বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখে বলিরেখার সমস্যা প্রধান সমস্যা হয়ে ওঠে। তবে এখন মুখে ভাঁজ পড়ার সমস্যা শুধু একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরেই দেখা দেয় তা নয়, বহুক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়সের আগেই তার উপস্থিতি জানায়। বর্তমান সময়ে নিয়মিত অনিয়ম, মাত্রাছাড়া স্ট্রেসের কারণে খুব অল্প বয়সেই ত্বক কুঁচকে যায়। তবে এই ভাঁজ পড়া ত্বককে ঠিক করতে গেলে শুধু বাইরে থেকে প্রসাধনী দ্রব্যের ব্যবহার যথেষ্ট নয়। রয়েছে কিছু মুখের ব্যায়াম বা ফেসিয়াল এক্সারসাইজ। কী সেইগুলো দেখে নেওয়া যাক৷ মুখের ব্যায়াম করার সময় সবার আগে দুহাতের পাতা ভালো করে ঘষে গরম করে নিয়ে সেই গরম ভাব চোখ ও মুখের ওপর রাখলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়।
১. স্কুইজ পোজ
স্কুইজ পোজ নামটি যতই খটমট শুনতে লাগুক না কেন এই মুখের ব্যায়ামটি কিন্তু ততটাই সোজা। মুখটা কুঁচকে দশ সেকেন্ড রাখার নামই হল স্কুইজ পোজ। বুঝিয়ে বলতে গেলে বলতে হয় যখন আমরা খুব ব্যথা পাই বা বিরক্তি প্রকাশ করি বা ধরুন ডাক্তারবাবু আমাদের এত্তো বড় সিরিঞ্জ নিয়ে ইঞ্জেকশন দিতে এসেছে তখন ঠিক যেভাবে আমরা নিজেদের ভয়কে প্রকাশ করি মুখ বিকৃতির মধ্য দিয়ে তাই হল স্কুইজ পোজ। একবারে তিনবার করে দশ সেকেন্ডের জন্য মুখের এই ব্যায়াম অভ্যাস করতে হবে।
২. বেলুন পোজ
মুখে রিঙ্কেল সমস্যার সমাধানের জন্য বেলুন পোজের উপকারিতা অনস্বীকার্য। বুক ভরা শ্বাস নিয়ে দশ সেকেন্ডের জন্য মুখটাকে ফুলিয়ে রাখার নামই হল বেলুন পোজ। বেলুন পোজের সময় ভ্রূ উঠিয়ে চোখদুটোকে বড় বড় করে রাখতে হবে। পরপর তিনবার করে দশ সেকেন্ডের জন্য মুখের এই ব্যায়াম অভ্যাস করতে হবে। এই অভ্যাস শুধুমাত্রই যে কুঁচকে যাওয়া ত্বককে টান টান হতে সাহায্য করবে তা না, ত্বকের গ্লো বাড়াতেও বদ্ধপরিকর ।
স্কুইজ পোজ নামটি যতই খটমট শুনতে লাগুক না কেন এই মুখের ব্যায়ামটি কিন্তু ততটাই সোজা। মুখটা কুঁচকে দশ সেকেন্ড রাখার নামই হল স্কুইজ পোজ। বুঝিয়ে বলতে গেলে বলতে হয় যখন আমরা খুব ব্যথা পাই বা বিরক্তি প্রকাশ করি বা ধরুন ডাক্তারবাবু আমাদের এত্তো বড় সিরিঞ্জ নিয়ে ইঞ্জেকশন দিতে এসেছে তখন ঠিক যেভাবে আমরা নিজেদের ভয়কে প্রকাশ করি মুখ বিকৃতির মধ্য দিয়ে তাই হল স্কুইজ পোজ। একবারে তিনবার করে দশ সেকেন্ডের জন্য মুখের এই ব্যায়াম অভ্যাস করতে হবে।
মুখে রিঙ্কেল সমস্যার সমাধানের জন্য বেলুন পোজের উপকারিতা অনস্বীকার্য। বুক ভরা শ্বাস নিয়ে দশ সেকেন্ডের জন্য মুখটাকে ফুলিয়ে রাখার নামই হল বেলুন পোজ। বেলুন পোজের সময় ভ্রূ উঠিয়ে চোখদুটোকে বড় বড় করে রাখতে হবে। পরপর তিনবার করে দশ সেকেন্ডের জন্য মুখের এই ব্যায়াম অভ্যাস করতে হবে। এই অভ্যাস শুধুমাত্রই যে কুঁচকে যাওয়া ত্বককে টান টান হতে সাহায্য করবে তা না, ত্বকের গ্লো বাড়াতেও বদ্ধপরিকর ।
