রবিবার ১০ নভেম্বর, ২০২৪


আইনি জটিলতায় ‘লাল সিংহ চড্ডা’। ছবিটি মুক্তি পেয়েছে গত ১১ অগস্ট। হলিউড ছবি ‘ফরেস্ট গাম্প’ অবলম্বনে ‘লাল সিংহ চড্ডা’ তৈরি এই ছবির সঙ্গে ভারতীয় মূল্যবোধ জড়িয়ে রয়েছে। তবে এই ছবির সঙ্গে যুক্ত সবার বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ‘অসম্মান’ করার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করারও।
‘লাল সিংহ চড্ডা’ ছবিতে আমির খান ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন সদস্য। দিল্লির আইনজীবী বিনীত জিন্দালের কথায়, ছবিতে আমিরের চরিত্রটিকে যে ভাবে তুলে ধরা হয়েছে তা দেশের আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিনীত তাঁর অভিযোগপত্র পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরার কাছে জমা দিয়েছেন। তিনি তাঁর অভিযোগপত্রে মূলত চারটি বিষয় তুলে ধরেছেন। এক, দেশের সেনাবাহিনীর সশস্ত্র বাহিনীকে অসম্মান করা। দুই, নানান গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরির চেষ্টা (১৫৩-ক)। তিন, দাঙ্গা তৈরিতে উস্কানি দেওয়া (১৫৩) এবং চার, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা (২৯৮)।
আইনজীবী বিনীত জিন্দাল এও অভিযোগ করেন, ‘ছবিতে কার্গিল যুদ্ধে এক জন বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছে, যা বাস্তব। কঠোর প্রশিক্ষিত সেনা ছাড়া সীমান্তে কেউকে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয় না। তাহলে একজন বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তি সেনাবাহিনীতে যোগ দিলেন কী ভাবে? তাঁর কথায়, ‘লাল সিংহ চড্ডা’-এর নির্মাতারা ইচ্ছে করেই সেনাবাহিনীকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন।
ছবির একটি দৃশ্যে দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানের এক কর্মী লাল সিং চড্ডাকে প্রশ্ন করছেন, ‘আমি নামাজ পড়ি এবং প্রার্থনাও করি। লাল, আপনি কেন তা করেন না?’ ওই পাকিস্তানী কর্মীর প্রশ্নের উত্তরে লাল বলেন, ‘আমার মা বলেছেন, পূজাপাঠ হল ম্যালেরিয়া। এতে দাঙ্গা হয়।’ আইনজীবী বিনীত জিন্দালের বক্তব্য, ছবির এই দৃশ্যে হিন্দু সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করেই মানহানিকর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

Skip to content