শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


নারী ও পুরুষ চা শ্রমিক (ছবি সংগৃহীত)

বিনয় মাকে সামনে নিয়ে গলা নামিয়ে বলতে লাগল
– সময়টা ভালো নয় মা। তাই সাবধানতা নিতেই হচ্ছে। ফেরার সময় গাড়িতে তুমি জানতে চাইছিলে আমরা এখন কী করবো? আমি যদি ঈশ্বর হতাম মা – তাহলে বলতাম অতীত ভুলে আমরা নতুন করে শুরু করব। আমাদের বাগানে আমরা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেব। তাঁদের আমরা থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেব। তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করব। মালিক যদি শ্রমিকদের কথা ভাবে তাহলে শ্রমিকরা নিশ্চয়ই মালিকের ক্ষতি চাইবে না। আমাদের বাগানের মহিলা শ্রমিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা আমরা করব। আমি যদি এইসব প্রস্তাব দিই আমি জানি কিছুটা আর্থিক ক্ষতি হলেও পিটারসন সাহেব এসব মেনে নেবেন। কিন্তু আমি বা পিটারসন সাহেব কেউই ঈশ্বর নই। আর এই বাগানটাও পিটারসন সাহেবের একার নয়। অনেক বিদেশী মালিকের মধ্যে উইলিয়াম পিটারসন একজন। কোনও একটা বাগান তাঁদের ইচ্ছেমতো মজুরি ঠিক করতে পারবে না — অন্য বাগানের মালিকেরা বাধা দেবে। এখানে যে বে-নিয়মটা নিয়ম বলে চালু হয়েছে, সেটাও বদলানো যাবে না। আমরা আমাদের বাগানের শ্রমিকদের এমন কোনও বাড়তি সুযোগ-সুবিধে দিতে পারব না। যেটা অন্য বাগানে নেই। বাগান মালিকদের মধ্যে এটাই অলিখিত চুক্তি। আমার বাগান রমরম করে চলছে, আর অন্য বাগান শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বন্ধ হয়ে আছে। ব্যবসা একা আমরা করছি। রোজগার শুধু আমরা করছি। আর অন্যেরা করতে পারছে না, এমনটা হবে না। অন্য বাগানের মালিকরা এমনটা হতে দেবে না। তাই এই টালমাটাল অবস্থাটাকে আমরা বদলাতে পারবো না। কিন্তু আমরা মানুষকে ঠকাতে পারব না মা!!

বসুন্ধরা অবাক হয়ে বিনয়কে দেখছিল বিনয়ের কথা শুনছিল। এই কি সেই ছেলে? কোটালিপাড়ার বাড়িতে ‘খিদে পেয়েছে’ এই কথা বলে ফেলার অপরাধে কোনও এক মামীর কাছে বকুনি খেয়ে মার আঁচলে মুখ গুঁজে যে নিঃশব্দে কাঁদত।- সারাদিন জাহাজঘাটায় ছুটোছুটির পর গুহবাড়িতে ফিরে খিদে-ক্লান্তি ভুলে রাত পর্যন্ত সারাদিনের হিসেবপত্র খাতায় তুলে একরাশ ক্ষোভ নিয়ে ভাঁড়ার ঘরের আশ্রয়ে ফিরে ছটফট করত। তেলিপাড়া লেনের ধুলো-ধোঁয়া ভরা বাড়িতে মায়ের কষ্টের কথা ভেবে মন খারাপ করত।

বিনয় টেবিলের কাঁচের গ্লাসে ঢাকা দেওয়া জল শেষ করে মা’র সামনে এসে দাঁড়ালো। তারপর মা’র হাত ধরে বলে
− তোমার প্রশ্নটা খুব যুক্তিসঙ্গত। এখন কি করবো? সেটা ঠিক করতে গেলে তোমার সাহায্য চাই মা।

বসুন্ধরা বেশ অবাক—
− আমি? এসব তুই কী বলছিস বিনু? এ সব ব্যবসাপত্তরের ব্যাপার। তার কত নিয়মকানুন। আমি কী বলবো?
− তুমি শুধু আমার একটা খটকা … আচ্ছা মা শুধু এগোনো মানে কি সাফল্য? পিছিয়ে আসা কি ব্যর্থতা?
− আমি তোর কোনও কথা বুঝতে পারছি না বিনু!

