ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
এখন অনেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভোগেন। কেউ কেউ তো অ্যাজমা থাকার জন্য অল্প বয়স থেকেই ওষুধের ওপর নির্ভর হয়ে পড়ে। আবার বয়স্কদের ক্ষেত্রে সিওপিডি অর্থাৎ শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা যখন-তখন ফুসফুসকে সংক্রমিত করে দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেয়। শুধু শ্বাসকষ্ট নয়, কখনও কখনও অক্সিজেন স্যাচুরেশনও কমে যায়। অর্থাৎ আট থেকে আশি যে কারওই এই সমস্যা হতে পারে। ইতিমধ্যে যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ অল্পবিস্তর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন। এই যেমন ধরুন অল্প কাজকর্মেই হাঁপিয়ে ওঠা। একটানা খুব বেশি হাঁটতে না পারা। সিঁড়ি ভাঙতে সমস্যা ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। একে পালমোনারি রেহ্যাবিলিটেশনও বলা হয়। এ ধরনের সমস্যা এড়াতে ‘ব্রিদিং এক্সারসাইজ’ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এই এক্সারসাইজ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত রাখতে সাহায্য করে। যাঁদের শ্বাসকষ্টজনিত কোনও সমস্যা নেই, তাঁরাও চাইলে ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে পারেন। এতে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়বে। বিশেষ করে ছোটরা যারা অ্যাজমা ভুগছে তাদের নিয়মিত এই এক্সারসাইজ করা জরুরি। এতে যখন-তখন অ্যাজমা অ্যাটাকের হাত থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে। ব্রিদিং এক্সারসাইজের দুটি ভালো গুণ—এক, ফুসফুসের ‘ইয়ার ক্যাপাসিটি’ বাড়াতে সাহায্য করে। দুই, ব্রিদিং মাসলকে শক্তিশালী করে ‘চেস্ট শেপ ব্রিদিং প্যাটার্ন’ ও ‘চেস্ট এক্সপানশন’-কে ঠিকঠাক রাখে।
ব্রিদিং এক্সারসাইজ অনেক রকমের হয়। আজ পাঁচটি সহজ পদ্ধতিটি নিয়ে আলোচনা করছি।
সমস্যা এড়াতে যাঁরা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাঁরা তো করবেনই, পাশাপাশি অন্যরাও এগুলি করতে পারেন ফুসফুস ঠিক রাখতে। অস্ত্রোপচারের পর দুর্বলতা কাটাতেও এটি বেশ কার্যকরী। এছাড়াও শাঁখ বাজানো, বেলুন ফোলানো এসবও ব্রিদিং এক্সারসাইজের মধ্যে পড়ে।
যোগাযোগ: ৯০৫১৮৪৩৫৩১