শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


শেষরক্ষা হল না! অবশেষে প্রেসিডেন্সি জেলের দু’নম্বর সেলে ঠাঁই হল পার্থ চট্টোপাধ্যাওয়ের। অর্পিতা যাচ্ছেন আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ২৩ জুলাইয়ের পর যেন এক লহমায় বদলে গিয়েছে সবকিছু। শুক্রবার মেলেনি জামিন। দুই পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর পার্থকে শুক্রবার ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। রাত ৮টা নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর গলায় শোনা যায় অভিমানের সুর।
পুলিশ কর্মীদের কাছে না কি আক্ষেপের সুরে পার্থ বলেছেন, ‘দেখেছেন, আজ আমার পাশে কেউ নেই’। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলে পার্থের জন্য কোনও বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি। ‘পয়লা বাইশ’ ওয়ার্ডের দু’নম্বর সেলে ঢুকেই পার্থ বলতে থাকেন, ‘এখানে কী করে থাকব?’ ৫ তারিখ রাতে পার্থকে খেতে দেওয়া হয় রুটি ও সবজির ঘ্যাঁট। ৬ তারিখ অর্থাৎ শনিবার সকালে তাঁকে চা ও বিস্কুট দেওয়া হয়। দুপুরে তাঁর খাদ্যতালিকায় ছিল ডাল, ভাত ও সবজি। যে সেলে পার্থকে রাখা হয়েছে, সেখানে কোনও খাট বা চেয়ার নেই। মেঝেতেই কম্বল পেতে শুতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর পাশের সেলে রয়েছেন তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতো। ওই জেলেই আছেন আফতাব আনসারি যিনি মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালানো জঙ্গি। এছাড়াও আছেন কয়েকজন মাওবাদী নেতা।
অন্যদিকে আলিপুর মহিলা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যাএয়কে। সেখানে তাঁর জন্য।ও অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষীর ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে। তাঁর আইনজীবীর আর্জি, জেলে অর্পিতাকে ডিভিশন ওয়ান প্রিজনার হিসাবে দেখা উচিত। পাশাপাশি তিনি জানান, অর্পিতার প্রাণহানীর আশঙ্কা রয়েছে। তাই খাবার ও জল দেওয়ার আগে যাতে তা পরীক্ষা করে দেখা হয়, সেই আবেদনও জানানো হয়। আদালতের খাবার ও জল দেওয়ার আগে পরীক্ষা করে তারপর তাঁকে খেতে দেওয়ার ব্যিবস্থা করেছে জেল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, পার্থ জেলে যাওয়ার পর নিজের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তৃণমূলের দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘আশা করি জেল কর্তৃপক্ষ ওঁকে একদম সাধারণ বন্দির মতো রাখবে। যেন কোনও বাড়তি সুবিধা না দেওয়া হয়।’

Skip to content