বিনয় ভাবতে ভাবতে অস্থির হয়ে ঘরের মধ্যেই একপাক ঘুরে নেয় —
− আমি, আমি তোমায় বুঝিয়ে বলছি মা। পিটারসন সাহেব আমাদের এতো খরচাপাতি করে নিয়ে এসেছেন। এতো ভালোভাবে রেখেছেন। সেতো একটা সঠিক সমাধান দেওয়ার জন্যে।

বিনয় ভাবতে থাকে। “সমাধান” কি সবসময় সদর্থক? সু-পরামর্শ দেওয়া কি এগোনো? নাকি পিছিয়ে আসাটাও একরকম এগোনো? বিপদ আন্দাজ করেও কাউকে এগিয়ে যাবার পরামর্শ দেওয়াটা — তোমার প্রতি কারও ভরসা বা বিশ্বাসের অমর্যাদা করা। তাঁকে বিপদের আঁচটা বুঝিয়ে না দেওয়াটা তো বিশ্বাসঘাতকতা।

পরের দিন বিফল হবে জেনেও বিনয়কান্তি বাগানের অন্য মালিকদের সঙ্গে মিটিং করল। সারাটা দিন চেষ্টা করল। বিনয়কান্তি দত্ত যে উইলিয়ম পিটারসনের প্রতিনিধিত্ব করবেন সেটা আগেই পিটারসন সাহেব টেলিগ্রাম করে বাগানের বিদেশী অংশীদারদের জানিয়ে রেখেছিলেন। দু’ একজন উন্নাসিক মালিক ছাড়া বাকিরা মিটিংয়ে এল, কিন্তু তাঁরা বাগানের কুলিদের মজুরি বাড়ানো, চিকিৎসা, মহিলা শ্রমিকদের সুরক্ষার কথা শুনতেই চাইল না। কেউ বলল ‘ইউটোপিয়ান স্কিম’ অর্থাৎ অলীক কল্পনা। কেউ বলল ‘টু চাইল্ডিশ’ মানে নিতান্ত বাচ্চাদের ভাবনা। মিটিং-এর নথি সুইসাবুদ হল কিন্তু অন্য অংশীদারেরা পিটারসন সাহেবের তরফে বিনয়ের ‘রিফর্মিস্ট প্রপোজাল’ বাতিল করল।

বাংলোতে ফিরে বিনয় ভেঙে পড়ল। কোনওক্রমে রাতে খাবার খেয়ে নিজের ঘরে অস্থিরভাবে পায়চারী করতে থাকল। খাবার ঘর থেকে বিনয়ের ঘরে এসে বসুন্ধরা বিনয়ের অস্থিরতা দেখে তার কাছে যায়। বিনয়ের মাথায় হাত রাখে।
– মন অস্থির হলে যে তা আর নিজের বশে থাকে না বিনু।
– মা একদিকে আমাদের ব্যবসাকে বাঁচাতে হবে। অন্যদিকে ওই নিরীহ নিরাপরাধ মানুষগুলোর জীবনের অনিশ্চয়তা।
– পিটারসন সাহেব তো জেনে বুঝেই তোমায় এই কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছেন বিনু।
– এক এক সময় মনে হচ্ছে জীবনের প্রথম বড় সিদ্ধান্তটায় আমায় পেছিয়ে আসতে হবে?

প্রথাগতভাবে শিক্ষিত না হয়েও তার মা বসুন্ধরা যে অনেক বেশি মেধাবী সে পরিচয় বিনয় আরও একবার পেল। মা বলল—
− আচ্ছা বিনু এ কী রকম ভাবনা তোর? বেনারসে শাড়ি তৈরি দেখেছিলি মনে পড়ে? তাঁতের মাকু একবার সামনে যায় আবার পেছনে। আর এই আগু-পিছু করতে করতেই একটা গোটা শাড়ি তৈরি হয়। মায়ের এক খুড়তুতো কাকা ছিল। তাঁকে আমরা হরিণদাদু ডাকতাম। তার আসল নাম মনে নেই। বরগুনা জেলায় থাকত, আমতলিতে। আমি কোনওদিন যাইনি। খালি গল্প শুনেছি। পায়রা নদী – ওপারে বুড়ির চর। গোটাটাই বনজঙ্গল। সুন্দরবন। হরিণ নাম দিলে কি হয়? মামা খুব ডাকাবুকো। ঢাকায় এলে খুব গল্প শোনাত। মামা বাঘ দেখেছিল – বাঘের গল্প বলত। বাঘ বড় লাফ দেবার আগে কী করে জানিস? গুঁড়ি মেরে কয়েক পা পেছিয়ে যায়। যাতে সামনে অনেকখানি লাফাতে পারে।
− ঠিক বলেছ মা। তোমার কথা শুনে মনে পড়ে গেল। ইংরেজিতে একটা চালু প্রবাদ আছে Tiger takes a step back before it jumps forward – এর মানে তুমি যেটা বললে ঠিক তাই। সামনে ঝাঁপ দেওয়ার আগে বাঘ পিছিয়ে যায়।
− কিন্তু তুই এখানে বসে কলকাতায় সাহেবকে এতসব জানাবি কী করে?
– কালই সাহেবকে আমি হাতে লেখা রিপোর্ট ডাকে পাঠিয়ে দেব। আমার মতামতও পাঠাব। তারপর দেখি উনি কি সিদ্ধান্ত নেন।
বিনয় ঘরের বড় আলো নিভিয়ে দেয়। শুধু একটা টেবিল ল্যাম্প জ্বলছে।
সাহেবরা অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে কাঠের মোটা মোটা খুঁটির ওপর দিয়ে অনেক দূর থেকে বাংলোয় ইলেকট্রিক এনেছে। আশপাশের গ্রাম-কুলিবস্তিতে বিদ্যুৎ নেই।
বন্ধ কাচের জানলা দিয়ে দেখা যায় বাইরে ঘন অন্ধকার একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। বসুন্ধরা সেই অন্ধকারে একটু আলো খোঁজার চেষ্টা করে। হঠাৎ খেয়াল হয় বন্ধ কাচের ওপর আগের দিন সেই বৌদ্ধসন্ন্যাসীর দেওয়া ধর্মচক্রের ছায়াছবি। বড় আলো নিভে যেতে পাশের টেবিল ল্যাম্পের আলোয় অন্ধকার কাচের ওপর স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

