গতবছরই দশে পা দিয়েছে বেলঘরিয়া থিয়েটার অ্যাকাডেমি। যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। প্রথম নাটক ছিল, ‘এক যে ছিল ভূত’। করোনার দাপটে গত বছর দশম বর্ষ উদযাপন সম্ভব হয়নি। সেজন্য এই বছর পুরোটাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দশম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান করে চলেছেন এই নাট্য সংস্থা।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি গিরিশ মঞ্চে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেতা পরান বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিল একটি আলোচনা— নাটক না করলে কি হয়! অংশ নিয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা পঙ্কজ মুন্সি, নাট্য প্রাবন্ধিক রঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায়, পরিচালক দুর্গা চক্রবর্তী ও অরবিন্দ ঘোষ, অভিনেতা দেবদূত ঘোষ এবং অবশ্যই পরান বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলকেই সংস্থার তরফ থেকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মঞ্চস্থ হয় সংস্থার নতুন নাটক আশাপূর্ণা দেবীর গল্প অবলম্বনে ডাঃ অমিতাভ ভট্টাচার্য-র রচনা ও নির্দেশনায়— কৈলাসে চা পান।
আরও পড়ুন:
ইংলিশ টিংলিশ: ‘CATS & DOGS’ অথবা ‘BLACK SHEEP’ — আসুন দেখি এগুলোর মানে আসলে কী?
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩: এক ফ্লপ মাস্টার জেনারেল-র ‘মর্যাদা’ [২২/১২/১৯৫০]
দশম বর্ষপূর্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান হয় গত ১২ এপ্রিল। সংবর্ধিত হন বর্ষীয়ান অভিনেতা গৌতম মুখোপাধ্যায়। এবার তৃতীয় পর্বের অনুষ্ঠান হল গত ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় গিরিশ মঞ্চে। এবার সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হল প্রবীণ নাট্য ব্যক্তিত্ব লোককৃষ্টি নাট্য দলের কর্ণধার ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায় এবং তরুণ নাট্য ব্যক্তিত্ব চাকদহ নাট্যজন সংস্থার কর্ণধার সুমন পালকে। মঞ্চস্থ হল দেড় ঘণ্টার নন-স্টপ হাসির নাটক — কৈলাসে চা পান। অভিনয় অংশ নিলেন ধৃতিকণা ভট্টাচার্য, সোমা চক্রবর্তী, মনীষা মুখোপাধ্যায়, সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, শিবনাথ আচার্য, বাসুদেব পাল, প্রদীপ মণ্ডল, রাকেশ পাল, শক্তি প্রসাদ নিয়োগী, লাবণি সরকার, ইন্দ্রজা চক্রবর্তী, অর্পিতা দাস, গোপাল মুখোপাধ্যায় এবং অমিতাভ ভট্টাচার্য।
সংগীত পরিচালনায় ছিলেন গৌতম মুখোপাধ্যায়, আবহ নির্মাণ এবং প্রক্ষেপণে অমিত ঘোষ, রূপসজ্জায় বিশ্বনাথ মাইতি, আলোক নিয়ন্ত্রণে বাবলু চৌধুরী, মঞ্চ নির্মাণে গদাই, গীত রচনায় অমিতাভ ভট্টাচার্য, নামাঙ্কনে রঞ্জন দত্ত। বেলঘরিয়া থিয়েটার অ্যাকাডেমির দশম বর্ষ উদযাপনের শেষ পর্যায়ের অনুষ্ঠান হবে আগামী ডিসেম্বরে অ্যাকাডেমিতে।