অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল (চিত্রকলা: সংগৃহীত)
ভাগ- ১
ষোলোতলার ওপরে ফ্ল্যাটের সুন্দর বারান্দা— অনেক দূর থেকে আসা শহরের ব্যস্ততার আবহ। লেখক অপু ল্যাপটপে অমলকান্তিকে নিয়ে কবিতা লিখছে — আবহে তার ভাবনা কথা হয়ে শোনা যায়। নাটকের বিভিন্ন অংশে এই কবিতাটা তৈরি হতে থাকবে।
লেখক (আবহ): অমলকান্তি আমার বন্ধু/ ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম। /রোজ দেরি করে ক্লাসে আসত, পড়া পারত না…
লেখকের মোবাইল বেজে ওঠে, পথের পাঁচালীর সেই মন কেমন করা বাঁশি।
লেখক: হ্যালো— হ্যাঁ বলছি, বলুন! …না ভাই আমি আসতে পারব না আমার অন্য কাজ রয়েছে । …নানা! আপনারা অন্য কারো সঙ্গে যোগাযোগ করে নিন, রাখি!!
লেখক ফোন রেখে ল্যাপটপের দিকে তাকায়। মনে মনে পড়ে, আবহে তা কথা হয়ে শোনা যায়।
লেখক (আবহ): অমলকান্তি আমার বন্ধু/ ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম। /রোজ দেরি করে ক্লাসে আসত, পড়া পারত না…
লেখক গালে আঙ্গুল ঘষতে ঘষতে ভাবে। তারপর আবার ল্যাপটপে টাইপ করতে থাকে। মাঝে অস্পষ্ট একটা ডোরবেলের শব্দ। লেখক একবার লেখা থামিয়ে উইংসের দিকে অর্থাৎ ফ্ল্যাটের দিকে তাকায় — আবার লিখতে থাকে।
লেখক (আবহ): শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলে, / এমন অবাক হয়ে জানলার দিকে তাকিয়ে থাকত যে, মনে মনে বাকি লেখাটা পড়ে আবহে তার সংলাপ হয়ে শোনাযায় —
লেখক: শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলে, / এমন অবাক হয়ে জানলার দিকে তাকিয়ে থাকত যে, … তাকিয়ে থাকত যে,
লেখক কথা খুঁজতে খুঁজতে ভাবে — বাইরে থেকে নাতনি মিনির গলায় ‘দাদান’ শুনে তাকায় – ১৪/১৫র নাতনি মিনির প্রবেশ ছাপোষা চেহারার অমলকান্তিকে নিয়ে- এলোমেলো চুলদাড়ি চশমার আড়ালে উজ্জ্বল দুটো চোখ । কাঁধে কাপড়ের ব্যাগ ‘৭০এর বিদ্রোহী তবে আজ যেন হাস্যকর —
মিনি: দাদান—দ্যাখো তোমার বাডি! অমলকান্তি!
অমলকান্তিকে দেখা মাত্র শব্দ গুলো মাথায় এসে যায়, আবহে শোনা যায় তার ভাবনা
লেখক (আবহ): দেখে ভারি কষ্ট হতো আমাদের ।
লেখকের মোবাইল বেজে ওঠে, পথের পাঁচালীর সেই মন কেমন করা বাঁশি।
লেখক ফোন রেখে ল্যাপটপের দিকে তাকায়। মনে মনে পড়ে, আবহে তা কথা হয়ে শোনা যায়।
লেখক গালে আঙ্গুল ঘষতে ঘষতে ভাবে। তারপর আবার ল্যাপটপে টাইপ করতে থাকে। মাঝে অস্পষ্ট একটা ডোরবেলের শব্দ। লেখক একবার লেখা থামিয়ে উইংসের দিকে অর্থাৎ ফ্ল্যাটের দিকে তাকায় — আবার লিখতে থাকে।
লেখক কথা খুঁজতে খুঁজতে ভাবে — বাইরে থেকে নাতনি মিনির গলায় ‘দাদান’ শুনে তাকায় – ১৪/১৫র নাতনি মিনির প্রবেশ ছাপোষা চেহারার অমলকান্তিকে নিয়ে- এলোমেলো চুলদাড়ি চশমার আড়ালে উজ্জ্বল দুটো চোখ । কাঁধে কাপড়ের ব্যাগ ‘৭০এর বিদ্রোহী তবে আজ যেন হাস্যকর —
অমলকান্তিকে দেখা মাত্র শব্দ গুলো মাথায় এসে যায়, আবহে শোনা যায় তার ভাবনা
অপু অমলকান্তির কথায় অন্যমনস্ক হয়ে যায়
অমলকান্তি ডেকচেয়ার ছেড়ে উঠে দর্শকের দিকে এগিয়ে গিয়ে ইষৎ ঝুঁকে অনেক নীচে কলকাতাকে দেখে দেখার চেষ্টা করে – লেখক তাকে দেখে
কাজের মাসি রেণুদি চা নিয়ে আসে —
কাজের মাসি চলে যান—
অমলকান্তি একটু ঘোরাঘুরি করে –জোরে জোরে নিঃশ্বাস নেয়— কান পেতে শোনার চেষ্টা করে – হালকা গাড়িঘোড়ার শব্দ—
আরও পড়ুন:
হোমিওপ্যাথি: হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে চান? তাহলে এগুলি অবশ্যই মেনে চলুন
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব-৩৬: বসুন্ধরা এবং…
শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ১৮: দশরথের অভিলাষ-রামের রাজ্যাভিষেক সংকল্প
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-২৪: জাপানি-কুকুর পুষেছিলেন গগনেন্দ্রনাথ
লেখক চশমাখুলে তাকায় — অমলকান্তি হাত পা নেড়ে অনেক কথা বলে তার কথা শোনা যায় না — লেখকের কথা আবহে শোনা যেতে থাকে।
মুখ ও মুখোশ। (চিত্রকলা: সংগৃহীত)
সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল!
নাতনি মিনির গলায় ‘দাদান!!’ শুনে লেখকের সম্বিত ফেরে—
অমলকান্তি অবাক হয়ে দেখে লেখককে — লাইক দেওয়ার পর লেখক তাকিয়ে বোকাবোকা হাসি এনে বলে।
আরও পড়ুন:
পর্দার আড়ালে, পর্ব-১৬: পরিচালকের কথা শুনে মেকআপ ছেড়ে সুচিত্রা বললেন, যে কাউ ‘দেবাশিস’ করলে আমি কাজ করব না
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪: ধীরে চলো ‘ওরে যাত্রী’ [০২/০২/১৯৫১]
ষাট পেরিয়ে, পর্ব-১৫: এখন থেকেই যত্ন নিন কিডনির, গুরুত্ব দিন এ সব বিষয়ে
মহালয়া কি শুধুই পিতৃপক্ষের অবসান
(আলো নেভে) — চলবে
[বহুরূপী ব্যতীত আর কোনও নাট্যদলকে এ নাটকের মঞ্চাভিনয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি। নাটকটি ভারত সরকারের রেজিস্ট্রার অফ কপিরাইটস-এ দ্বারা আইনত রেজিস্ট্রিকৃত (L-76713/2018) নাটকের পূর্ণ বা আংশিক মঞ্চ, শ্রুতি বা চিত্রাভিনয় বা কোনপ্রকার অনুবাদ আইনত দণ্ডনীয়]