সেটা দেখে অবাক হয় বসুন্ধরা। ফিরে দেখে বিনয়কান্তিও জানলার কাচে ফুটে ওঠা সেই ধর্মচক্রের ছবিটা দেখছে।

সেই রাতে বিনয় নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারল। মায়ের সঙ্গে কথা বলে মনের উপর চেপে থাকা পাথরটা যেন সরে গেল। কেটে গেল মনের এতদিনের দ্বিধা দ্বন্দ্ব সংশয় -সব। সকাল সকাল উঠে পিটারসন সাহেবকে রিপোর্ট ডাকে পাঠানোর জন্য বিনয় যখন কাগজপত্র গুছিয়ে নিচ্ছে তখন হঠাৎ বসুন্ধরা এল বিনয়ের ঘরে। সকালে বের হবার আগে বসুন্ধরা কখনও আসে না। বিনয় একটু অবাক হলেও ভাবল মার হয়তো কোনও কথা মনে হয়েছে তাই বলতে এসেছে।
− তুমি কিছু বলবে মা?
− হ্যাঁ বিনু – এখানে থাকতে থাকতে এই লোকগুলোর ওপর মায়া পড়ে গিয়েছে – এই বাবুরাম চারুমতী। তারপর পুহর থুয়া। পুহরের বাবা চক্রধ্বজ। ওই অফিসের জিপ চালিয়ে যে ছেলেটা কাল আমাদের বুড়িডিহিং দেখিয়ে নিয়ে এল। দেনপো। অফিসের পুরকায়স্থ বাবু – তাঁর স্ত্রী। এরা তো গরিব বা মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষ। বিনু, তুই কথা দে তুই এমন কিছু করবি যাতে এরা বঞ্চিত না হয়। তোর এগিয়ে চলার রাস্তায় যেন এদের চোখের জল না পড়ে।
আরও পড়ুন:

মৃত্যুর পরও স্বমহিমায় টিভির পর্দায় ফিরছেন অভিনেত্রী পল্লবী দে, অপেক্ষায় বাবা-মা

‘লাল সিংহ চড্ডা’ আশানুরূপ ফল করতে পারেনি, পারিশ্রমিক নেবেন না আমির, কেন?

ছাদে দাঁড়িয়ে ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন বিগ-বি, রশ্মিকার হাতে লাটাই, ‘গুডবাই’ কবে মুক্তি পাচ্ছে?

সত্যজিৎ রায়ের চিকিৎসার দায়-দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কান্তিভূষণ বক্সী

