মেকআপ একটা এমন শাস্ত্র যার সমুদ্রের মতো তলকুল খুঁজে পাওয়া যাবে না। দুনিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেকআপ যেন জেট গতিতে এগিয়ে চলেছে। আজ যা নতুন কালটা তা পুরনো। অনেকটা খবরের কাগজের মতো, আজকের কাগজ কাল সকালেই বাসি। মেকআপের ব্যবহার বিশাল প্রসারিত ও বহুল প্রচারিত। কেউ সখে, কেউ বা কাজের জন্য বাধ্যতামূলক ভাবে বা কোনও অনুষ্ঠানে তা সে বিয়েবাড়ি হোক বা গ্র্যান্ড ফাংশনে তাঁকে মেকআপ করতে হয়। তাছাড়াও শুধু তো মেকআপ করলে হয় না, পরিচ্ছন্ন থাকার জন্যও নিয়মিত কিছু জিনিস মেনে চলতে হয়।
মেকআপ কথাটার অর্থ সারা মুখে রঙের বিজ্ঞাপন নয়। এখন মেকআপ দেখলে মনে হয়, চোখ দুটো যেন রঙের গুদম, সমস্ত কোম্পানির বিজ্ঞাপন চোখে নাকে মুখে গলায় চারিদিকে থেকে জানান দিচ্ছে। এমন একটা ব্যাপার, সবার উপস্থিতি প্রমাণ করতে না পারলে যেন মেকআপই সম্পূর্ণ হবে না।
প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ একটু-আধটু সাজগোজ করবেন না, এমনটা পাওয়া মুশকিল। যাঁরা তেমন কিছু করেন না, তাঁদের ভিতরেও কেউ হয়তো শুধু লিপস্টিক, কেউ বা কাজল বা টিপ ব্যবহার করেন অথবা তিনটের মধ্যে যেকোনও দুটো।
প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ একটু-আধটু সাজগোজ করবেন না, এমনটা পাওয়া মুশকিল। যাঁরা তেমন কিছু করেন না, তাঁদের ভিতরেও কেউ হয়তো শুধু লিপস্টিক, কেউ বা কাজল বা টিপ ব্যবহার করেন অথবা তিনটের মধ্যে যেকোনও দুটো।
আরও পড়ুন:
আর হাতে মাত্র ছয়দিন, পুজোয় মধ্যমণি হতে সাজের এই বিষয়গুলি মেনে চলতেন তো?
নাট্যকথা: রোদ্দুর ও অমলকান্তি/২
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিয়ে থেকে শুরু করে যে কোনও গ্র্যান্ড ফাংশনে ‘প্রফেশনাল’-এর সাহায্যে নেওয়া হয়।
কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে যিনি যতটুকুই মেকআপ করুন না কেন, সেটা যেন উপযুক্ত হয়। ভুল চিকিৎসা থেকে চিকিৎসা না করানওই ভালো। অযত্নের থেকে যত্ন না করা ভালো। ঠিক তেমনি অনুউপযুক্ত মেকআপ করার থেকে মেকআপ না করাই ভালো। অন্যথায় অত্যন্ত হাস্যকর ও কুৎসিত পরিস্থিতি তৈরি হয়।
পৃথিবী চলেছে তীব্র গতিতে। এখন আর শুধু পড়াশোনাটাই যথেষ্ট নয়। সকলেই কমবেশি এগিয়ে চলেছেন। সব ক্ষেত্রেই আপনার উপস্থিতি, স্মার্টনেস, ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তলতে হবে। তুলনামূলক ভাবে যার যতটা হওয়া সম্ভব তারও অতিরিক্ত ‘পয়েন্ট’ প্রয়োজন। তাই এক্ষেত্রে ‘মেকআপ ডিজাইনারের’ পরামর্শ একান্তই দরকার। এখন এটা এমন কিছু বড়সড় ব্যাপারও নয়। জেনে বা শিখে নেওয়া যাতে নিজের সাজগোজটা নিজেই করা যায়।
কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে যিনি যতটুকুই মেকআপ করুন না কেন, সেটা যেন উপযুক্ত হয়। ভুল চিকিৎসা থেকে চিকিৎসা না করানওই ভালো। অযত্নের থেকে যত্ন না করা ভালো। ঠিক তেমনি অনুউপযুক্ত মেকআপ করার থেকে মেকআপ না করাই ভালো। অন্যথায় অত্যন্ত হাস্যকর ও কুৎসিত পরিস্থিতি তৈরি হয়।
