রবিবার ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫


ছবি প্রতীকী

দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মাঝে তামিলনাড়ু, কেরল, কর্ণাটক ও তেলঙ্গনার মতো একাধিক রাজ্যে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে টম্যাটো ভাইরাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত যে সব শিশুর বয়স ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে তাদেরই ‘টম্যাটো ফ্লু’ হতে পারে। এই মুহূর্তে উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা করেই আক্রান্তদের সুস্থ করার চেষ্টা চলছে। তবে চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে ‘টম্যাটো ফ্লু’ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য সতর্কতামূলক প্রচারও শুরু করা হয়েছে।
 

অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে?

এটি এক প্রকার ভাইরাস ঘটিত সংক্রামক রোগ। ফলে একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পরতে পারে। তাই সর্বদা সতর্ক থাকা জরুরি।
 

টম্যাটো ফ্লু-এর উপসর্গ

প্রচণ্ড জ্বর, খিদে কমে যাওয়া, প্রচণ্ড মাথা ও গা ব্যথা, ছোট ছোট লাল রঙের ফোস্কার মতো ক্ষত, হাত ও পায়ের তালুতে ঘামাচির মতো র্যা শ, ত্বকে জ্বালাভাব, ক্লান্তি, বমি, হাত-কনুই-গলার ত্বকের রং পরিবর্তন, ডিহাইড্রেশন, গাঁটে ও পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা, কাশি, সর্দি প্রভৃতি হতে পারে। টম্যাটো ফ্লু-এর সঙ্গে চিকুনগুনিয়ার উপসর্গের অল্পবিস্তর মিল রয়েছে।

 

চিকিৎসা ও সতর্কতা

রোগটিকে নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। নির্দিষ্ট কয়েকটি সতর্কতা মেনে চললে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে টম্যাটো ফ্লু-র প্রকোপ। সাধারণত টম্যাটো ফ্লু-এর উপসর্গ দেখেই রোগটিকে চিহ্নিত করা হয়। এর জন্য সাধারণত আলাদা করে কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দরকার হয় না। যদি বাচ্চাদের হাত ও পায়ে র্যা শ বেরোয়, বার বার জ্বর আসে তাহলে আপনি আপনার বাচ্চাকে স্কুল, কোচিং সেন্টার কিংবা খেলাধুলা করতে পাঠাবেন না। কারণ, এটি আপনার বাচ্চার থেকে অন্য বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। এই রোগের চিকিৎসায় আলাদাভাবে তেমন কিছু করা হয় না। সাধারণ জ্বরের মতোই এক্ষেত্রেও প্যারাসিটামল দেওয়া হয়। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে জল খেতে বলা হয়। ওআরএস খাওয়াতে হবে। যদি বমি হয় তাহলে বমির ওষুধ খেতে হবে। টম্যাটো ফ্লু হলে সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত জ্বর থাকতে পারে। এতে বাচ্চার শরীর খানিকটা দুর্বল হয়ে যায়। খিদে কমে যেতে পারে। তাই ওদের পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়ার দিতে হবে, সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
 

জরুরি কথা

তবে একটি জরুরি কথা হল, উপসর্গগুলি দেখা দিলেই সময় নষ্ট না করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার। সংক্রমিতকে পাঁচ থেকে সাত দিন একটি আলাদা ঘরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে আগেই বলেছি অযথা আতঙ্কিত হবেন না। এটি রোগ বড়দের হয় না। বাচ্চাদেরই শুধু হয়ে থাকে। তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে বাচ্চাকে পাঁচ থেকে সাত দিন বাড়ির মধ্যেই আলাদা করে রাখুন। যাতে সে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে না মিশতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে গায়ে তৈরি হওয়া ফোসকাগুলি যাতে ফেটে না যায়। শিশুর ব্যবহৃত কোনও কিছুই যেন অন্য কেউ ব্যবহার না করে সেদিকেও নজর দিতে হবে। করোনার মতো এক্ষেত্রেও পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে।


Skip to content