সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে

২০২২-২০২৩-এর সংসদে আজ বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কী কী পরিবর্তন এল শিল্পক্ষেত্রে? পণ্যদ্রব্যের ক্ষেত্রেই বা কীসের কীসের দাম বাড়ল? জনগণের চাহিদা কি আদৌ পূরণ হল? নাকি বসন্তেই ঘনাল আষাঢ়ের মেঘ। আসুন জেনে নেওয়া যাক।

নতুন কেন্দ্রীয় বাজেটে শিল্পের বেশ কিছু ক্ষেত্রে কর বাড়িয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি শুল্ক ছাড়ও দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। সুতরাং করের বোঝা কমার ফলে সস্তা হয়েছে বেশ কিছু জিনিস। দাম কমার পাশাপাশি দাম বেড়েওছে বেশ কিছু দ্রব্যের। জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী?

দাম বাড়ছে ইস্পাতজাত দ্রব্যের। ফলত স্টিলের বাসনের দাম বাড়বে। পাশাপাশি বিদেশ থেকে আনা ছাতার দামও বাড়ছে।
দাম কমেছে একগুচ্ছ জিনিসের। যেমন কেন্দ্রীয় বাজেটে দাম কমতে চলেছে পোশাকের। পালিশ করা হিরের ওপর শুল্ক কমিয়ে করা হয়েছে পাঁচ শতাংশ। ফলত দাম কমতে চলেছে হিরের গহনার। পাশাপাশি দাম কমেছে গ্রহরত্নের, চামড়াজাত দ্রব্য যথা চামড়ার তৈরি ব্যাগ, জুতো প্রভৃতি দ্রব্যের। সস্তা হচ্ছে মোবাইল, চার্জার, কৃষির যন্ত্রপাতি, পেট্রোপণ্য যেমন কেরোসিন, গ্যাসোলিন, জ্বালানি তেল, ডিজেল জ্বালানি, তরল প্রাকৃতিক গ্যস, তরল পেট্রোলিয়াম এবং ইমিটেশনের গহনা।

তবে কোনও পরিবর্তন ঘটছে না আয়করের ক্ষেত্রে। বেতনভুক মধ্যবিত্তদের করছাড়ের ক্ষেত্রে কোনও বদলের কথা ঘোষণা করলেন না অর্থমন্ত্রী। যদিও কোঅপারেটিভ সোসাইটির করের হার কমেছে ১৮ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ। পাশাপাশি কোনও স্টার্ট আপ শুরু করার ক্ষেত্রে উদ্যোগপতিরা ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এক বছরের ট্যাক্স ইনসেনটিভ পাবেন এবং ভার্চুয়াল, ডিজিটাল সম্পদ বিক্রি বা অধিগ্রহণ থেকে আয়ের উপর ৩০ শতাংশ কর বসছে। মঙ্গলবার সংসদে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ডিজিটাল সম্পত্তির হস্তান্তরের ক্ষেত্রে কর ধার্য হয়েছে এক শতাংশ। জাতীয় পেনশন প্রকল্প (এনপিএস)-এর ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৪ শতাংশ করা হচ্ছে করছাড়।

Skip to content