পৃথিবী চলেছে তীব্র গতিতে। এখন আর শুধু পড়াশোনাটাই যথেষ্ট নয়। সকলেই কমবেশি এগিয়ে চলেছেন। সব ক্ষেত্রেই আপনার উপস্থিতি, স্মার্টনেস, ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তলতে হবে। তুলনামূলক ভাবে যার যতটা হওয়া সম্ভব তারও অতিরিক্ত ‘পয়েন্ট’ প্রয়োজন। তাই এক্ষেত্রে ‘মেকআপ ডিজাইনারের’ পরামর্শ একান্তই দরকার। এখন এটা এমন কিছু বড়সড় ব্যাপারও নয়। জেনে বা শিখে নেওয়া যাতে নিজের সাজগোজটা নিজেই করা যায়।
মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট
আরও পড়ুন:
ব্রা’র স্ট্র্যাপ উঁকি দিলে অস্বস্তি হয়? এই সহজ কৌশলগুলিকে কাজে লাগান
ত্বকের পরিচর্যায়: ফর্সা হওয়ার দৌড়ে না গিয়ে স্বাভাবিক রং নিয়েই সুন্দর ও সুরক্ষিত থাকুন, জানুন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
কোথায়, কখন, কোন সময়, কোন মেকআপ, চুল বাঁধা ও ড্রেস প্রয়োজন সেটা জানা জরুরি। দুর্গাপুজোর জন্য প্রথম এবং শেষ কথা— যাঁরা প্যান্ডেল প্যান্ডেল হপিং অর্থাৎ ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখবেন, সে দিনেই হোক বা রাতে তাঁদের জন্য বেশ মেকআপ করার দরকার নেই। বাড়তি সুন্দর হওয়ার জন্য দৈনন্দিন সাজগোজ থেকে বেরিয়ে বাড়তি কিছু করার চেষ্টা খুবই দৃষ্টিকটু হতে পারে।
যিনি যেমন সাজগোজ করতে অভ্যস্ত সেটাই প্রযোজ্য। দিনের বেলা অবশ্যই সান প্রটেকশনের জন্য স্কিনের উপযুক্ত সানব্লক, প্রয়োজনে তার উপর অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার (ওয়েলি স্কিনের জন্য) এবং হালকা কমপ্যাক্ট বা লুজ পাউডারের ব্যবহারে বেশ মেকআপ হয় খুব স্নিগ্ধ, সুন্দর।
পুজোর জন্য যখন প্রস্তুতি শুরু হয় যেমন যেমন পশাক-আসাক, জুতো, ম্যাচিং কাস্টম জুয়েলারি, নানান রকম অ্যাকসেসরিজ, মেকআপের জিনিসপত্র, শপিং করার আগেই সর্বপ্রথম ‘বিউটি ডিজাইনারের’ পরামর্শ অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করা প্রয়োজন।
চলতি ফ্যাশনে বা কাউকে কপি করে তা সে মানাক বা না মানাক এমন সাজ কখনওই গ্রহণযোগ্য হয় না। বরং নিজস্ব ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’ তৈরি করে, সেই ভাবে সাজগোজ করলে আত্মবিশ্বাস চেহারায় ফুটে ওঠে, যাকে বলে ক্যারি করা।
মডেল: শম্পা ঘোষ
ছবি: সায়ন নন্দী
লেখিকা শাকম্ভরী বডি অ্যান্ড বিউটি ক্লিনিক-এর প্রধান, যোগাযোগ : ঠিকানা: ২০৩, এপিসি রোড, শ্যামবাজার ফাইভ পয়েন্ট, কলকাতা-৪, মোবাইল: ৯১৬৩৪-১৪৪৪৩, হোয়াটসঅ্যাপ: ৭০০৩৮৯৩৮৮৩
চলতি ফ্যাশনে বা কাউকে কপি করে তা সে মানাক বা না মানাক এমন সাজ কখনওই গ্রহণযোগ্য হয় না। বরং নিজস্ব ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’ তৈরি করে, সেই ভাবে সাজগোজ করলে আত্মবিশ্বাস চেহারায় ফুটে ওঠে, যাকে বলে ক্যারি করা।
মডেল: শম্পা ঘোষ
ছবি: সায়ন নন্দী
লেখিকা শাকম্ভরী বডি অ্যান্ড বিউটি ক্লিনিক-এর প্রধান, যোগাযোগ : ঠিকানা: ২০৩, এপিসি রোড, শ্যামবাজার ফাইভ পয়েন্ট, কলকাতা-৪, মোবাইল: ৯১৬৩৪-১৪৪৪৩, হোয়াটসঅ্যাপ: ৭০০৩৮৯৩৮৮৩