শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

এখনকার ছোট পরিবারে একটি বা দুটি সন্তান। বেশিরভাগ বাবা-মা কর্মরত হন। তাঁদের অফিসে গিয়ে কাজ করতে হয়, না হলে বাড়িতে বসেই কাজের ফিরিস্তি। ফলে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না তাঁদের সন্তানদের। এর জন্য বাবা-মারা অনেক সময় অপরাধী মনে করেন নিজেদের। কিন্তু কর্মরত বাবা-মায়ের উচিত সন্তানকে শেখানো নিজের মতো করে সময় কাটানোর পদ্ধতি, যাতে সন্তান ব্যস্ত থাকবে এবং মনেও থাকবে আনন্দ।
 

বইপড়া

বইয়ের মতো সঙ্গী হয় না। তাই বই পড়ার অভ্যাস ছোট বেলা থেকেই ছেলেমেয়েদের মধ্যে তৈরি করা উচিত। এতে যেমন মন ভালো থাকে, তেমনি অনেক কিছু তারা পড়াশোনার বাইরেও জানতে পারে।

আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩৯: ভারতের বিপ্লবী মেয়েরা এবং অন্তরে রবীন্দ্রনাথ

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৪: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—গিরা শাক ও যদু পালং

 

বাজনা বাজানো শেখা

কোনও বাজনা শেখাতে পারেন, হয়তো বেহালা বা গিটার ইত্যাদি। এই বাজনাই হয়ে উঠতে পারে তার একাকিত্বের সঙ্গী। সুরের মূর্ছনায় সন্তানের মন ভালো হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৬২: শ্রীমার দক্ষিণ ভারত থেকে প্রত্যাবর্তন

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৮: চরম শত্রুর সঙ্গেও মতের মিল হলে বন্ধুত্ব হয়, আবার মতের মিল না হলেই শত্রুতা

 

স্বাবলম্বী করে তুলুন

নিজের কাজ নিজেকে করতে শেখান। অনেক সময় হয় ছেলেমেয়েদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছেন না বলে তাদের সব কাজ বাবা-মায়েরা করে দিতে চান। কিন্তু এর ফলে সন্তানকে স্বাবলম্বী করা যায় না। বরং সে অত্যধিক পরনির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তাই ছোট থেকেই তার বই, পোশাক, খেলনা ইত্যাদি গুছিয়ে রাখার প্রবণতা তার মধ্যে তৈরি করুন। এতে তার অনেক কাজ শেখা হবে এবং তার সময়ও ভালো ভাবে কেটে যাবে।


Skip to content