বিনয় ঠিক করেছে গাড়িতে সরাসরি ডিব্রুগড় পৌঁছে সেখান থেকে ডাক পাঠাবে আর একটা টেলিগ্রামও করবে। টেলিগ্রাম-এর বয়ানটাও অনেক ভেবেচিন্তে ঠিক করেছে বিনয় কান্তি। আপাতদৃষ্টিতে একটা সাদামাটা টেলিগ্রাম।
To
Mr. William Peterson
Peterson Tea Company
Clive Row, Calcutta
Sir
Mangoes are sour. No mango buds now. Hence no hope for good fruits in future too. Sending details of accounting of Mango-garden by post. After receiving details, kindly advise if you would still like to have mangoes from here.
Regards
Yours Binoy Kanti (BKD)
গাছে আম যা ফলেছে তা টক। এখনও আমের মুকুল আসেনি। তাই আগামী দিনে যে ফলন ভালো হবে এমন নয়। ডাকে আমবাগানের হিসাবপত্র পাঠানো হয়েছে। হিসাবপত্র পাবার পর আপনি ভবিষ্যতে এমন টোকো আম চান কিনা জানাবেন। শেষে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটা yours জুড়ে দিয়েছে বিনয় কান্তি। সাহেব তখন মাঝে মধ্যে বিনয়কে আদর করে নাম-পদবীর আদ্যক্ষরে ডাকতেন। তাই ব্র্যাকেটে লেখা বিকেডি। পিটারসেন সাহেব বুদ্ধিমান। চিঠি পৌঁছবার আগেই টেলিগ্রামটি পেয়েই বুঝে ফেলবেন – বিনয় কী বলতে চাইছে। তারপর তো বিনয়ের পাঠানো রিপোর্টে সমস্ত কিছু বিশদে লেখা আছে।

রাস্তা খুব একটা ভালো নয় যেতে প্রায় দু’-আড়াই ঘণ্টার ধাক্কা। কিন্তু মা যেটা বলে গেল – সেটা সে কী করে করবে? এই বাগানের মালিকানা ছেড়ে দিলেই পিটারসনের ভালো। পুরো বাগানের মালিক যদি পিটারসন একা হতো তাহলে অন্য রকম ভাবে ভাবা যেত। তা তো নয়। অবশ্য পিটারসন একা মালিক হলেও তার ইচ্ছেমতো সুযোগ-সুবিধে শ্রমিকদের দিতে পারত না। অন্য বাগানের মালিকরা বাগড়া দিত। শ্রমিকদের খুশি রাখতে পিটারসন যে নিজের মুনাফা কিছুটা ছাড়তে কখনওই অরাজি হতেন না এ ব্যাপারে বিনয় কান্তি নিশ্চিত। কিন্তু এই বাগান থেকে ভবিষ্যতে চায়ের যোগান কমবে বই বাড়বে না। শ্রমিক অসন্তোষ রাজনৈতিক আন্দোলন বাড়বে। তারমানে যৌথ মালিকানায় থেকে পিটারসন সাহেবেরও লাভ নেই আর বাগানের শ্রমিক-কর্মচারীরা তো কষ্ট ভোগ করবেনই। এই যে দেনপো – নিয়ম নিষ্ঠা সততার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করছে। সে বঞ্চিত হবে। কষ্ট ভোগ করবে। কিন্তু বিনয় কিভাবে সেটা আটকাবে? ছেলের উপর বসুন্ধরার অনেক আশা ভরসা – কিন্তু মায়ের আশা বিনয় পূর্ণ করবে কীভাবে?

আজ যখন বাংলো থেকে বের হবার আগে সে ডাইনিং টেবিলে খেতে বসেছে – রাঁধুনী বাবুরাম বা তার বউ চারুমতীকে দেখতে দেখতে বারবার মার কথাগুলো মনে হচ্ছিল। ওই যে পুহর ছেলেটা অফিস থেকে কতগুলো জরুরি ফাইল বয়ে নিয়ে এসেছে। গোটা বারান্দা ঝাঁট দিয়ে মুছছে পুহরের বউ থুয়া –বারান্দার কাঠের রেলিং আসবাবপত্র নিবিষ্ট মনে মুছে যাচ্ছে ওই যে বয়স্ক চক্রধ্বজ – ওরা তো জানে না কি ভয়ংকর বিপদ নেমে আসতে চলেছে ওদের জীবনে। সেই পরিণতি থেকে বিনয় ওদের বাঁচাবে কী করে?—চলবে

উইলিয়াম পিটারসন

চিত্র সৌজন্য: সত্রাগ্নি
 

পরের পর্ব আগামী রবিবার

আর জীবনের প্রথম ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তটা যে সদর্থক হল না সেটা বিনয়কান্তিকে ভেতরে ভেতরে একটা কষ্ট দিচ্ছে। এর মধ্যে মা এমন একটা দাবি করেছে — যেটা বিনয় পক্ষে মেটানো প্রায় অসম্ভব। খালি রাস্তা পেলেই দেনপো’র পা এক্সিলেটরে চাপ দিচ্ছে। জিপ ছুটছে আরও জোরে, ভাবনার সময়টা আরও কমে আসছে। শ্রমিকদের মজুরি কম, তাঁদের চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা নেই। শীতে বর্ষায় থাকার অসুবিধে। কোন জাদুতে এতো সব সমস্যার সমাধান করে দেবে বিনয়?

* বসুন্ধরা এবং (Basundhara Ebong-Novel) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।
 

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content