শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে

ইস্টবেঙ্গলের আসিয়ান কাপ জয়ী কোচ সুভাষ ভৌমিক না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন।। তাঁর বয়স হয়েছিল বাহাত্তর বছর। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে ক্রীড়ামহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। ময়দানে তিনি ‘ভোম্বলদা’ নামে পরিচিত ছিলেন। উত্তরবঙ্গ থেকে তাঁর কলকাতায় আসা। সম্ভবত সুকল্যাণ ঘোষদস্তিদারের বাড়িতে প্রথমের দিকে থাকতেন। ছয়ের দশকের শুরু থেকেই ময়দানে পা। বিভিন্ন ছোট ক্লাবে খেলার পর উনসত্তর সালে আসেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। পরের বছরই আবার মোহনবাগানে। সেখানে তিন বছর খেলে আবার ইস্টবেঙ্গলে তিন বছর। তারপরের তিন বছর মোহনবাগানে। ১৯৭৯-৮০-তে আবার ইস্টবেঙ্গলে। পঁচাত্তর সালে আইএফএ শিল্ডে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানকে ৫-০ গোলে পরাস্ত করেন। এই ম্যাচে সুভাষ ভৌমিকের একটি গোল করা ছাড়াও আরও রয়েছে একাধিক গোলের সুযোগ করে দেওয়ার অবদান। আর কী অপূর্ব খেলা ছিল তাঁর, যেমন ঠিকানা লেখা পাশ, তেমন ড্রিবলিং। আর মাঝে মাঠে ফাঁকা বল পেয়ে থামের মতো পাদুটো নিয়ে এমন দৌড়াতেন, আর বিপক্ষ দলের রক্ষণভাগকে পরাস্ত করে বক্সের মাথা থেকে গোলার মতো যে শট নিতেন, জাল ছিঁড়ে যাওয়ার উপক্রম হত। পরবর্তীকালে কোচিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন নিপুণ দক্ষতায়। আর তিনি জহুরির মতো খেলোয়াড় চিনতে পারতেন। খেলোয়াড় পছন্দের ব্যাপারে তাঁর কথায় ছিল শেষ কথা। কর্মকর্তাদের প্লেয়ার লিস্ট দিয়ে দিতেন। কোচ হিসাবেও অনেক সাফল্য পেয়েছেন। ওঁর সবচেয়ে বড় সাফল্য ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হয়ে আসিয়ান কাপ জয়। এক বর্ণময় ফুটবল চরিত্রের অবসান ঘটল।

 


Skip to content