উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা
● পদার্থবিদ্যয় স্নাতক হওয়ার পরে উচ্চশিক্ষার জন্যে ছাত্রছাত্রীরা সাধারণত ফিজিক্সে মাস্টার্স ডিগ্রিতে ভর্তি হয়। যেহেতু পদার্থবিদ্যা বিজ্ঞানের একটি বেসিক সাবজেক্ট, তাই সব বিশ্ববিদ্যালয়েই মাস্টার্স করানো হয়। বর্তমানে পদার্থবিদ্যা ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে ও মাস্টার্স করার সুযোগ রয়েছে, যেমন, বায়োফিজিক্স, জিওলজি, অ্যারনেটিক্স, অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ডেটা সায়েন্স, লাইব্রেরি সায়েন্স ইত্যাদি। বিভিন্ন আইআইটি, ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএসসি) ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এই বিষয়গুলিতে পড়ার সুযোগ রয়েছে। সুযোগ রয়েছে আইআইটিগুলিতে এম টেক করারও। মাস্টার্স-এ ভর্তির জন্যে জাতীয় স্তরে বিভিন্ন পরীক্ষা হয়, যেমন, জয়েন্ট এন্ট্রান্স স্ক্রিনিং টেস্ট (জেসট), গ্র্যাজুয়েট অ্যাপটিটিউড টেস্ট (গেট), আইআইটি জয়েন্ট এন্ট্রান্স টেস্ট (আইআইটিজ্যাম), ন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট ফিজিক্স এগজামিনেশন (এনজিপিই) ইত্যাদি, সেগুলিতে ভালো র্যাঙ্ক সহ উত্তীর্ণ হওয়া প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় বা ইন্সটিটিউটগুলি অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের অ্যাডমিশন টেস্টও নিয়ে থাকে। কিছু কিছু রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এ (যেমন, সত্যেন্দ্রনাথ বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সেস, ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট ফর সায়েন্টিফিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইজার) ইত্যাদি) Integrated PhD (IPhD) করানো হয় যেখানে মাস্টার্স-এর কোর্স চলাকালীনই গবেষণার কাজ শুরু করার সুযোগ রয়েছে। মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পরে CSIR-UGC ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট, জয়েন্ট এন্ট্রান্স স্ক্রিনিং টেস্ট (জেসট), গ্র্যাজুয়েট অ্যাপটিটিউড টেস্ট (গেট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব রিসার্চ এলিজিবিলিটি টেস্ট-এ উত্তীর্ণ হলে বিভিন্ন জাতীয় স্তরের গবেষণাগারে ও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গবেষণার সুযোগ রয়েছে। আবার অনেকে গবেষণা ডক্টরাল রিসার্চের জন্য স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশেও যেতে পারে।