রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

কলকাতা লাগোয়া নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়ায় পাঁচ একর জমির উপর তৈরি হচ্ছে একটি কমপ্লেক্স৷ এই কমপ্লেক্সে থাকছে ক্লাবহাউস, জিম, থাকছে কমিউনিটি হল।
আসুন, বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক এই প্রকল্পে কীভাবে আবেদন করবেন এবং এই প্রকল্পে থাকছে আরও কী কী সুবিধা।

এলিগেন্ট প্রিমিয়াম ও ক্লাসিক ফ্ল্যাটের জন্য কী নিয়ম
অ্যাপ্লিকেশন মানি হিসেবে ২৫০০০ টাকা দিতে হবে আপনাকে আবেদন করার সময়ে।
অ্যালটমেন্ট মানির ক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেশন মানি বাবদ দেওয়া টাকার মোট মূল্যের ৪০% দিতে হবে। অ্যালটমেন্ট অর্ডার আসার ৪৫ দিনের মধ্যে।
প্রথম কিস্তি হিসেবে ফ্ল্যাটের নির্ধারিত মোট মূল্যের ২০% ছ’তলা স্ল্যাব তৈরির ৩০ দিনের মধ্যে আপনাকে তা প্রদান করতে হবে।
দ্বিতীয় কিস্তি ফ্ল্যাটের নির্ধারিত মোট মূল্যের ৩০% নয় তলা স্ল্যাব তৈরির ৩০ দিনের মধ্যে আপনাকে দিতে হবে।
তৃতীয় কিস্তি ফ্ল্যাটের নির্ধারিত মোট মূল্যের ১০% সম্পূর্ণ আবসনটি তৈরির ৩০ দিনের মধ্যে দিতে হবে।
চতুর্থ কিস্তি হিসাবে বাকি থাকা মোট মূল্যের অঙ্ক সম্পত্তি অধিগ্রহণের আগে অর্থাৎ অধিগ্রহণ চিঠি পাওয়ার পনেরো দিনের মধ্যে দিতে হবে।
আপনার এই ফ্ল্যাটে করা থাকবে প্রাইমার রং। থাকবে স্যানিটারি প্লাম্বিং ও বৈদ্যুতিক সংযোগ। থাকবে ফ্ল্যাটের অন্তর্বর্তী ও বাইরের নিকাশি ব্যবস্থা এবং পাবেন লিফটের সুবিধা।

ইকোনমি এবং স্ট্যান্ডার্ড ফ্ল্যাট
অ্যাপ্লিকেশন মানি ফ্ল্যাটের মোট মূল্যের থেকে ২৫০০০ টাকা আবেদন করার সময়ে দিতে হবে।
অ্যালটমেন্ট মানির ক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেশন মানি বাবদ দেওয়া টাকার মত মূল্যের ২০% দিতে হবে অ্যালটমেন্ট অর্ডার আসার ৩০ দিনের মধ্যে।
মত মূল্যের বাকি অঙ্ক সম্পত্তি অধিগ্রহণের আগে অর্থাৎ অধিগ্রহণের চিঠি পাওয়ার পনেরো দিনের মধ্যে দিতে হবে।
আপনার এই ফ্ল্যাটে করা থাকবে প্রাইমার রং। থাকবে স্যানিটারি প্লাম্বিং ও বৈদ্যুতিক সংযোগ। থাকবে ফ্ল্যাটের অন্তর্বর্তী ও বাইরের নিকাশি ব্যবস্থা এবং পাবেন লিফটের সুবিধা।

ফ্ল্যাট নেওয়ার পর আপনি কি নিজের ইচ্ছেমতো তা বিক্রি করতে পারবেন?
উত্তর হল, না। আপনি যদি ফ্ল্যাটটি বিক্রি করতে চান তাহলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে পনেরো বছর অপেক্ষা করতে হবে বা আপনি যতদিন না আপনার কাজ থেকে অবসর নিচ্ছেন ততদিন এই ফ্লাট বিক্রি করতে পারবেন না।

ফ্লাট নেওয়ার শর্ত
ফ্লাট তৈরি হয়ে যাবার পনেরো দিনের মধ্যে ফ্ল্যাটের মালিকের কাছে একটি চিঠি যাবে। সেই চিঠি পাওয়ার পনেরো দিনের মধ্যে ফ্ল্যাটের স্বত্ব আপনি পেয়ে যাবেন।
ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশনের জন্য দলিল সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ বহন করতে হবে ফ্ল্যাটের মালিককে।
সরকারের তরফ থেকে ফ্ল্যাটটি আবেদনকারীর হাতে তুলে দেওয়ার পর পরবর্তী মিউনিসিপ্যাল ট্যাক্স সংক্রান্ত খরচ বহন করতে হবে ফ্ল্যাটের মালিককে।

আবেদনের নিয়ম
স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে আবেদন করতে পারেন। আবেদনকারী একাও আবেদন করতে পারেন।
এই আবেদনপত্র কেবলমাত্র অনলাইনেই করা যাবে।
সমস্ত আবেদনকারীকেই অ্যাপ্লিকেশন মানি হিসাবে ব্যাংক অফ বরোদার যেকোনও শাখা থেকে ২৫০০০ টাকার চালান কেটে অনলাইনের মাধ্যমে তা জমা দিতে হবে।
মাত্র একবারই এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যাবে। একাধিক আবেদন অনুমোদিত হবে না।

আবেদনপত্র বাতিলের কারণ
এই প্রকল্পে আপনি স্বীকৃতি পাওয়ার পর তা গ্রহণ করতে না পারলে বা ফাইনাল আ্যলটমেন্ট চিঠি পাওয়ার ত্রিশ দিনের মধ্যে অফার ফিরিয়ে দিল কোনও টাকা ফেরত দেওয়া যাবে না।
আবেদনকারী ব্যক্তি যদি নিজের আয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য না দেন তাহলে আবেদন খারিজ করে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে কোনও রিফান্ডও মিলবে না।
আবেদনকারী ব্যক্তির যদি টাকা দিতে দেরি হয় তাহলে কতদিনে আবেদনকারী ব্যক্তি তা দেবেন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন কর্তৃপক্ষ। যে অঙ্কের টাকা বাকি আছে তার সঙ্গে ১২% হারে সুদ যোগ হবে।
আবেদনকারী তার আবেদনপত্রে যে ব্যাংকের উল্লেখ করেছেন টাকা দেওয়া-নেওয়া হবে শুধুমাত্র সেই ব্যাংকেই।
আবেদনকারী কিস্তি দেওয়ার পর যদি কোনও কারণে আবেদন প্রত্যাহার করে নিতে চান তাহলে তার জমা দেওয়া টাকার ১৫% কেটে বাকি টাকা সুদ ছাড়া তাকে ফেরত দেওয়া হবে।
সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে যেভাবে টাকা দেওয়া কিস্তির উল্লেখ করা হয়েছে সেভাবেই আবেদনকারী ব্যক্তিকে দিতে হবে। অন্যথায় আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।
তথ্য : www.wbhousing.gov.in

Skip to content