ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
শুনতে আশ্চর্য মনে হলেও কিছুদিন আগে পর্যন্ত আমাদের ধারণা ছিল যে এই ডায়াবেটিস কোনওদিন সারে না। ওষুধ বা ইনসুলিন এবং জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করে ডায়াবেটিস শুধু কমানো যায় মাত্র।
কিন্তু বিজ্ঞান এখন এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যে ডায়াবেটিসের হাত থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই নিরাময় শুধুমাত্র টাইপ টু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অর্থাৎ টাইপ-টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে সেরে যেতে পারে। আমাদের দেশের মানুষ যাঁরা ডায়াবেটিস রোগাক্রান্ত, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই কিন্তু টাইপ-টু ডায়াবেটিস রোগের স্বীকার। অর্থাৎ যেখানে শরীরে ইনসুলিনটি আছে কিন্তু সেটি ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না।
এই ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার পদ্ধতিটি কী? তা আমরা জানব। ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর আমরা জিডি শক্ত হাতে হাল ধরি বা ডায়াবেটিস মোকাবিলায় যদি ইচ্ছুক হই তবেই কিন্তু আমরা এ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি।
আমরা কোন উপায়ে বুঝব যে ডায়াবেটিস নিরাময় হচ্ছে। ডায়াবেটিসের দুটি ভাগ আছে। আমরা তখন তাকে ডায়াবেটিস বলব যখন রক্তে HbA1c-এর পরিমাণ সাড়ে ছয়-এর বেশি হয়। আর প্রাক ডায়াবেটিস বলব তাকে যখন রক্তে HbA1c এর মাত্রা ৫.৭-৬.৪ অবধি হয়। ডায়াবেটিস নেই বলে চলে যখন রক্তে HbA1c-এর মাত্রা ৫.৭-এর কম হয়। কিন্তু এটি একবার করেই আমাদের মধ্যে ডায়াবেটিস নেই এমন বলতে পারব না। আমাদের পরীক্ষা করতে হবে পরপর তিনবার।
পরপর তিনবার HbA1c পরীক্ষা করার পর যখন বুঝতে পারলাম আমার মধ্যে ডায়াবেটিস নেই, তখনও কিন্তু আমাদের সজাগ থাকতে হবে। অর্থাৎ ডায়াবেটিস ফিরে আসছে কিনা। আমাদের জীবনযাত্রার মান অর্থাৎ খাদ্যাভ্যাস যদি ঠিক না রাখতে পারি; শরীরচর্চা যদি সঠিকভাবে না করি তাহলে কিন্তু শরীরে ডায়াবেটিস আবার দেখা দিতে পারে।
কিন্তু বিজ্ঞান এখন এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যে ডায়াবেটিসের হাত থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই নিরাময় শুধুমাত্র টাইপ টু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অর্থাৎ টাইপ-টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে সেরে যেতে পারে। আমাদের দেশের মানুষ যাঁরা ডায়াবেটিস রোগাক্রান্ত, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই কিন্তু টাইপ-টু ডায়াবেটিস রোগের স্বীকার। অর্থাৎ যেখানে শরীরে ইনসুলিনটি আছে কিন্তু সেটি ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না।
এই ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার পদ্ধতিটি কী? তা আমরা জানব। ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর আমরা জিডি শক্ত হাতে হাল ধরি বা ডায়াবেটিস মোকাবিলায় যদি ইচ্ছুক হই তবেই কিন্তু আমরা এ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি।
আমরা কোন উপায়ে বুঝব যে ডায়াবেটিস নিরাময় হচ্ছে। ডায়াবেটিসের দুটি ভাগ আছে। আমরা তখন তাকে ডায়াবেটিস বলব যখন রক্তে HbA1c-এর পরিমাণ সাড়ে ছয়-এর বেশি হয়। আর প্রাক ডায়াবেটিস বলব তাকে যখন রক্তে HbA1c এর মাত্রা ৫.৭-৬.৪ অবধি হয়। ডায়াবেটিস নেই বলে চলে যখন রক্তে HbA1c-এর মাত্রা ৫.৭-এর কম হয়। কিন্তু এটি একবার করেই আমাদের মধ্যে ডায়াবেটিস নেই এমন বলতে পারব না। আমাদের পরীক্ষা করতে হবে পরপর তিনবার।
পরপর তিনবার HbA1c পরীক্ষা করার পর যখন বুঝতে পারলাম আমার মধ্যে ডায়াবেটিস নেই, তখনও কিন্তু আমাদের সজাগ থাকতে হবে। অর্থাৎ ডায়াবেটিস ফিরে আসছে কিনা। আমাদের জীবনযাত্রার মান অর্থাৎ খাদ্যাভ্যাস যদি ঠিক না রাখতে পারি; শরীরচর্চা যদি সঠিকভাবে না করি তাহলে কিন্তু শরীরে ডায়াবেটিস আবার দেখা দিতে পারে।
ডায়াবেটিস নিরাময়ের প্রধান উপায়ই হল আমাদের ওজনটিকে কমিয়ে ফেলতে হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে কারও যদি ১০০ কেজি শরীরের ওজন হয়, তাকে ১৫ কেজির বেশি কমাতে হবে। এটা দেখা গেছে যাঁরা শরীরের ওজনকে আদর্শ জায়গায় রেখেছে তাঁদের ক্ষেত্রেই সহজে ডায়াবেটিস নিরাময় করা সম্ভব হবে। আপনাকে মনে রাখতে হবে ১৫-২৫ শতাংশ আপনাকে ওজন কমাতে হবে। প্রথম দু-এক বছর হয়তো আপনাকে ওজন কমাতে কিছু ওষুধের সাহায্য নিতে হতে পারে বা অত্যাধুনিক ইনজেকশনেও নিতে পারেন।
এগুলি করার পর আপনার যদি ডায়াবেটিস নির্মূল হয়ে যায় তাহলে কিন্তু আপনার কোনও ওষুধ বা ইনজেকশনের দরকার পড়বে না। শুধুমাত্র আপনাকে ছয় মাস বা একবছর অন্তর ডায়াবেটিসের কিছু পরীক্ষা করতে হবে।
এটা আমরা দেখেছি যে, যাঁদের প্রথম দিকে ডায়াবেটিস ধরা পড়ে এবং তাঁরা যদি শরীরের ওজন বা পেটের মেদ কমাতে পারেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম।
এগুলি করার পর আপনার যদি ডায়াবেটিস নির্মূল হয়ে যায় তাহলে কিন্তু আপনার কোনও ওষুধ বা ইনজেকশনের দরকার পড়বে না। শুধুমাত্র আপনাকে ছয় মাস বা একবছর অন্তর ডায়াবেটিসের কিছু পরীক্ষা করতে হবে।
এটা আমরা দেখেছি যে, যাঁদের প্রথম দিকে ডায়াবেটিস ধরা পড়ে এবং তাঁরা যদি শরীরের ওজন বা পেটের মেদ কমাতে পারেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম।