আমাদের দেশ ভারতবর্ষ। বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধ এই দেশ। কিন্তু এই দেশ মূলত কৃষিপ্রধান। কৃষিপ্রধান দেশ হওয়ার কারণেই কৃষকরাই আমাদের জাতির স্তম্ভ। কৃষকরাই মাঠে অক্লান্ত পরিশ্রম দ্বারা মজুত করে ফসল। যে ফসল হয় আমাদের বেঁচে থাকার রসদ। কিন্তু এই কৃষকরা বহু ক্ষেত্রে হয় নিপীড়িত। অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বন্যা, ঝড়-ঝঞ্ঝায় তাদের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। কৃষকরা হয় নিরুপায়। এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন কৃষকরা যাতে না হন তাই ফসলের ক্ষতির জন্য সরকার এবার ক্ষতিপূরণ দেবে। এর জন্য সরকারের কাছে কৃষকদের বিমা করিয়ে রাখতে হবে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কৃষক বিমা যোজনা।
কোন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য এই বিমা করা হয়েছে?
● সঠিক আয় না থাকলে কোনও ব্যক্তিই সেই পেশায় থাকে না। এই প্রকল্পের দ্বারা কৃষকদের আয় যাতে সুরক্ষিত করা যায় সেই দিকে লক্ষ রাখা হয়েছে।
● প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কীটপতঙ্গের জন্য যদি ফসলের কোনও ক্ষতি হয়, এই বিমার দ্বারা কৃষকদের অনেকটা উপকার করা যাবে।
● কৃষকরা যাতে তাদের পেশাতে উদ্ভাবনী ও আধুনিক কৃষি পদ্ধতি গ্রহণ করে।
● আরও একটি উদ্দেশ্য হল কৃষিখাতে কৃষকদের জন্য ঋণের প্রবাহ নিশ্চিত করা।
কী কী ক্ষতি হলে এই বিমার দ্বারা সাহায্য পাওয়া যাবে?
● ফসলের ক্ষতি, দাবানল, বজ্রপাত, ঝড়-ঝঞ্ঝা, শিলাবৃষ্টি, খরা, ফসলের বিভিন্ন রোগ এসবের কারণে।
● টাইফুন, টেম্পেস্ট, হ্যারিকেন, টর্নেডোর মতো কারণে ফসলের ক্ষতি হলে।
● কৃষকদের জমিতে ছড়িয়ে রাখা অবস্থায় ফসলের ক্ষতি হলে এই বিমা করা যাবে।
এই বিমার বিভিন্ন দিক
● এই বিমার দ্বারা কৃষকদের প্রযুক্তির ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা হবে। ফসল কাটার সময় রিমোট সেন্সিং ব্যবহার করা হবে।
● এই বিমার ক্ষেত্রে সরকারি ভর্তুকিতে কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। ব্যালান্স প্রিমিয়াম যদি ৯০ শতাংশ হয় তাহলেও তা সরকার বহন করবে।
● প্রিমিয়াম হার ক্যাপ করার নিয়ম ছিল, কিন্তু ক্যাপিংটি অপসারণ করার ফলে কৃষকরা কোনও হ্রাস ছাড়াই সম্পূর্ণ বিমাকৃত অর্থ পাবেন।
● কৃষকদের খারিফ শস্যের জন্য ২ শতাংশ এবং রবিশস্যের জন্য ১.৫ শতাংশ প্রিমিয়াম দিতে হবে। বার্ষিক বাণিজ্যিক এবং উদ্যান ফসলের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ প্রিমিয়াম দিতে হবে।
● পিএমএফবিওয়াই হল এনএআইএস/ এমএনএইএস-এর একটি স্কিম। এটি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পরিষেবা থেকে কর ছাড় পাওয়া যাবে। বিমা প্রিমিয়ামের এই নতুন প্রকল্পটি কৃষকদের জন্য ভর্তুকির প্রায় ৭৫-৮০ শতাংশ নিশ্চিত করবে।
ফসলের ক্ষতির রিপোর্ট কীভাবে তৈরি করে এই বিমার জন্য দাবি করবেন?
এক্ষেত্রে কৃষকরা ফসল বিমা আ্যপ সিএসসি সেন্টার বা কাছাকাছি কোনও কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে ফসল ক্ষতি হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আপনি রিপোর্ট করতে পারবেন। তারপরে যাঁরা যোগ্য তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-এ ইলেকট্রনিকভাবে সেই ডিমান্ডের সুবিধা দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার অপারেশনাল নির্দেশিকা
● আইসি-র কর্মক্ষমতা মূল্যায়নের জন্য বিশদ এসওপি এবং তাদের ডি প্যানেলমেন্ট করা যেতে পারে।
● রাজ্য সরকারের বিমা কোম্পানির দ্বারা নির্ধারিত কাট অফ জমা দেওয়ার তিন মাসের বেশি ভর্তুকি রাজ্যের শেয়ার প্রকাশে বিলম্বের জন্য ১২ শতাংশ সুদের হার দিতে হবে।
এই বিমা যোজনার আপনি আবেদন করবেন কীভাবে?
আবেদনের প্রক্রিয়াটি অনলাইনের মাধ্যমে করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি এটি আবেদন করতে পারেন।
তথ্য সহায়তা : www.pmfby.gov.in
ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
এক্ষেত্রে কৃষকরা ফসল বিমা আ্যপ সিএসসি সেন্টার বা কাছাকাছি কোনও কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে ফসল ক্ষতি হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আপনি রিপোর্ট করতে পারবেন। তারপরে যাঁরা যোগ্য তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-এ ইলেকট্রনিকভাবে সেই ডিমান্ডের সুবিধা দেওয়া হবে।
আবেদনের প্রক্রিয়াটি অনলাইনের মাধ্যমে করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি এটি আবেদন করতে পারেন।
তথ্য সহায়তা : www.pmfby.gov.in
ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।