রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম রসায়ন শিল্প ক্ষেত্র তৈরির কারিগর, ভারতের রসায়নের জনক, বেঙ্গল কেমিক্যালসের রূপকার আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ১৬১-তম জন্মবার্ষিকী পালিত হল কাসা দেই ব্যাম্বিনি মন্তেসরি হাউসের ৯০ এ/বি বেলতলা রোডের প্রাঙ্গণে। কাসা ডেই ব্যম্বিনি, সাইন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল এবং এডুকেশনাল কাউন্সেলিং অ্যান্ড হেলপিং অর্গানাইজেশন (ইকো)-এর মিলিত উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছিল। জন্মবার্ষিকী পালনের মূল উদ্দেশ্য ছিল, মনীষীকে স্মরণের মাধ্যমে বিজ্ঞান এবং তার ব্যবহারিক ও প্রয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা। জনজীবনে বিজ্ঞান চেতনার উন্মেষের প্রয়োজনীয়তা ও পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে সমাজ সংস্কারের কয়েকটি আঙ্গিক নিয়েও আলোচনা হয়। সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে শিশুমনে বিজ্ঞানচর্চার আগ্রহ তৈরি করার প্রচেষ্টাটি যে সবচেয়ে জরুরি, এ বিষয়ে একমত ছিলেন সবাই। শিশুরাই ভবিষ্যত। সেই শিশুদের উন্নতিতেই সমগ্র জাতির ভালো —এই নীতিকেই চলার পাথেয় করে নিয়ে চলা শুরু কাসা দেই ব্যামবিনি-র।
সাইন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সচিব অধ্যাপক শুভব্রত রায়চৌধুরি কাসা দেই ব্যমবিনি-র ছাত্রছাত্রীদের ছোট ছোট গল্প ও ঘটনার মাধ্যমে বিজ্ঞানচেতনা ও সমাজ ভাবনায় উদ্বুদ্ধ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি-পরিবেশবিদ বিজ্ঞানী ড. সৈকতকুমার বসু। ছোটখাট সহজ কয়েকটি পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি হাতে কলমে ছোটদের বিজ্ঞানের মজার কিছু সত্য উদঘাটন করে দেখান। ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীরা হয়তো বুঝতে পারেনি বিজ্ঞানের সেই সব খুঁটিনাটি। তবে তাতে তাদের উৎসাহ কমেনি একটুও। বসার জায়গা ছেড়ে বারবার উঠে উঠে আরও সামনে এসে দেখার চেষ্টা কী করে ফুল ফোটে আর রঙ ধরে তাতে। ইকো-র সদস্য সুতপা বর্ধন ও তিলোত্তমা দে, সাইন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সদস্য সমর বেজ প্রমুখ বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন সেই উদযাপন অনুষ্ঠানে।
সুতপা বর্ধন নিজে একজন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। একটি প্রথম সারির বহুজাতিক সংস্থায় কাজ সামলে তিনি বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত রাখেন নিজেকে। ছিলেন সান্ত্বনা বসু। ড. মারিয়া মন্তেসরির আদর্শ অনুসরণ করে যিনি একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন কাসা দেই ব্যামবিনি-র কচিকাঁচাদের। ২২ বছরের এই পথ চলায় অধ্যক্ষ সান্ত্বনা বসু বিশ্বাস রাখেন যোগ প্রাণায়ামের ঐতিহ্যে। তাই তো আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্মবার্ষিকী পালন শুরু হয় সমবেত ‘ওম’ মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে। তিলোত্তমা দে মতে, ছোটদের অংশগ্রহণ আচার্যের জন্মদিনের অনুষ্ঠানটিকে পরিপূর্ণ সার্থকতা প্রদান করেছেন।

Skip to content