মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট
সম্প্রতি পিয়ারলেস হসপিটালের উদ্যোগে কলকাতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন আপডেট ২০২২’ নামে পুষ্টি সংক্রান্ত এক কনফারেন্স হয়ে গেল। এটি পিয়ারলেস হসপিটালের উদ্যোগে দ্বিতীয় কনফারেন্স। সারা দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং নেপাল থেকেও পুষ্টিবিদরা অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন পিয়ারলেস হসপিটাল-এর এমডি ডাঃ সুজিত করপুরকায়স্থ, ক্লিনিক্যাল ডিরেকটর অ্যাকাডেমিকস ডাঃ শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে পিয়ারলেস হসপিটালের চিফ ডায়েটিশিয়ান সুদেষ্ণা মৈত্র নাগ বলেন, মানুষের ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য সুস্বাস্থ্যের প্রয়োজন৷ আর এই সুস্বাস্থ্যের মূল উপাদান হল খাদ্য ও পুষ্টি। শরীরে যদি সঠিক পুষ্টির জোগান না থাকে তাহলে কিছুতেই সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় সঠিক পুষ্টি থেকে৷ তাই অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন হওয়ার থেকে যদি প্রথম থেকেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস করা যায়, তাহলে অনেক কঠিন রোগ ঠেকিয়ে রাখা যায়। পাশাপাশি শরীর খারাপ হলেও খাদ্যে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। হাসপাতালে যে দায়িত্বটি সামলান ডায়েটিশিয়ানরা৷ আইসিইউতে বা অন্য ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে মানুষ যখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেন তখন বিশেষ ধরনের টিউবের মাধ্যমে রোগীদের খাদ্য সরবরাহ করাও ডায়েটিশিয়ানদের অন্যতম কাজ৷ তাই এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটি রোজকার ঘরোয়া খাবার থেকে শুরু করে হাসপাতালে সবথেকে কঠিন জায়গায় আইসিইউ প্রাধান্য পায় সে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সব থেকে ভালো ব্যাপার হল, করোনা পরিস্থিতি মানুষকে পুষ্টির গুরুত্ব সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল করেছে। কারণ কোভিডের চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গেই ইমিউনিটি, মাল্টিভিটামিন, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ডি-এর মতো যে কথাগুলো উঠে এসেছে যেগুলি একমাত্র সঠিক পথ্যের মাধ্যমে শরীরে সরবরাহ করা সম্ভব। পুষ্টি বা ইমিউনিটি রাতারাতি গড়ে তোলা যায় না। এই কারণেই নিউট্রিশন বিষয়টির প্রতি নজর দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন—মত সুদেষ্ণা মৈত্র নাগ-এর।
তাঁর বক্তব্য, পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে নিউট্রিশনের গুরুত্ব এখন অনেকটাই বেড়েছে৷ সেই তুলনায় পূর্ব ভারতে বিষয়টি সম্বন্ধে আরও পর্যালোচনা ও আরও বেশি গবেষণার প্রয়োজন আছে৷ শুধু তাই নয়, এই বিষয়গুলিতে আলোকপাত করা এবং নিউট্রিশন ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করতে এই ধরনের কনফারেন্স অত্যন্ত জরুরি। পুষ্টি বিষয়ে আমাদের দেশ এখনও পশ্চিমি দেশগুলোর থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। যতক্ষণ না আমরা আমাদের দেশের গবেষণাকে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব, ততদিন আমাদের সেই সব দেশের তথ্যের ওপর নির্ভর করতে হবে। চিকিৎসাশাস্ত্রে যেটা খুবই প্রভাব ফেলে। কারণ আমাদের শরীরের গঠন ও আবহাওয়া অনেকটাই আলাদা।
এ প্রসঙ্গে পিয়ারলেস হসপিটালের চিফ ডায়েটিশিয়ান সুদেষ্ণা মৈত্র নাগ বলেন, মানুষের ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য সুস্বাস্থ্যের প্রয়োজন৷ আর এই সুস্বাস্থ্যের মূল উপাদান হল খাদ্য ও পুষ্টি। শরীরে যদি সঠিক পুষ্টির জোগান না থাকে তাহলে কিছুতেই সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় সঠিক পুষ্টি থেকে৷ তাই অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন হওয়ার থেকে যদি প্রথম থেকেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস করা যায়, তাহলে অনেক কঠিন রোগ ঠেকিয়ে রাখা যায়। পাশাপাশি শরীর খারাপ হলেও খাদ্যে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। হাসপাতালে যে দায়িত্বটি সামলান ডায়েটিশিয়ানরা৷ আইসিইউতে বা অন্য ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে মানুষ যখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেন তখন বিশেষ ধরনের টিউবের মাধ্যমে রোগীদের খাদ্য সরবরাহ করাও ডায়েটিশিয়ানদের অন্যতম কাজ৷ তাই এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটি রোজকার ঘরোয়া খাবার থেকে শুরু করে হাসপাতালে সবথেকে কঠিন জায়গায় আইসিইউ প্রাধান্য পায় সে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সব থেকে ভালো ব্যাপার হল, করোনা পরিস্থিতি মানুষকে পুষ্টির গুরুত্ব সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল করেছে। কারণ কোভিডের চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গেই ইমিউনিটি, মাল্টিভিটামিন, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ডি-এর মতো যে কথাগুলো উঠে এসেছে যেগুলি একমাত্র সঠিক পথ্যের মাধ্যমে শরীরে সরবরাহ করা সম্ভব। পুষ্টি বা ইমিউনিটি রাতারাতি গড়ে তোলা যায় না। এই কারণেই নিউট্রিশন বিষয়টির প্রতি নজর দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন—মত সুদেষ্ণা মৈত্র নাগ-এর।
তাঁর বক্তব্য, পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে নিউট্রিশনের গুরুত্ব এখন অনেকটাই বেড়েছে৷ সেই তুলনায় পূর্ব ভারতে বিষয়টি সম্বন্ধে আরও পর্যালোচনা ও আরও বেশি গবেষণার প্রয়োজন আছে৷ শুধু তাই নয়, এই বিষয়গুলিতে আলোকপাত করা এবং নিউট্রিশন ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করতে এই ধরনের কনফারেন্স অত্যন্ত জরুরি। পুষ্টি বিষয়ে আমাদের দেশ এখনও পশ্চিমি দেশগুলোর থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। যতক্ষণ না আমরা আমাদের দেশের গবেষণাকে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব, ততদিন আমাদের সেই সব দেশের তথ্যের ওপর নির্ভর করতে হবে। চিকিৎসাশাস্ত্রে যেটা খুবই প্রভাব ফেলে। কারণ আমাদের শরীরের গঠন ও আবহাওয়া অনেকটাই আলাদা।
অনুষ্ঠানে কিডনি রোগীদের খাদ্যাভ্যাস ও ডায়ালিসিসের আগে ও ডায়ালিসিস চলাকালীন কী ধরনের খাদ্যাভ্যাস হওয়া উচিত সেই নিয়ে আলোচনা করেন নেফ্রলজিস্ট ডাঃ সৌভিক সুরাল। আলোচনা করা হয় লাইফস্টাইল ডিজিজ ডায়াবেটিস এবং ওবেসিটির ভয়াবহতা নিয়েও৷ কীভাবে এই সমস্যাকে প্রতিরোধ করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করেন দিল্লির ম্যাক্স হসপিটালের ডায়েটিশিয়ান রীতিকা সমাদ্দার৷
বাংলাদেশ এবং নেপাল থেকে আসা পুষ্টিবিদরা তাঁদের দেশের ডায়াবেটিস এবং ওবেসিটি ও চিকিৎসা নিয়ে খুঁটিনাটি আলোচনা করেন৷
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা নেডপ্রো গ্লোবাল সেন্টারের কর্ণধার ডাঃ সুমন্ত্র রায় এবং সুইজারল্যান্ডের ওসি সাম পুষ্টি বিষয়ে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন৷ আইসিইউ-এর ক্রিটিক্যাল রোগীদের কীভাবে সম্পূর্ণ পুষ্টির জোগান দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আলোকপাত করেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডাঃ অজয়কৃষ্ণ সরকার৷
গাট মাইক্রোবায়োম এবং ইরিটেবল বাওয়েল ডিজিজ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। কারণ, গাট সঠিকভাবে কাজ না করলে এবং হজমশক্তি ব্যাহত হলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব হয় না৷ এ বিষয়ে জরুরি তথ্য তুলে ধরেন গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডাঃ অশোকানন্দ কোনার। অনুষ্ঠান শেষ করা হয় একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করে৷ বিষয়বস্তু ছিল ‘ইটিং ডিজঅর্ডার অ্যান্ড ডিফিকাল্টি ইন ফিডিং’।
বাংলাদেশ এবং নেপাল থেকে আসা পুষ্টিবিদরা তাঁদের দেশের ডায়াবেটিস এবং ওবেসিটি ও চিকিৎসা নিয়ে খুঁটিনাটি আলোচনা করেন৷
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা নেডপ্রো গ্লোবাল সেন্টারের কর্ণধার ডাঃ সুমন্ত্র রায় এবং সুইজারল্যান্ডের ওসি সাম পুষ্টি বিষয়ে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন৷ আইসিইউ-এর ক্রিটিক্যাল রোগীদের কীভাবে সম্পূর্ণ পুষ্টির জোগান দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আলোকপাত করেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডাঃ অজয়কৃষ্ণ সরকার৷
গাট মাইক্রোবায়োম এবং ইরিটেবল বাওয়েল ডিজিজ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। কারণ, গাট সঠিকভাবে কাজ না করলে এবং হজমশক্তি ব্যাহত হলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব হয় না৷ এ বিষয়ে জরুরি তথ্য তুলে ধরেন গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডাঃ অশোকানন্দ কোনার। অনুষ্ঠান শেষ করা হয় একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করে৷ বিষয়বস্তু ছিল ‘ইটিং ডিজঅর্ডার অ্যান্ড ডিফিকাল্টি ইন ফিডিং’।