শনিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৪


২০২১ সালে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় শ্রেয়া বণিক এবং অনুষ্কা নন্দী নামে দুই কিশোরীর জমা জলে বাতিস্তম্ভে হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। দুই কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনার পরে জয়েন্ট বক্সের ঢাকনা টেপ দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল পুরসভা। কিন্তু ওই ঘটনার পরে এই বর্ষাতেও দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় বেশ কিছু জায়গায় জয়েন্ট বক্সের ঢাকা খোলা বা ঢাকা না থাকা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। তবে কলকাতা পুর এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনার পরে দক্ষিণ দমদম পুরসভা নড়ে চড়ে বসেছে ।
এ বার পুর এলাকার প্রতিটি বাতিস্তম্ভের গোড়া থেকে ৭-৮ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত টেপ দিয়ে মুড়ে দেওয়া হচ্ছে। আগে শুধু জয়েন্ট বক্সের অংশটুকুই ঢাকা থাকত। পুরসভা সূত্রের খবর, কিছু জায়গার ওই ঢাকনা চুরিও হয়ে যাচ্ছে। বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, লোহার ঢাকনাগুলি চুরি হয়ে যাওয়ায় সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে। বছরভর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং নজরদারি চালালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঠেকানো সম্ভব হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। তবে ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে পুরসভা থেকে এই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এক দিকে যেমন বাতিস্তম্ভের জয়েন্ট বক্স খোলা থাকছে, তেমনই বৃষ্টিতে এলাকায় জল জমলে সময় মতো বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে গাফিলতি দেখা যাচ্ছে। যদিও পুরসভা থেকে জানা যায়, অনেক দিন ধরে বৃষ্টির জল জমে গেলে বিপদ এড়াতে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়ে থাকে।
পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (আলো) পার্থ বর্মার বক্তব্য, জয়েন্ট বক্সের ঢাকনা উধাও হয়ে যাওয়া এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা আটকাতে নতুন বাতিস্তম্ভগুলিতে জয়েন্ট বক্স এমন উচ্চতায় লাগানো হবে যাতে তা কেউ সহজে নাগাল না পায়। তবে পুরনো বাতিস্তম্ভের ক্ষেত্রে এখনই সেই কাজ করা কঠিন। তাই, আপাতত বাতিস্তম্ভের গোড়া থেকে ৭-৮ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত টেপ দিয়ে মোড়া হচ্ছে।

Skip to content