শুক্রবার ৪ অক্টোবর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

বর্ষাকালে কলকাতায় বড়দের মতো ছোটদের হাতে, পায়ে, মুখের ভেতরে, হাঁটুতে, ছোট ছোট লাল লাল দানার মতো কিংবা ছোট ছোট ফোস্কার মতো দেখা দিচ্ছে। এতে ছোট বাচ্চারা খেতে পারছে না। তাদের খেতে খুব কষ্ট হচ্ছে কিন্তু তারা বলতেও পারছে না। মায়েদের এমনকি ডাক্তারবাবুরা অনেকেই একে প্রথমে চিকেন পক্স হিসেবে ভাবলেও এখন এটি ‘হ্যান্ড ফুড অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ’ বলে চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। এটি ২০০৭ সাল থেকে কলকাতায় হচ্ছে। প্রথম প্রথম অনেকেই এর সম্পর্কে খবর রাখতেন না। কিন্তু এখন এটি বর্ষাকাল থেকে শুরু করে শীতকাল পর্যন্ত গড়াছে। স্কুলগুলোতে আগে সচেতনতার অভাব থাকলেও এখন বেশিরভাগ শিক্ষক ও অভিভাবকরায় এ বিষয়ে সচেতন হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন:

ত্বকের পরিচর্যায়: টানটান ত্বক চাই? বয়স ধরে রাখতে মেনে চলুন ত্বক বিশেষজ্ঞের এই পরামর্শগুলি

ছোটদের যত্নে: সন্তান জ্বরে ভুগছে? কী ভাবে সামলাবেন? রইল ঘরোয়া চিকিৎসার খুঁটিনাটি

পুজোর ছুটিতে সপরিবারে ঘুরতে যাচ্ছেন? কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন? রইল ডাক্তারবাবুর জরুরি পরামর্শ

‘হ্যান্ড ফুড অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ’ ছোঁয়াচে রোগ। এটি ইন্টেরো ভাইরাস গ্রুপ থেকে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কক্সসাকি ভাইরাস থেকে এটি হচ্ছে। অনেকটা চিকেন বক্স এর মতো দেখতে। সারা গায়ে হয় না। এই রোগ ছোঁয়াচে হলেও বাড়ির সবার না হতেও পারে। মুখের লালা, হাঁচি, মল থেকে রোগটি ছড়াতে পারে। তাই কোনও বাচ্চার এই ‘হ্যান্ড ফুড অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ’ হলে সেই সময় তাকে স্কুলে না পাঠানোই ভালো।
তবে বেশি দিন রোগটা থাকে না। সাত থেকে ১০ দিনের মতো স্থায়ী হয়। চীন, তাইওয়ান প্রভৃতি দেশে এই রোগটি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছলেও, ভারতে এখনো পর্যন্ত এই রোগটি ভালো হয়ে যাচ্ছে।
 

প্রতিকারের উপায়

আপনার বাচ্চার ‘হ্যান্ড ফুড অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ’ হলে সেই সময় তাকে স্কুলে না পাঠিয়ে বাড়িতে রাখুন।
খেলার জায়গায় যেখানে অনেক বাচ্চাদের সমাবেশ হচ্ছে সেখানে না পাঠানোই ভালো।
ঠান্ডা এবং পাতলা খাবার খাওয়ান, যাতে শক্ত খাওয়ার খেতে বাচ্চার কষ্ট না হয়।
কোনও শিশু বিশেষজ্ঞ অথবা ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
জ্বর হলে হালকা জ্বরের ওষুধ দিন।
অনেক সময় ডাক্তারবাবুর পরামর্শ অনুযায়ী মলম লাগিয়ে এবং সামান্য কিছু ওষুধ খেলেই রোগটি ভালো হয়ে যেতে পারে।

যোগাযোগ: ৯৮৩১৫৮৫০৮০, ৯৮৩০৩৮২৪৯৮


Skip to content