মেদহীন পেট কে না চায়! সেটা পছন্দের পোশাকআশাক পরার জন্য হোক বা হাঁটা চলার সুবিধা বা সুস্থ তরতাজা থাকার জন্যই হোক। মজার ব্যাপার—বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজের অজান্তেই ক্রমশ ভুঁড়ি ঊর্ধ্বমুখী হয়। ফলস্বরূপ শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি শরীরের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকেও নষ্ট করে দেয়। এক্ষেত্রে একটা বিষয় সবার জানা দরকার, শরীরের তুলনায় পেটের ফ্যাট বেড়ে যাওয়ার কারণ শুধু অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস নয়, সঙ্গে দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস এবং লাইফস্টাইলও সমানভাবে দায়ী। এই প্রতিবেদনে রইল ভুঁড়ি কমানো কিছু সহজ উপায়—
অল্প পরিমাণে বারে বারে খান
• সারাদিনের খাবারকে ৫-৬টি মিলে ভাগ করে নিন। টানা বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকা যাবে না। কারণ, দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পর একসঙ্গে অনেকটা খাবার খেয়ে পেট ভরানোর অভ্যাস পেটের ফ্যাট তাড়াতাড়ি বাড়তে সাহায্য করে। তাই অল্প অল্প করে বারে বারে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
ফল, শসা, গাজর ইত্যাদি
• দিন ও রাতের প্রধান খাবারের আগে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার যেমন বিভিন্ন ধরনের মরশুমি ফল, শসা, স্লাইস করা গাজর খাওয়া যেতে পারে। এই ধরনের খাবার দিন ও রাতের প্রধান মিলের পরিমাণকে যেমন নিয়ন্ত্রণ করে তেমনি আমাদের ‘গাট ব্যাকটিরিয়া’কে সক্রিয় করে যা হজমে সাহায্য করে।
নিয়ন্ত্রণ করুন কার্বোহাইড্রেটকে
• চিনি ও ময়দার তৈরি সুস্বাদু খাবার, কেক-পেস্ট্রি প্রভৃতির পরিমাণ কমাতে হবে খাদ্যতালিকা থেকে। এ ধরনের খাবার খুব তাড়াতাড়ি পেটের ফ্যাটকে বাড়ায়। তাই তুলনায় ফাইবার বেশি আছে এমন খাবার খাদ্যতালিকায় বেশি রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। পাশাপাশি মরশুমি ফল, সবুজ শাকসবজি বেশি করে খাওয়া ভালো।
সর্বদা সক্রিয় থাকুন
• ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেয়ারে বসে কাজ করে যাচ্ছেন বা শুয়ে শুয়ে মোবাইলে গেম খেলছেন, এই ধরনের লাইফস্টাইল বর্জন করতে হবে। নিজেকে সর্বদা অ্যাক্টিভ রাখতে হবে। অন্তত ৩০ মিনিট অন্তর চেয়ার ছেড়ে উঠে একটু হাঁটাচলা করুন। ব্যস্ত জীবনে অনেকেই সময় করে উঠতে পারেন না শরীরচর্চার জন্য। কেউ আবার হাতে সময় থাকলেও শরীরচর্চা নিয়ে তেমন উৎসাহী থাকেন না। যাইহোক, আট থেকে আশি সবাইকে চেষ্টা করতে হবে নিজেকে যতটা ‘অ্যাক্টিভ মোড’ রাখা যায় ততই ভালো। অ্যাক্টিভ থাকা মানে শুধু শরীরচর্চা বা হাঁটাচলা নয়, বাড়ির সাধারণ কাজে হাত লাগিয়েও নিজেকে সক্রিয় রাখা যায়।