মঙ্গলবার ১ এপ্রিল, ২০২৫


পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে সময় যত এগোচ্ছে ততই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। পার্থ ঘনিষ্ঠ মডেল-অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট থেকে শুধু কোটি-কোটি টাকা, তাল-তাল সোনা নয়, উদ্ধার হয়েছে দু’টি সেক্স টয়ও। মহিলার ফ্ল্যাট থেকে এই বস্তু উদ্ধারে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সর্বত্র। তবে শুধু ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী নিয়েই নয়, অর্পিতা-পার্থর সম্পর্ক নিয়েও মেতেছেন নেটিজেনরা।
পার্থ-অর্পিতার রঙিন প্রেম-কাহিনীই এখন পধান চর্চিত বিষয়। মডেল-অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য নাকি ভুয়ো সিমকার্ড ব্যবহার করতেন রাজ্যের সদ্য মন্ত্রিত্ব হারানো পার্থ। রাত গভীর হলেই কখনও কখনও লংড্রাইভে বেরিয়ে পড়তেন তাঁরা। এমনকী, ছুটি পেলেই অর্পিতার মামার বাড়ি চলে যেতেন পার্থ-অর্পিতা জুটি। তাঁরা নাকি মাঝেমধ্যেই বারুইপুরের বেগমপুরের ‘বিশ্রাম’-এ বিশ্রাম নিতে যেতেন। ছুটি পেলে তাঁরা নাকি মাছও ধরতেন দু’ জনে।
এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে নেমে পার্থ ঘনিষ্ঠ মডেল-অভিনেত্রীর হদিশ পেয়েছে ইডি। তাঁর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাতেই তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। উদ্ধার হচ্ছে প্রচুর সোনাদানা, এবং নগদ টাকাও। মিলছে প্রচুর সম্পত্তির দলিলও। এরপরই স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠছে পার্থ-অর্পিতার সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে। ইডি সূত্রে খবর, ২০১২ সালে অর্পিতাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। এমনকি, অর্পিতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ভুয়ো নামে সিমকার্ডও নিয়েছিলেন পার্থ।
সূত্রের খবর, তিলজলার ভুয়ো ঠিকানা দিয়ে মহম্মদ সাব্বিরের নামে একটি সিমকার্ড তোলা হয়েছিল, যা ব্যবহার করতেন মন্ত্রী। সেই নম্বর থেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলত অর্পিতার সঙ্গে নিভৃতে কথা বলতেন তিনি । এদিন আদালতেও রিপোর্ট জমা করতে চলেছেন তদন্তকারীরা।
এ প্রসঙ্গে অভিনেতা শ্রীলেখা মিত্র পার্থ-অর্পিতা জুটিকে কটাক্ষ করে একটি খবরের চ্যানেলের স্ক্রিনশট শেয়ার করে, পোস্টে লিখলেন, ‘আহারে তোমরা যেন কী? পার্থবাবুদের একটু ইচ্ছে করতে পারে না! শোনো বয়স কোনও বাধা নয়, জাত কোনও বাধা নয়, যৌনতা বার বার!’

Skip to content