মুখমণ্ডলের এই ব্যায়ামের জন্য প্রথমে শিরদাঁড়া সোজা করে বাবু হয়ে অর্থাৎ যোগের ভাষায় সুখাসনে বসে ঠোঁট দুটোকে পাউট করা ভঙ্গিতে রেখে মুখ উঁচু করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে, যেন মনে হয় আমরা আকাশকে চুম্বন করছি। এই ভাবে পর পর তিনবার অভ্যাস করতে হবে। প্রথমবার ঘাড় উঁচু করে পাউট করে দশ সেকেন্ড ওই ভাবেই থাকতে, দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার ঠিক একইভাবে নিয়ম করে পর পর তিনবার অন্তত দশ সেকেন্ড করে এই ভঙ্গিতে থাকতে হবে।
কপালের মাঝখান থেকে, অর্থাৎ মহিলারা কপালে যেখানে টিপ পরে ঠিক সেখান থেকে দুই ভ্রূর শেষ অবধি দুপাশে দুহাতের তর্জনী ও মধ্যমা দিয়ে ট্যাপ করতে হবে অন্তত তিনবার দশ সেকেন্ডের জন্য। মুখের ঠিক চিক্ বোনের ওপর নাকের পাশ থেকে একদম দু-চোখের কোনা অবধি দু-হাতের তর্জনী ও মধ্যমা দিয়ে হালকা হালকা ট্যাপ করতে হবে তিনবার দশ সেকেন্ডের জন্য। কপাল ও মুখের পর এবার ঠোঁট। ‘ও’ উচ্চারণ করার সময় ঠোঁটের আকৃতি যেমন হয়, ঠিক সেভাবে কয়েক সেকেন্ড রেখে পুরো ঠোঁটের চারদিকে তর্জনী ও মধ্যমা দিয়ে হালকা হালকা করে ট্যাপ করতে হবে তিনবার দশ সেকেন্ডের জন্য। ঠোঁটের চারপাশের পর এবার দুগালে তর্জনী ও মধ্যমা দিয়ে চক্রাকরে ট্যাপ করতে হবে অন্তত দশ সেকেন্ড। এটি করার সময় মুখমণ্ডলকে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে।মুখমণ্ডল স্বাভাবিক রেখে দুহাতের তর্জনী, মধ্যমা ও অনামিকা আঙুল দিয়ে সারা মুখে হালকা হালকা দশ সেকেন্ড ট্যাপ করতে হবে।
রিঙ্কেল সমস্যা সমাধানের জন্য অন্যতম কার্যকরী ফেসিয়াল ম্যাসাজ এগুলো।
বাঁ ও ডান হাতের আঙুল দিয়ে মুখমণ্ডলকে এমনভাবে ধরতে হবে যাতে দুহাতের চার-চারটে আঙুল গালের ওপরে থাকে আর বুড়ো আঙুল যেন থাকে কানের লতির ঠিক নীচে। মুখের মাংসপেশির ওপর কোনাকুনিভাবে হালকা চাপ দিয়ে ওপরের দিকে তুলতে হবে। তারপর ফুঁ দিতে হবে মোমবাতি নেভানোর মতো করে। দশ সেকেন্ড এরকমভাবে করেই ফুঁ দিতে হবে।
মুখের এই ম্যাসাজ করার আগে বিশেষ করে শীতকালে হালকা করে ক্রিম লাগিয়ে নিতে হবে সারা মুখে। রাতের বেলা হলে হালকা নাইট ক্রিম মেখে নিতে হবে। ম্যাসাজ করার সময় মুখমণ্ডল শুষ্ক থাকলে স্কিন আরও কুঁচকে যেতে পারে। তাই হালকা ক্রিম বা তেল লাগিয়ে নেওয়াটা ভীষণ জরুরি। আর গরমকালে ম্যাসাজের আগে ক্রিম বা তেল না লাগলেও চলবে কারণ গরমকালে প্রচণ্ড ঘাম যেহেতু হয় তাই স্কিন আর্দ্র থাকে। তবে এয়ার কন্ডিশনড ঘরে ম্যাসাজ করার আগে হালকা ক্রিম লাগিয়ে নেওয়া যেতেই পারে।
যোগাযোগ : ৮০১৭৬৩২১৬১