেই অবস্থায় থাকলে শিশু অস্বস্তি অনুভব করবে এবং কান্না করবে। সুতরাং মাকে ঠিক সময় অন্তর খেয়াল রেখে ন্যাপকিন পাল্টাতে হবে। অনেক শিশু প্রস্রাব করার সময় কান্না করে।

অতিরিক্ত ঠান্ডা গরমে বা অ্যালার্জির জন্য গা চুলকালে শিশুক কান্না করতে পারে। সুতরাং মাকে বা কেয়ার গিভারকে সতর্ক থাকতে হবে কীভাবে এই সমস্ত কারণ দূর করা সম্ভব। দরকার হলে শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

দাঁত ওঠার সময় যখন মাড়ির শক্ত হাড়ের ভিতর দিয়ে দাঁত উঠতে শুরু করে তখন ব্যথা হয় এবং শিশু কান্না করে। এই সময় কয়েক দিন দাঁত ওঠার জায়গায় কোনও যথাযথ লোশন যেমন জাইটি জেল লাগালে ব্যথা কমে অথবা শিশুর ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল সিরাপ খাওয়ানো যেতে পারে।

নয় মাস থেকে বারো মাস বয়সের শিশুরা অনেক সময় শুতে যাওয়ার সময় কাঁদে। শিশুভাবে একা শুয়ে রাখলে অন্য কেউ তাকে নিয়ে যেতে পারে। সুতরাং বিছানায় একা না শুইয়ে দিয়ে মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়ার পরে শুয়ে দিলে এই সমস্যার সমাধান হয়। আবার শিশুর ঘুম ভাঙার পরপরই শিশু কান্না করে একই কারণে। দুটি ক্ষেত্রেই মা শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে একটু দোলালে বা আদর করলেই তার কান্না থেমে যাবে। এই পুরোটাই কিন্তু শিশুর একটা হ্যাবিট ডিজঅর্ডার। বেশিরভাগ মা-বাবা এটাকে ভুল করে বদহজমের সমস্যা বলে চিহ্নিত করেন।

আরও পড়ুন:

ত্বকের পরিচর্যায়: শীতে কি আপনার ত্বক শুকিয়ে যায়? মেনে চলুন ত্বক বিশেষজ্ঞের এই পরামর্শগুলি

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৩৭: রান্নাবান্নার ঠাকুরবাড়ি

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫: সে এক হতভাগ্যের ‘নষ্ট নীড়’ [২৪/০৮/১৯৫১]

বাইরে দূরে: প্যারিস, ইউট্রেকট, আমস্টারডাম হয়ে ব্রাসেলস—স্বপ্নের ভ্রমণ ডেসটিনেশন/১

অনেক শিশুই দুধ খাওয়ার সময় কিছুটা হাওয়া খেয়ে ফেলে। অবশ্য বোতলে দুধ খাওয়ালে সেটা বেশি হয়। পাকস্থলীতে এই অতিরিক্ত হাওয়া চলে যাওয়ার ফলে শিশুর পেট ব্যথা হয় ও শিশু কান্না করে। সন্ধ্যার দিকে সাধারণত এই ব্যথা হয় বলে এটাকে ‘ইভিনিং কোলিক’ বলা হয়। দুধ খাওয়ার পর শিশুকে কাঁধে নিয়ে পিঠে আস্তে আস্তে হাত বুলিয়ে ঢেকুর তোলাতে হয়। একবার দুধ খেলে দু’বার ঢেকুর তুলবে। প্রয়োজনবোধে কাঁধে নিয়ে ঘুরতে হবে। দু’বার ঢেকুর তোলার পরেই শিশুকে শোয়াবেন।

অনেক শিশু আবার বুকের দুধ খাওয়াতে গেলেই কান্না করে, কারণ মা যখন শিশুকে বুকের স্তন ধরাতে যায় তখন শিশু ওপরের ঠোঁট ও স্তনের মাংস বেশি দ্বারা শিশুর নাক অবরুদ্ধ হয়। ফলে শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এবং শিশু কান্না করে। এটি দুধ খাওয়ানোর ভুল টেকনিকের জন্য হয়। এই সমস্যা মা নিজে সংশোধন করতে না পারলে কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

অনেক শিশুকে একা শুয়ে রাখলে সে একাকিত্বের জন্য কান্না করে। আবার মা কোলে তুলে নিলেই তার কান্না থেমে যায়। এটাও একটা হ্যাবিট ডিজঅর্ডার। এটা ছ’মাস বয়সের আগে প্রায়ই হয়।

বুকের দুধ থেকে অন্য খাবার ধরানোর সময় মা জোর করে ‘উইনিং ফুড’ খাওয়াতে চাইলেও শিশু কান্না করতে পারে। সে ক্ষেত্রে মাকে ধৈর্য ধরে আস্তে আস্তে ‘উইনিং ফুড’ ধরাতে হবে।

কোন শিশু কান্না করলে সম্ভাব্য সাধারণ কারণগুলো আগে খুঁজতে হবে। কোলে নিয়ে কান্না থামানোর চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু তারপরেও শিশুর কান্না না থামলে কোনও সংক্রমণ বা সার্জিক্যাল কন্ডিশন ভাবতে হবে। সেই ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

যোগাযোগ: ৯৮৩০২৯৪৯৩২

Skip to content