ছবি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
সম্প্রতি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ আয়োজন করেছিল এক আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রের। মূল বক্তা ছিলেন আয়ারল্যান্ড থেকে আসা শিক্ষাবিদ রজার কোর্টেনহোস্ট। ভিনদেশি হলেও তিনি বরাবরই সংস্কৃত অনুরাগী। এই আলোচনাচক্রে এসে তিনি দেখিয়ে দিয়ে গেলেন কত সহজে সংস্কৃত শেখা সম্ভব। আজ ভারতীয়রা তাদের মূল ঐতিহ্য এই সংস্কৃত ভাষাকে ভুলতে চলেছে। কিন্তু এই শিক্ষাবিদের গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল, বিশ্বের দরবারে সংস্কৃতকে তুলে ধরা। তিনি নিরলসভাবে দীর্ঘদিন ধরে নিরবে এই কাজ করে চলেছেন। তার ছাত্রজীবন গণিত ও জার্মান ভাষা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীকালে তিনি ভারতে এসে সংস্কৃত নিয়ে পড়াশোনা করে তাকেই তাঁর জীবনের অন্যতম অঙ্গ হিসেবে বেছে নেন। অনুষ্ঠানটির সূচনা করেন অধ্যাপক মৃণালচন্দ্র দাস বৈদিক স্তোত্র পাঠের মাধ্যমে। আলোচনাচক্রের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্র, রেজিস্ট্রার সুশীল শীল প্রমুখ। উপাচার্য তাঁর ভাষণে সংস্কৃতের প্রচার ও প্রসার সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। আলোচনা চক্রের প্রধান বক্তা রজার খেলার ছলে কীভাবে সংস্কৃত শেখা সম্ভব তা বোঝানোর চেষ্টা করেন। এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন আয়ারল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন তখন রজারের বিদ্যালয়ের পাঁচ থেকে দশ বছর বয়সি ছাত্রছাত্রীরা বৈদিক স্তোত্র পাঠের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে বিস্মিত করে তোলেন। আলোচনাচক্রে রজারের বক্তব্য ছিল অত্যন্ত সাবলীল এবং মনোজ্ঞ। অনুষ্ঠানটিতে ছাত্রছাত্রীরাও উপস্থিত ছিল। প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন বিভাগের অধ্যাপিকা হুসনা পারভিন এবং অধ্যাপক অনিন্দ্য চৌধুরি।