ত্বক শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। ঘরে-বাইরে সবার আগে মুখটাই সবার চোখে পড়ে। মানসিক ও শারীরিক অবস্থার ছাপও প্রথমেই আমাদের মুখে ফুটে ওঠে। কারণ, মুখের ত্বক ভীষণ স্পর্শকাতর। ভারসাম্যহীন হরমোন, দূষণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন, ক্ষতিকারক সূর্য রশ্মি সব কিছুরই প্রভাব প্রতিনিয়ত আপনার মুখের ত্বকের ওপর ছাপ ফেলছে, সমস্যা তৈরি করছে। এর থেকে বাঁচার জন্যই ফেসিয়াল এত জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু মুশকিলটা অন্য জায়গায়।
ফেসিয়াল ব্যাপারটা সাধারণের ধারনায় খুবই সহজ সরল। অনেকেই ভাবেন ক্রিম দিয়ে মাসাজ আর একটা প্যাক ছাড়া কিইবা ফেসিয়ালে আছে। আসুন জেনে নিই কেন ইস্থেটিশিয়ানের পরামর্শে ক্লিনিক্যাল ফেসিয়াল জরুরি।
কেন ক্লিনিক্যাল ফেসিয়াল জরুরি
● আমাদের মুখে অসংখ্য ‘প্রেশার পয়েন্ট’ আছে যার সঙ্গে আমাদের শরীরের স্নায়ুতন্ত্র ছাড়াও নানা অঙ্গের সঙ্গে যোগ আছে। সঠিক মাসাজ পদ্ধতি (সেই পয়েন্ট ধরে কোথায় কতটা প্রেশার দিতে হবে) স্নায়ুকে শুধু রিল্যাক্স করে না, শরীরের নানা অঙ্গকেও সঠিক ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো হয়। ত্বকে জমে থাকা বর্জ্য বা টক্সিনকে বার করে দেয়। ‘সেল জেনারেশন’ ও ‘কোলাজেন’ সঠিক তৈরি হয়ে ত্বককে টানটান রাখে। চোখের তলায় কালি বা আই ব্যাগ কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের শোষণ ক্ষমতা বাড়ে অর্থাৎ ত্বক ভালো রাখার জন্য যে জিনিসগুলো ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হয় তা ঝট করে কাজ করে। সুতরাং ধারাবাহিক ফেসিয়ালে ‘এজিং প্রসেস’ এড়িয়ে উজ্জ্বল ত্বক পাবেন আর তাতে খরচও কম হয়।
● কোন ত্বকে ক্রিম ব্যবহার করা যাবে, মাসাজ করা সম্ভব কিনা, কী ধরনের প্যাক ব্যবহার করতে হবে সেটা একজন ইস্থেটিশিয়ানই বলতে পারবেন। নয় তো হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
● সমস্যার তারতম্যে ফেসিয়ালও নানা প্রকার হয়। প্যাক, মেশিনের ব্যবহার, পদ্ধতি সবই আলাদা।
● মৃত কোষকে বের করার জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক বাদ দিয়েও পিলিং করা যায়। এর ফলে ক্ষতি না হয়ে ত্বকের একটা স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
● সবচেয়ে মজার কথা মরসুম বা সিজিনের তারতম্যে ত্বকের চরিত্র বদলায় বলে ফেসিয়ালও বদলে যায়।
অতএব এবার ভাবুন ‘হোম ফেসিয়াল’ করবেন, না পাড়ায় যে কোনও পার্লারে করবেন, না কি একজন অভিজ্ঞ ইস্থেটিশিয়ানের পরামর্শে ভালো কোনও ক্লিনিকে করবেন।
ছবি: লেখিকা
লেখিকা শাকম্ভরী বডি অ্যান্ড বিউটি ক্লিনিক-এর প্রধান, যোগাযোগ : ঠিকানা: ২০৩, এপিসি রোড, শ্যামবাজার ফাইভ পয়েন্ট, কলকাতা-৪, মোবাইল: ৯১৬৩৪-১৪৪৪৩, হোয়াটসঅ্যাপ: ৭০০৩৮৯৩৮৮৩