সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলায়। এখানকার লক্ষ মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। সিলেট একাধিক এলাকায় প্রবল বেগে জল ঢুকে পড়ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টার মধ্যে নতুন করে সিলেটে অন্তত ২৫টি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যার জেরে সুনামগঞ্জ শহরও দেশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। প্রশাসন জানিয়েছে, সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলায় প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সিলেটে ওসমানি বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে। আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে সেনাবাহিনীকে নামানো হয়েছে। দেশটির একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য স্থগিত করা হয়েছে ১৯ জুন থেকে শুরু হওয়া স্কুল সার্টিফিকেট-সহ অন্যান্য পরীক্ষা।
এ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জের জেলাশাসক মহম্মদ জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বর্ষণের প্রভাব পড়েছে এখানে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই চার ফুট জল বেড়ে যায় সুনামগঞ্জে। দেশের বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আধিকারিক আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, গত ২৪ ঘন্টায় মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ৯৭২ মিলি মিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা ১২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। চেরাপুঞ্জির সেই বৃষ্টির জল দ্রুত গতিতে নেমে এসে ভয়াবহ রূপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে সুনামগঞ্জ এবং সিলেটে। এভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী-সহ একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি খুব খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা।

Skip to content