বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪


প্রিয়াঙ্কার অষ্টমীর সাজ এ রকম চাই।

হাতে আর একটুও সময় নেই। তার আগে টুকটাক ত্বক, চুল, মেকআপ, ড্রেস নিয়ে কী যত্ন নেওয়া যায় সে সব নিয়েই এই লেখা। সারা বছর হয় লেখাপড়া, চাকরি, সংসার সামলানো বা চাকরি সংসার সঙ্গে বাচ্চা সামলানো এ ভাবেই চলে। দুর্গাপুজো বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব। কিন্তু এখন এই উৎসব আর শুধু বাঙালিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই এই উৎসবে মেতে ওঠেন। যাঁরা বিদেশে থাকেন তাঁরাও ছুটি-কাজ সামলে পারলে কলকাতায় ছুটে আসেন।
যাই হোক, দুর্গাপূজা এলে সব ব্যস্ততার শেষে যখন আমরা নিজের দিকে তাকাই, তখন মনে হয় যদি একটা বিশেষ ম্যাজিক সাজবক্সে থাকত কী ভালোই না হতো। সেই ম্যাজিক দিয়ে মুহূর্তে ঝকঝকে হয়ে যেতে পারতাম।

মূলত নেট মাধ্যমের দৌলতে কমবেশি ৯০ ভাগ মানুষের ভিতর এমন একটা ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে যে, প্রচারিত ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে সাত দিনেই নাকি ‘ট্যান রিমুভ’ হয়ে ঝকঝকে ত্বক পাওয়া যেতে পারে। বাস্তবে এটা জানা দরকার রূপচর্চার ‘টেকনিক অ্যান্ড টেকনোলজি’ সম্পূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক। এটা কোনও ঝাড়ফুঁক নয়। যাইহোক, চেষ্টা করছি টুকটাক কিছু রূপটান নিয়ে আলোচনা করার, যেগুলি ম্যাজিক না হলেও পুজোয় বেশ কিছুটা চমকপ্রদ ফল দেবে।
 

তৈলাক্ত ত্বক

তৈলাক্ত ত্বক এবং এই সম্পর্কিত নানান সমস্যা যেমন— র্যা শ, ব্রণ, ভ্যালগরিশ, রসেসর ইত্যাদি রিপেয়ার ফর্মুল। চন্দন পিঁড়িতে চন্দন কাঠের পরিবর্তে শিমুল ঘষে চন্দনের মতো পেস্ট তৈরি করে নিন। তার সঙ্গে ১:১ অনুপাতে কেওলিন পাউডার মিশিয়ে নিন। শেষে এই মিশ্রণ ভালো করে ঠোঁট বাদে চোখের তলায়-সহ পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। ভালো করে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিতে হবে।
 

শুষ্ক ত্বক, স্যাগিং, রিংকেলস, ফাইন লাইনস রিপেয়ার

প্রথমে কলা বা পাকা পেঁপ দিয়ে ভালো করে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। তার পর এর সঙ্গে কেওলিন পাউডার মেশান। এ বার সেই মিশ্রণটি মুখের উপর একটা ফেসিয়াল টিস্যু চাপা দিয়ে তার ওপর লাগিয়ে শুয়ে থাকুন। শুয়ে না থাকলে পেস্ট গড়িয়ে পড়ে যাবে। কমপক্ষে ২০ মিনিট থেকে ৪৫ মিনিট রেখে তার পর ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। দিনে দু’বার এরকম করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। সাজের এটাই প্রথম ধাপ বলতে পারেন।

আরও পড়ুন:

সাজকাহন: হেয়ার স্টাইল ‘ব্যাক ফ্রেঞ্চ ব্রেইড উইথ টপ নট’

যোগা-প্রাণায়াম: চল্লিশেই বলিরেখা? তিনটি আসনেই হবে বাজিমাত

এ বছরের পুজোয় গরমের সঙ্গে বৃষ্টিও চলেছে। আমার ব্যক্তিগত মত, হেভি মেকআপ সেলফি বা ছবি তোলার জন্য হয়তো ভালো লাগতেও পারে, কিন্তু সামনা সামনি খুবই লাউড লাগে। আগে বলা প্যাক লাগালে ত্বক পরিষ্কার ও তুলনামূলক ভাবে ঝকঝকে লাগবে। দিনের বেলা হলে এসপিএস, তারপর ননগ্রিজি ডে ক্রিম নীচে নিলে এখানে মেকআপ শেষ। যদি কারও ইচ্ছে করে বা তিনি অভ্যস্ত হন তাহলে হালকা কমপ্যাক্ট লাগিয়ে নিলেই মেকআপ যথেষ্ট বলে মনে করি।
 

সন্ধের পর

সন্ধের পর এসপিএফ ব্যবহার নিষ্প্রয়োজন। যাঁরা নিয়মিত কনসিলর, প্রাইমার ফাউন্ডেশন, মেকআপ বেস লাগাতে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য এই টিপসগুলো নয়। দৈনন্দিন জীবনে আই-লাইনার, খোল পেনসিল, লিপস্টিক ইত্যাদি যিনি যেমন ব্যবহার করতে অভ্যস্ত তেমনই করে নেবেন। খুব ‘হেভি দুল’ পরলে গলাটা খালি বা নেক চেনের সঙ্গে ছোট্ট ম্যাচিং প্যান্ডেল ভালো দেখায়। যাঁরা কমপ্যাক্ট ব্যবহার করেন, বলাই বাহুল্য ব্যাগে সেটা রাখবেন, প্রয়োজনে টাচআপ।

মডেল: প্রিয়াঙ্কা গঙ্গোপাধ্যায় হালদার

লেখিকা শাকম্ভরী বডি অ্যান্ড বিউটি ক্লিনিক-এর প্রধান, যোগাযোগ : ঠিকানা: ২০৩, এপিসি রোড, শ্যামবাজার ফাইভ পয়েন্ট, কলকাতা-৪, মোবাইল: ৯১৬৩৪-১৪৪৪৩, হোয়াটসঅ্যাপ: ৭০০৩৮৯৩৮৮৩

ছবি: সায়ন নন্দী


Skip to content