শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


পুরোনো সেই দিনের কথা। ছবি; সংগৃহীত

বাসাবদল

অফিসে গিয়ে বিনয়ের যেমন-অনেক খবর দেওয়ার ছিল, তেমনি অনেক খবর পাবারও ছিল। বৃদ্ধ বয়সে গোডাউনের কাজ সামলাতে তারাপদ বাবুর অসুবিধা হবে এটা ভেবে বিনয়কান্তি খুবই কুন্ঠিত ছিল। কিন্তু গিয়ে শুনল তারাপদ বাবু গোডাউনেই কাজ করতে চাইছেন। এই বয়সে এসে অ্যাকাউন্টস-এর খুঁটিনাটি ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট এসব সামলাতে তার অসুবিধে হচ্ছিল। পিটারসন সাহেব তারাপদবাবুর জায়গায় ক্লাইভ রো অফিসের একাউন্টস ডিপার্টমেন্ট-এ বিনয়কান্তিকে বহাল করলেন। অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্ট-এ তারাপদবাবু যে মাইনে পেতেন বিনয়কান্তি সেটাই পাবে। মাসে ৭৫ টাকা। গোডাউন ক্লার্ক হিসেবে তারাপদবাবুর মাইনেও কমলো না। শনিবার শনিবার ক্লাইভ রো অফিসে ছুটি ধার্য হয়েছে। সাহেবের অনুমতি নিয়ে বিনয় বিনা মাইনেতে প্রতি শনিবার তারাপদ বাবুকে সাহায্য করতে শুরু করলো। বিনয়কান্তি শুনে অবাক হল যে স্বর্ণময়ীর বাবা অ্যাডভোকেট আনন্দমোহন বসু ইতিমধ্যে অফিসে এসে তারাপদবাবুর সঙ্গে আলাপ করে গিয়েছেন। তখন বিনয়রা কাশীতে। তারাপদবাবু বিনয়ের টেলিগ্রাম পেয়েছেন। আবার একদিন বিকেল বেলায় ক্লাইভ রো অফিসে এসে হাজির হলেন আনন্দমোহনবাবু। বিনয়কে জানালেন, এমন একটা অঘটন এর খবর পেয়ে তারাও খুব দুঃখিত। তিনি সস্ত্রীক একদিন বিনয়ের মায়ের কাছে যেতে চান। বিনয় তেলিপাড়া লেনের বাড়িটার কথা ভেবে চমকে উঠলো- জানাল – তারা বাড়ি বদল করছে। নতুন ঠিকানা জানাবে।

বসুন্ধরা বলে, ‘মাইনে বেড়েছে বলে এক্ষুনি বাড়ি পাল্টাতে হবে কেন বিনু। আমার তো কোন অসুবিধে হচ্ছিল না। তুই সকাল বেলা অফিস চলে যাস আমি সারাদিন তো একাই থাকি। এর চেয়ে বেশি ঘরের কী দরকার? টাকাটা পাচ্ছো ক’টা বছর জমিয়ে নাও – তারপর বিয়ে শাদী হলে তো খরচ বাড়বে নাকি?’

‘তুমি বুঝতে পারছনা মা। এ বাড়ির পরিবেশটা মোটেও ভালো না। আমাদের দুজনের চলে যাচ্ছে ঠিকই। কিন্তু বাইরের কাউকে তো এ বাড়িতে আনা যায় না।’

‘আচ্ছা বিনু, এ শহরে কে আমাদের চেনে বলতো। এক গুহবাবুরা। তারা বাড়িতে আসবে না। ফড়েপুকুরে ডেকে পাঠাবে। আর কে আসবে আমাদের কাছে?’

‘বাড়ি বদলালেও দু’ বেলার খাওয়া জুটবে মা — আমি তোমায় কথা দিচ্ছি।’

বসুন্ধরা বোঝে -এই যে প্রতিবেশীদের একটা ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলা অবস্থা এটা বিনুর পছন্দ নয়। আর সে বরাবর ফিটফাট থাকতে পছন্দ করে। ছেলে বড় হয়েছে তাই বাড়ি বদল করায় মত দিলেন বসুন্ধরা।

