কেকে ও শিবানী
অরুণাভ এবং বাবলির যোগাযোগ নিয়ে প্রণয়ের সন্দেহের মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু অরুণাভ এখন টেলিভিশনের পরিচিত মুখ। পয়সা দিয়ে চারটি গুন্ডা পাঠিয়ে তাকে ধমকধামক দিলে ফল হিতে-বিপরীত হতে পারে। আর গোপনে দু’জনের ছবি তুলে পরকীয়ার অপরাধে বাবলিকে যে প্রণয় ডিভোর্স দিয়ে দেবে তেমন কোনও সম্ভাবনাই নেই। কারণ বাবলির বসুন্ধরা ভিলায় থাকা না থাকা এখন আর প্রণয়ের উপর নির্ভরশীল নয়।
তরুণকান্তি পুত্রবধূ বাবলিকেই সমস্ত অধিকার দিয়ে দিয়েছেন। প্রণয়কান্তির নিজের অস্তিত্বই এখন খানিকটা প্রশ্নের মুখে। বুবু বা গৌরবকে অপমান করা এবং বসুন্ধরা গ্রুপ ছেড়ে স্বদেশ ছেড়ে বিদেশ চলে যাওয়ার অন্যতম কারণ হয়ে ওঠা প্রণয়কান্তি এখন এ বাড়ির বেশিরভাগ এর কাছেই চক্ষুশূল।
অরূণাভ যাতে কোনওরকম ভুল না বোঝে বাপাছে সে ভুল করেও বাবলির নিজস্ব বৃত্তে পা না রাখতে পারে তাই বাবলি সর্বদা একটা সতর্ক দূরত্ব বজায় রাখে। সে নিজেই নিজের চারপাশে সম্ভ্রমের তীর দিয়ে গণ্ডী কেটে রেখেছে, যাতে মূহুর্তের মানসিক বা শারীরিক দূর্বলতায় কখনই অনুভূতির রাবণ সে গণ্ডী টপকাতে না পারে।
দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং..., পর্ব-৩৪: ভুল চিকিৎসার জন্য ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল ডাঃ অর্কপ্রভ
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৬: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—ছাগল ক্ষুরি ও ধানি ঘাস
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩৯: ভারতের বিপ্লবী মেয়েরা এবং অন্তরে রবীন্দ্রনাথ
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৫২: পুলক রাখিতে নারি (কেল)
— দেখ সেজবৌদি তুই না বললে সেজদা রাজি হবে না।
—তুই তো জানিস ছোট্টু লেখা দেওয়ার ব্যাপারে তোর সেজদা ভয়ানক খুঁতখুঁতে, একবার আমার মুখের ওপর না বলে দিলে সেটা হজম করা কিন্তু আমার পক্ষে বড্ড কঠিন হবে।
—আমার সেজদাকে আমি তোর থেকে বেশিদিন চিনি। সেজদা তোকে না বলতেই পারবে না। আমি সিওর ছোটকার আন্দাজে কোন ভুল ছিল না। কিন্তু আমার বাবা তাঁর লেখার ব্যাপারে খুব স্পর্শকাতর ছিলেন। একটা শর্ত জুড়ে দিলেন ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য মাকে দেখিয়ে নিতে হবে। ছোটকা এককথায় রাজি। মাকে প্রজেক্টে যুক্ত করে রাখার একটা সুপ্তবাসনা ছোটকার ছিলই, সে এককথায় শর্ত মেনে নিল। মহরত শটের ক্ল্যাপস্টিক দিতে হল মাকে। বহু বহুবছর বাদে সিনেক্যামেরার পর ভিডিও ক্যামেরার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন সুরঙ্গমা।
বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৮: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—আমি রূপে তোমায় ভোলাব না…/৩
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৬৩: বেলুড়মঠে শ্রীমায়ের অভিনন্দন
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৮২: খটকা
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৭: কী করে গল্প লিখতে হয়, ছোটদের শিখিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ
—সমস্যাটা শিবানী নয় ছোট্টু সমস্যা তুই নিজে। শিবানীকে তুই পছন্দ করিস, ওর জন্যে ওর পরিবারের জন্যে কিছু করতে তোর ভালো লাগে। কিন্তু এটাকে ভালবাসা বলে না।ওর অতীতটা তুই মানতে পারিস না। কারণ সেই অতীতের অস্তিত্ব প্রমাণ এখানে এই কলকাতা শহরে রয়ে গেছে। সেটা তোকে ভাবাচ্ছে। তুই যদি অচেনা অজানা সাধারণ কোনও ছেলে হতিস তাহলে এতদিনে শিবানীকে বিয়ে করে ফেলতিস ওর অতীত বর্তমান জেনেই ওর ভবিষ্যতের দ্বায়িত্ব নিতিস। কিন্তু সেটা পারছিস না তুই দেশের অন্যতম বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিনয়কান্তি দত্তের ছেলে, বসুন্ধরা ভিলার সদস্য, সাহিত্যিক অমলকান্তি দত্ত তোর দাদা। এগুলো তোর সম্ভ্রমের জায়গা এগুলো বাজি রেখে শিবানীকে তুই ঘরে নিয়ে আসতে পারছিস না। মেয়েটা খুব ভালো। এসব ওর কাছে জলের মতো স্পষ্ট। মেয়েটা তোকে তোর পারিবারিক মর্যাদাকে শ্রদ্ধা করে, না হলে এতদিনে তোকে বিয়ে করে বসুন্ধরা ভিলায় এসে উঠতো।
—এগুলো আমি সব জানি সেজবৌদি, আমি কী করবো তুই বল—
—তুই যা চাইছিস সেটা শিবানীকে বল, সব শুনে ও কী বলে দেখ। টেলিফোনে নয়, মুখোমুখি কথা বলবি ছোটকা যেদিন শিবানীর বাড়ি গিয়ে তাকে সব বলবে ঠিক করলো সেদিন শিবানীর জীবনে বড় এক অঘটন ঘটে গেল।—চলবে।
গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম
‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন। বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন। ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না। গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে। ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com