রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

চিকিৎসকেরা সব সময়ই বলেন, শরীরচর্চার উদ্দেশ‍্যে শুধু ওজন কমানো নয়। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীররও ভিতর থেকে ফিট এবং চাঙ্গা থাকে। তবে শারীরচর্চার নানা ধাপ রয়েছে। কেউ জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে পারেন। আবার কেউ বাড়িতেও ব‍্যায়াম করতে পারেন।
তবে মাথায় রাখতে হবে, শরীরচর্চা শুরু করলেই তৎক্ষণাৎ সুফল পাওয়া যাবে না। কেউ মনে করেন বাড়তি মেদ ঝরানোর জন্য কার্যকর হল সাইকেল চালানো। আবার কেউ কেউ বলে থাকেন, হাঁটলেই সহজে রোগা হওয়া যায়। তবে শরীরচর্চা নিয়মিত ভাবে করা জরুরি। যখন তখন খামখেয়ালির মতো ব্যায়াম করলে সুফল মেলা কঠিন।
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৬: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—ছাগল ক্ষুরি ও ধানি ঘাস

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৬৩: বেলুড়মঠে শ্রীমায়ের অভিনন্দন

ফিটনেস এক্সপার্টরা বলছেন, বাড়তি ওজন কমাতে গেলে সাইক্লিং অনেক বেশি কার্যকর। কেউ যদি জোরে সাইকেল চালান তাহলে প্রতি ঘণ্টায় ৪৯৮ থেকে ৭৩৮ ক্যালোরি পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এদিকে কেউ যদি তীব্র গতিতে হাঁটেন তাহলে প্রতি ঘণ্টায় ৪৫০ থেকে ৫০০ ক্যালোরি মতো খরচ হয়। এক জন ব্যক্তির রোজ কত ক্যালোরি খরচ করা প্রয়োজন, সেটা নির্ভর করে তাঁর বয়স, ওজন, লিঙ্গ এবং তিনি রোজ কতটা শারীরিক পরিশ্রম করছেন, তার উপর ওপর।
আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৯: শাসক বেকায়দায় পড়লেই প্রতিপক্ষকে সন্ধির প্রতিশ্রুতি দেয়, যদিও রাজনীতিতে সে সব মানা হয় না

পর্দার আড়ালে, পর্ব-৬২: সত্যজিৎ রায় রুপটান শিল্পীকে বলেছিলেন, উত্তমকুমারের কোনও মেকআপ করার

কোন নিয়ম মেনে রোগা হবেন?
এ প্রসঙ্গে ন্যশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ’ একটি গবেষণা করে। সেই গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী, হাঁটার তুলনায় সাইক্লিং করলে আমাদের বিপাক হার বাড়ে বলে বলা হয়েছে। ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাঁরা হাঁটাহাঁটির করেন, তাঁদের তুলানায় যাঁরা সাইকেল চালিয়েছেন, তাঁদের মেদ দ্রুত হারে ঝরেছে। ফলে এ কথা বলাই যায়, ওজন ঝরানোর জন্য সাইক্লিং হাঁটাহাঁটির থেকে অনেক বেশি উপকারী।

Skip to content