অফিসে কাজের চাপে নিজে গিয়ে বাড়ির খোঁজার সময় বিনয়ের নেই। তাই এক দালাল ধরল। অফিস ফেরতা একটা দুটো করে বাড়ি দেখা শুরু করলো বিনয়কান্তি। গ্রে স্ট্রিটে একেবারে হাতিবাগানের মোড় থেকে একটুখানি। একটা দোতলা বাড়ির খোঁজ মিললো। বাড়ির ভিতরে যাওয়ার আগেই বাইরে থেকেই বড্ড পছন্দ হল বাড়িটাকে। হালকা গোলাপি রঙের বাড়ি— ইঁটে-খয়েরি রঙের দরজা, খড়খড়িওয়ালা জানলা। ফুলের টবওলা সাদা রঙের ঝুলবারান্দা।

একতলায় একটা বসার ঘর, একটা শোবার ঘর। ভিতরে লাল মেঝের চিলতে বারান্দা – রান্নাঘর। তারপর খোলা উঠোন – কলতলা ইত্যাদি। এ বাড়িতে ইলেক্ট্রিক পাখা আছে। তেলিপাড়া লেনের বাড়ির জন্যে একটা ঘরঘরে টেবিল ফ্যান কিনতে হয়েছিল। গ্রে স্ট্রিটের বাড়ির মালিক কেদার পাল ও তার স্ত্রী দোতলায় থাকেন। তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তারাও ঝাড়া-হাত-পা একটা ছোট সংসারের ভাড়াটে খুঁজছিলেন। কেদারবাবু ম্যাকমিলান বই কোম্পানির বড়বাবু, তিনি পিটারসন টি কোম্পানির নাম শুনেছেন। মা-আর ছেলের ছোট্ট সংসার শুনেই রাজি হয়ে গেলেন। ভাড়াটা একটু বেশির দিকে কিন্তু বাড়ি খুব পরিষ্কার – রঙকরা ঝকঝকে। ভেতরে একটা টিউবওয়েল আছে। সাতপাঁচ না ভেবে বিনয় বাড়ি ঠিক করে ফেলল।

তেলিপাড়া লেনের বাড়ির ঠিকানা একমাত্র বারাণসীর শ্রীরামকৃষ্ণ অদ্বৈতাশ্রম আর সেবাশ্রম হাসপাতালের খাতায় লেখা হয়েছিল। নতুন বাড়িতে গিয়ে গুছিয়ে বসে বাচ্চা মহারাজকে সব জানিয়ে নতুন বাড়ির ঠিকানা দিলেই হবে। হ্যাঁ অফিসে প্রথমে গুহবাড়ির ঠিকানা ছিল তারপর সেটা বদলে তেলিপাড়া লেনের ঠিকানা লেখা হল— এবার সেখানে গ্রে স্ট্রিট লেখা হবে।

গোপালকৃষ্ণ ঘোষের মতো চরিত্রেরা একই ছাঁচে গড়া হয়। এরা নিজের স্বার্থসিদ্ধি ছাড়া আর কিছু জানেনা বা বোঝেন না। বিনয় গিয়ে বাড়ি ছাড়ার কথা বলতেই তিনি গাঁইগুঁই শুরু করলেন।

− সে কী হে! ঘর ছেড়ে দেবে মানে?

− এখানে আর থাকবো না।

− যাচ্ছো কোথা?

− আমরা গিয়ে গুছিয়ে বসি, আমি নিজে এসে আপনাকে নিয়ে যাবো। আমরা তো গাঁয়ের বোকাসোকা লোক। কোলকাতার লোকের মত অত রাস্তাঘাট চিনিনা তো- জায়গার নামও জানি না। আমার আপিসের একজন নিয়ে গেল – খুব দূরে কিছু নয় কাছাকাছি। কিন্তু সে যে কোন গলিঘুঁজি দিয়ে নিয়ে গেল। ফেরার সময় সে এই গলির মুখ অব্দি না এলে বাড়ি ফিরতে পারতুম না।

গোপালকৃষ্ণের মতো ধুরন্ধরদের জায়গা ছাড়তে নেই— কলকাতার জীবনসংগ্রামে ফরিদপুরের বিনয়কান্তি এটা শিখে ফেলেছে।

− এত বড় মুশকিল করে দিলে হে

− কেন?

