সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

অনেক সময়ই আমরা মাথার কোনও কোনও জায়গায় দেখি, চুলের একটা অংশ ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। চুল নেই। অনেকে একে ‘টাকপোকা’ বলেন। তাঁদের ধারণা হয়তো কোনও পোকা হেঁটে যাওয়ার দরুন ওই জায়গায় টাক হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় ‘টাকপোকা’ অ্যালোপেশিয়া অ্যারিয়েটা নামে পরিচিত। কারও এই সমস্যা হলে তাঁদের অনেক সময় মাথায়, চোখের ভ্রু, গোঁফ বা দাড়িতে কোনও কোনও জায়গায় গোলাকারে বা এবড়ো-খেবড়ো ভাবে চুল উঠে যায়। তবে এই রোগ খুব বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছলে শরীরের সব চুলই পড়ে যেতে পারে। ‘টাকপোকা’ যে কোনও বয়সেই হতে পারে, তবে অল্প বয়সীদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়।

অ্যালোপেশিয়া অ্যারিয়েটা নানা কারণেই হতে পারে। তাই এর সমাধানে নিজে থেকে কিছু করতে যাবেন না। অন্যের রোগের ধরন বা উপসর্গের সঙ্গে মিল আছে ভেবে কখনওই নিজের মতো করে সেই অসুখের ওষুধ খাওয়া বা ব্যবহার করা যাবে না। এক্ষেত্রে সব সময়ই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারবাবুর সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা করাতে হবে। কারণ, একাধিক শারীরিক সমস্যার জন্য এই রোগ হতে পারে। কারও থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও এই রোগ দেখা দিতে পারে। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে অটো ইমিউন রোগ যেমন সুগার, পেটের অ্যাসিড কমে যাওয়া-সহ একাধিক কারণে ‘টাকপোকা’ হতে পারে। তাই এরকম হলে অবশ্যই একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার। এই সমস্যায় অনেক নানা রকম পাতা বেটে মাথায় লাগান। এতে কিন্তু ঘা হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। মনে রাখা দরকার, ঘা থেকে ত্বক নষ্ট হয়ে গিয়ে চুলের গোড়া নষ্ট হয়ে গেলে সেখানে আর চুল নাও হতে পারে।
মাথার পিছনে দিকে বা ছোটবেলায় থেকে যাঁদের মাথায় ‘টাকপোকা’ হয় বা পুরো মাথায় এই সমস্যা দেখা দিলে সারতে একটু সময় লাগে। আবার থাইরয়েড বা অন্য কোন রোগ থেকে এই সমস্যা হলেও সারতে সময় লাগে বেশি। এক্ষেত্রে ডাক্তারবাবুরা সমস্যার গুরুত্ব বুঝে সাধারণ ওষুধ, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ বা মলম দিয়ে থাকেন। পরিস্থিতি বুঝে কিছু কিছু ক্ষেত্রে লোশন, খাওয়ার ওষুধ বা ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়। আবারও বলছি, এ ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ত্বক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেওয়া উচিত। তিনিই আপনার সমস্যার গুরুত্ব বুঝে কী ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন সেই মতো সিদ্ধান্ত নেবেন।

আর একটি কথা না বললেই নয়, ‘টাকপোকা’ দেখতে খারাপ লাগলেও এটি একটি সাধারণ শারীরিক সমস্যা। বিষয়টি নিয়ে অযথা উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। খুব বাড়াবাড়ি কিছু না হলে চিকিৎসকের পরামর্শে সেরে যায়।

যোগাযোগ: ৯৮৩১৫৮৫০৮০, ৯৮৩০৩৮২৪৯৮

Skip to content