‘পর্দার আড়ালে’র শীর্ষক এই লেখায় একদিনের শুটিংয়ের কথা যে বলতে বসেছি, সেই ছবির নাম ‘হাঁসুলীবাঁকের উপকথা’। এই ছবির লেখক হলেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবির গানগুলোও তিনি লিখেছেন। পরিচালক তপন সিংহ। তিনি ছবির চিত্রনাট্যকারও বটে। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বানোয়ারী চরিত্রে কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, করালি চরিত্রে দিলীপ রায়, পাখির চরিত্রে রঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায়, কালো বউয়ের চরিত্রে অনুভা গুপ্ত। নসুবালা চরিত্রটি মেয়েলি স্বভাবের এক পুরুষের। তপন সিংহ অবশ্য চরিত্রটিকে মেয়ে সাজিয়েছেন। সেই চরিত্রের শিল্পী লিলি চক্রবর্তী।
হিট-এ ছবির একদিনের ঘটনার কথা বলি। সেদিন আউটডোর শ্যুটিং দেখতে এসেছেন স্বয়ং তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। এসব ব্যাপারে তাঁর উৎসাহ নজরে পড়ার মতো। ক্যামেরা ট্রলি রিফ্লেক্টর নিয়ে পুরোদমে কাজ চলছে । চা ব্রেকের সময় তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তপন সিংহকে জিজ্ঞাসা করলেন ‘আচ্ছা গাছপালা আচ্ছাদিত এই যে চৌহদ্দির মধ্যে শ্যুটিং করছেন এখানে কটা গাছ আছে বলতে পারবেন?’ প্রশ্নটা শুনে তপন সিংহ অবাক হয়ে গেলেন। এ প্রশ্নের উত্তর দেয়াটা কি চাট্টিখানি ব্যাপার! তপন সিংহ ইউনিটের লোকজনদের জিজ্ঞাসা করলেন, তাদের মধ্যে কেউ এর উত্তর দিতে পারবে কি না। নানান জনের নানান মত তৈরি হল। কেউই সঠিকভাবে বলতে পারলেন না যে ক’টি গাছ আছে ওই চৌহদ্দির মধ্যে। তখন উত্তরটা অবশ্য প্রশ্নকর্তা তারাশঙ্কর নিজেই দিলেন। যে সংখ্যাটা তারাশঙ্কর বলেছিলেন ইউনিটের লোকজনরা গুনে দেখলেন ঠিক ততগুলো গাছ রয়েছে শ্যুটিং স্পটে।
হিট-এ ছবির একদিনের ঘটনার কথা বলি। সেদিন আউটডোর শ্যুটিং দেখতে এসেছেন স্বয়ং তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। এসব ব্যাপারে তাঁর উৎসাহ নজরে পড়ার মতো। ক্যামেরা ট্রলি রিফ্লেক্টর নিয়ে পুরোদমে কাজ চলছে । চা ব্রেকের সময় তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তপন সিংহকে জিজ্ঞাসা করলেন ‘আচ্ছা গাছপালা আচ্ছাদিত এই যে চৌহদ্দির মধ্যে শ্যুটিং করছেন এখানে কটা গাছ আছে বলতে পারবেন?’ প্রশ্নটা শুনে তপন সিংহ অবাক হয়ে গেলেন। এ প্রশ্নের উত্তর দেয়াটা কি চাট্টিখানি ব্যাপার! তপন সিংহ ইউনিটের লোকজনদের জিজ্ঞাসা করলেন, তাদের মধ্যে কেউ এর উত্তর দিতে পারবে কি না। নানান জনের নানান মত তৈরি হল। কেউই সঠিকভাবে বলতে পারলেন না যে ক’টি গাছ আছে ওই চৌহদ্দির মধ্যে। তখন উত্তরটা অবশ্য প্রশ্নকর্তা তারাশঙ্কর নিজেই দিলেন। যে সংখ্যাটা তারাশঙ্কর বলেছিলেন ইউনিটের লোকজনরা গুনে দেখলেন ঠিক ততগুলো গাছ রয়েছে শ্যুটিং স্পটে।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ও তপন সিংহ
পরিবেশের সঙ্গে লেখকের এই একাত্মতা দেখে তপন সিংহ সহ সকলেই মুগ্ধ হয়েছিলেন।এমন চমকপ্রদ ঘটনার কথা তপন সিংহ স্বয়ং আমায় জানিয়েছিলেন যখন ‘প্রবাসী আনন্দবাজারে’র তরফ থেকে তাঁর সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে ছিলাম তখন। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬২ সালে মিনার, বিজলি, ছবিঘর প্রেক্ষাগৃহে। ছবিটি দর্শক সমাদৃত হয়েছিল।
তপন সিংহ লোকেশন হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বীরভূমের লাভপুরকে। প্রথম ইউনিট নিয়ে জায়গাগুলি পছন্দ করেছিলেন। পরে শিল্পী কলাকুশলী নিয়ে আউটডোর শ্যুটিংয়ে তিনি গিয়েছিলেন। আর সেখানেই তিনি পেলেন মধুর অভিজ্ঞতার স্বাদ।
তপন সিংহ লোকেশন হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বীরভূমের লাভপুরকে। প্রথম ইউনিট নিয়ে জায়গাগুলি পছন্দ করেছিলেন। পরে শিল্পী কলাকুশলী নিয়ে আউটডোর শ্যুটিংয়ে তিনি গিয়েছিলেন। আর সেখানেই তিনি পেলেন মধুর অভিজ্ঞতার স্বাদ।