− না আমি মিস্ত্রি ডেকে তোমাদের ঘরে আর একটা জানালা করে দেবার কথা ভাবলুম।

− সে আমরা এ মাসের শেষাশেষি যাবার পর – মিস্ত্রি লাগান না, আর আপনি তো বলেন – তেলিপাড়া লেন পূণ্যভূমি। কপাল করে আমরা জায়গা পেয়েছিলাম – পরে যারা আসবেন তারা নির্ঘাৎ আরও পূণ্যি করেছেন – ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো আপনি মেরামত করিয়ে দেবেন।

কিছুতেই ছোকরাকে বাগে না আনতে পেরে এবার তিনি উষ্মা দেখাতে যান।

− দুম ক’রে বাড়ি ছাড়লিই হল। অন্ততঃ একমাস অগ্রে জানান দিতে হবে না? আগামী মাসের ভাড়া আমায় দিয়ে তবে বাড়ি ছাড়বে

− এসব কথা তো বাড়ি নেবার সময় হয়নি – কিন্তু কোন অসুবিধে নেই। ভাড়া আপনাকে আমিই দেবো। তবে কিনা আমাকে নতুন বাড়িতে থাকার জন্যে ন্যায্যত সেখানে ভাড়াটা দিতে হবে। আর এখানে দিতে হবে আপনি বয়স্ক মানুষ বড়মুখ করে আবদার করেছেন তাই। কিন্তু পকেট তো আমার একটাই তাই এবাড়ির ভাড়াটা কোথাও থেকে উসুল করতে হবে। সে আপনি চিন্তা করবেন না – মাস শেষ হলে আপনার সামনে মেঝেতে ভাড়ার টাকা আর ঘরের চাবি রেখে দেবো।

− তুমি থাকবে না?

− আজ্ঞে আমি দু-জায়গায় একসঙ্গে কি করে থাকবো?

− কে থাকবে?

− আজ্ঞে নিশ্চিত করে বলি কি করে- এক কাবলিওয়ালা। গোপালকৃষ্ণের থুতনি ঝুলে পড়ল।

− কাবলে?

− নাম রহমত। আমার পরিচিত। আমার চেয়ে বয়স অনেকটাই বেশি। আফগানিস্থানে বাড়ি। এখানে আখ্রোট পেস্তা কিসমিস বাদাম এসব বিক্রি করে। সে নিজে থাকল কি তার ইয়ারদোস্ত কাউকে থাকতে দিল। চেনেন হয়তো এই এলাকাতেও সে।

− নানা নানা। ওইসব কাবলে টাবলেকে আমি চিনবো কোত্থেকে?

চেনার সম্ভাবনা ক্ষীণ। গোপালকৃষ্ণ রবিঠাকুরের ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্প পড়েছেন এ বড়ই অসম্ভব। বিনয় যখন দশ বছর তখন দাদামশাই মুকুন্দ সেনগুপ্ত তাঁর নিজস্ব সংগ্রহে রাখা সাধনা পত্রিকা থেকেই তেইশ বছর আগে প্রকাশিত রহমত আর মিনির অনবদ্য সখ্যতার কাহিনী ‘কাবুলিওয়ালা’ পড়ে শুনিয়েছিলেন। সেটা ১৯১৫। খুব স্বাভাবিকভাবে বিনয়ের টোটকায় অব্যর্থ ফল ফলেছিল। কোনও শর্ত ছাড়া বিনয় মাসের শেষে মাকে নিয়ে উঠে গেল। গোপালকৃষ্ণ হয়তো নিজেকে বুনো ওল ভাবতেন। সেদিন তিনি বুঝলেন বিনয়কান্তি বাঘা তেঁতুল। জীবনে কোন অসৎ কাজ করেননি কিন্তু ব্যবসা করতে গিয়ে বহু ঠগ জোচ্চোর ধুরন্ধরকে এভাবেই দাবিয়ে রেখেছিলেন- বিনয়কান্তি দত্ত।

ভাড়াটা তেলিপাড়া লেনের বাড়ির থেকে অনেকটাই বেশি -তাই বসুন্ধরার মনটা খচখচ করছিল। কিন্তু গ্রে স্ট্রিটের বাড়িতে যাওয়ার পর তার মনটা ভরে গেল – ছেলের এখন মাইনে বেড়েছে। পাঁচজন ভদ্রলোকের লোকের সঙ্গে ওঠাবাসা, কথাবার্তা হয়। আর ছেলে বলে টাকা হল আঁজলা ভরা জল। ঠিক আছে সে যখন চাইছে।

