সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

এবার থেকে গুগল খোঁজ খবর দেবে রাজ্য পরিবহণ নিগমের বাসের। এই পরষেবা শুরু হবে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে। শহরের কোনও বাস স্টপ থেকে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। যাত্রীকে স্মার্টফোনে ইংরেজিতে বাস বিটুইন টাইপ করে কথায় যাবেন সেই জায়গার নাম ও বাস স্টপের নাম লিখে সার্চ করলেই জানা যাবে নির্দিষ্ট বাসের অবস্থান ও সময়। এই পরিষেবার জন্য যাত্রীকে স্মার্টফোনে আলাদাকরে কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে না। পরিবহন নিগম সূত্রে খবর, মে মাস থেকেই নগরবাসি এই সুবিধা পাবেন কেবলমাত্র গুগল ম্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমেই। পরিবহন নিগম সূত্রে খবর, মে মাস থেকেই নগরবাসি এই সুবিধা পাবেন কেবলমাত্র গুগল ম্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমেই। এই পরিষেবার পাশাপাশি পরিবহন দফতর কমে যাওয়া বাসের সংখ্যা বাড়াতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাটারিচালিত বাসের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব শহরের পথে এক হাজার বৈদ্যুতিক বাস নামানোর চেষ্টাও চলছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালে বাসের অবস্থান ও আসার সঠিক সম্পর্কে অবগত থাকার সুবিধার্থে রাজ্য পরিবহন নিগম চালু করেছিল পথদিশা অ্যাপ। কিন্তু এই অ্যাপটির রক্ষণাবেক্ষণসংক্রান্ত বিষয়টি সমস্যার উদ্রেক করে। বাসের মধ্যে বসানো জিপিএস মেশিনটিকে নিয়মিত চার্জ দেওয়া, তার রক্ষণাবেক্ষণ করা খুব সহজ ব্যাপার ছিল না। দ্বিতীয়ত এর প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা নিয়েও বারবার মানুষের মধ্যে থেকে উঠে আসছিল একগুচ্ছ অভিযোগ। অ্যাপে দেখানো অবস্থানের তুলনায় বাস পাওয়া যেত আরও বেশি আগে অথবা কখনো আবার অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট স্টপ ছাড়িয়ে বাস কিছুটা চলে যাওয়ার পরে যাত্রীরা বুঝতে পারতেন, নির্ধারিত সময়ের খানিক আগেই তা এসে চলে গিয়েছে, এইরকম নানাবিধ অভিযোগ, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা এবং প্রয়োগগত ত্রুটির কারণেই এই অ্যাপটি ক্রমশ জনপ্রিয়ত হারায়।
যতদূর সম্ভব এই সমস্ত সমস্যাগুলিকে মাথায় রেখেই এবার পরিবহন নিগমের তরফ থেকে এই বিশেষ ক্ষেত্রে গুগল ম্যাপকে কার্যকরী করে তোলার কথা ভাবা হচ্ছে। বাসের কন্ডাক্টরদের কাছে থাকা ইলেক্ট্রনিক টিকেটিং মেশিন সিস্টেমেই নতুন ওই যন্ত্র বসানো থাকবে। নতুন ব্যবস্থা বাসের সঠিক বস্থান জানানোর পাশাপাশি টিকিট কাটার ব্যবস্থার উপরেও নজর রাখবে। পরিবহন নিগম সূত্রে খবর, এই নতুন ব্যবস্থায় যাত্রীরা যেমন অনেক সহজে বাসের খোঁজ পেতে সক্ষম হবেন তেমনই এই ব্যবস্থা আয় বাড়াতেও সাহায্য করবে। বর্তমানে প্রতিটি বাসেই নির্দিষ্ট পিওএস মেশিন রয়েছে, তার সঙ্গেই চালু হবে এই নতুন ব্যবস্থা। যদিও গুগগল ম্যাপের সক্রিয়তার প্রতি সন্দেহপোষণ করে অনেকেই এই নতুন ব্যবস্থা কতটা কার্যকারী হবে সেবিষয়ে দ্বিধা ও সংশয় প্রকাশ করছেন।

Skip to content