বিনয় দু’ দিন বাদে অফিস ফেরতা একটা উটকো লোককে নিয়ে এল। কানে পেন্সিল নিয়ে লোকটা ফিতে দিয়ে জানলা-দরজা মাপতে লাগলো। বসুন্ধরা অবাক। বিনু ভেতর থেকে এসে একটা কাঁসার গেলাসে খাবার জল আর কাঁসার রেকাবিতে ক’টা বাতাসা লোকটাকে খেতে দিল।

বসার ঘরে রাস্তার দিকে দুটো জানালা আর দুটো দরজা। একটা দরজা দোতলার সিঁড়ির দিক থেকে ঘরে ঢোকার। আর একটা দরজা বসার ঘর থেকে ভিতর বাড়িতে যাবার।

সদর দরজা বাড়ির সামনে নয়। পাশে। সামনের বড়রাস্তা থেকে একটা গেটওলা সরু প্যাসেজ। ভিতরে এসে সদর দরজা । দরজায় আড়াআড়ি পাতলা ফাঁকে চিঠি ফেলার জায়গা। চিঠির ঢাউস বাক্সটা দরজার পিছনে বাড়ির ভিতরে লাগানো। মুখোমুখি দরজা দিয়ে ঢুকলে বিনয়দের বসার ঘর। ডান দিক ঘুরে সিঁড়ি উঠে গিয়েছে। সিঁড়ির তলায় – ভাড়াটে বাড়িওলার আলাদা আলাদা মিটার। ঘরদোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। হাতিবাগান দিয়ে ঢুকলে ডানহাতে বাড়িটা। দক্ষিণখোলা। একতলার ঘর হলেও পাশাপাশি বসার শোবার দুটো ঘরেই বেশ আলো-হাওয়া খেলে। শোবার ঘরেও দুটো জানলা একটা দরজা। এই ঘরে দুটো দরজা। একটা বার-মুখো। একটা ভিতর বাড়িতে যাবার। ভাড়া দেবার কথা ভেবেই বাড়িটা বানানো। সদরদরজার বাইরে যে তালা তার একটা চাবি বিনয়দের কাছেও রাখা আছে। বিনয়ের কোন কাজেকর্মে ফিরতে দেরি হলে সে রাস্তার দিকের জানলা দিয়ে মাকে ডাকে। বসুন্ধরা গিয়ে সদর দরজা খুলে দেয়। তাদের জানাশোনা তো তেমন কারও আসার নেই। ফলে সদরদরজার কড়া নড়লে – বারান্দার কোণায় এসে বাড়িওলা বা তার বৌ মুখ বাড়ায়।

লোকটা জল শেষ করে মুখমুছে গেলাসটা মেঝেতে নামিয়ে রাখল।

‘আজ্ঞে এই ঘরেতো একজোড়া দরজা আর একজোড়া জানালা আর’

‘আপাতত এটুকুই। অন্য ঘরের কথা পরে ভাববো। তুমি আমায় হিসেব করে বল? খরচা কত পড়বে ?’

‘হুঁ’

লোকটা ফিতের মাপ দেখে হাত নাড়িয়ে আঙ্গুলের কড় গুণে গুণে হিসেব করতে লাগল। বসুন্ধরা বিনয়ের হাত ধরে ভিতরের দালানে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন ‘কি তৈরি হচ্ছে? এ তো আমাদের নিজেদের বাড়ি নয় ভাড়ার বাড়ি।’ —চলবে

জীবনযুদ্ধ। ছবি: সত্রাগ্নি

পরের পর্ব আগামী রোববার

তা পালগিন্নি বললে, ‘বসার ঘরে তো একটা চেয়ার টেবিল মাসিমা। লোকজন এলে বসবে কোথায় – আমাদের বারান্দায় একটা বেতের সোফা সেট আছে – ওটা ঝেড়েঝুড়ে পরিষ্কার করে কুশন কভার দিয়ে আমি নিচে পাঠিয়ে দিচ্ছি।’ আমি বলেছিলুম বিনু আসুক আর লোকজন তো আসবে কাল রোববার। বিকেলে। সে বললে ‘আজকে পাখায় কার্বন লাগাতে লোক এসচে – ওদের দিয়ে নামিয়ে দিচ্ছি আপনার ছেলে একা পারবে না।’

* বসুন্ধরা এবং (Basundhara Ebong-Novel) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।
 

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content